পাতা:প্রবাসী (প্রথম ভাগ).djvu/৩৯৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৮ম ও ৯ম সংখ্যা ।] মধ্যস্ত ব্যবধান সংকীর্ণ করিয়া পরস্পরের সহিত মিলিত চষ্টয়া না যায়, সেই জন্ত মধ্যে মধ্যে রক্ষের শাখা উপযুক্ত পরিমাণে কাটিয়া এক হইতে অন্ত দড়ীতে বাধিয়া দেওয়া ছয় । চলিবার সময় এই শাখাগুলিকে ডিঙ্গাইয়া চলিতে হয় । ঝুলাতে চলিবার সময় সাহসের (nerve) বিশেষ আবশুক ১য়। অন্ততঃ প্রথমবার চলিবার সময় সাহসীলোককেও কিছু “স্থিত হইতে হয়। সাবধানে চলিতে পারিলে বুলা অন্তান্ত পুলের ন্যায় নিরাপদ । কিন্তু যখন ইহার মধ্যস্থলে আসিয়৷ প্রায় ৫০/৬০ ফুট নীচে নদীর তরঙ্গচঞ্চল স্রোত চক্ষের সম্মুখে আসি উপস্থিত হয় এবং তাহার গেী গো রব কণে প্রবেশ করে, আবার মধ্যস্থলে ফুলা কিছু ছলিয়াও থাকে তখন সাহসী ব্যক্তির বুকও প্রথম বারে দুর চর করিতে থাকে। কুলার উপর ২৩ বার চলিলে ভয় ভাঙ্গিয়া যায়। এ প্রদেশের আবালবৃদ্ধবনিতা যুলার উপর অবলীলাক্রমে চলিয়া থাকে। দিনেও চলে, রাত্রেও চলে, আবার ১—১। মণ বোঝা পুষ্ঠের উপর উঠাইয়াও চলে । তাঙ্গর যেমন রাস্তায় চলে, সেইরূপ ‘কুলার উপর চলে। ‘বুলা এতই মজবুত হয় যে একেবারে ৫৭ জন লোক অনায়াসে চলিতে পারে। যিনি ‘কুলায় চলিতে ভাত, অথচ নদীর পারে যাক্টতে চান, তাহাকে এদেশীয় ২।৪ জন লোক সঙ্গে লইয়া 'ঝুলা’ পার করাইয়া দেয়। ২১ জন সম্মুখে, ২১ জন পশ্চাতে ; ভীত ব্যক্তি মধ্যে থাকিয়া বৈতরণীর পারে চলিয়া মান । "ঝুলা” ব্যতীত নদী পার হইবার আর একটা উপায় আছে । তাহাকে এখানে “জালা” বলে ও ইংরাজীতে 1;alt বলে ; এবং বাঙ্গালা ভাসায় বোধ হয় “ভেলা” বলা যাইতে পারে। “জাল” কোন কোন স্থানে তৈয়ার হইয়া থাকে, সকল স্থানে নহে। ৪টা বা ৬টা মহিষের কিম্বা গরুর সম্পূর্ণ চামড়ায় জালা তৈয়ার হয় । চামড়াগুলিকে প্রথমে মসকের মত শেলাই করিয়া একদিকে একটু খুলিয়া রাখে। যদি চামড়া রৌদ্রে থাকিয়া কিম্বা অনেকদিন পর্য্যন্ত ব্যবহারে না আসায় কঠিন হইয়া যায়,তবে তাহাকে জলে ভিজাইয়া নরম করিতে হয়। নরম হইলে চামড়ার খোলা মুখটতে ফ দিয়া “ফুটবলের ন্যায় ফুলাইয়া লইয়া মুখটা বেশ করিয়া বধির দেয়। এই প্রকারে সমস্ত চামড়াগুলি ফুলাইয়া প্রবাসী 5. రీ লইয়া এবং তাছাদের মুখগুলি বাধিয়া দিয়া উপরে একটা কাষ্ঠের কাঠামো বা কোন স্থানে “চারপাই” বা খাট বাধিয়া দেয় । উক্ত কাঠামো বা খাটের ৪ কোণে ৪টী চামড়া বা মসক বাধিতে হয়। কোন কোন স্থানে দুই পাশ্বেও ছুইটী মসক বাধিয়া থাকে। এইরূপে “জালা” তৈয়ার চইলে পর ইহাকে নদীবক্ষে ভাসাইয়া দেয় এবং ২১ জন লোক দাড় বাহিয়া নদীর উপর চালিত করে । “জালার” উপর ৫।৬ জন লোকের বসিবার স্থান থাকে । “জালা" নদীর সকল স্তানে চলিতে পারে না । যেখানে নদী অপেক্ষাকৃত স্তির এবং উভয় পাশ্বে পাহাড় থাকাতে যেখানে নদীকে সঙ্কীর্ণ তষ্ঠয় দ্রুতবেগে চলিতে হয় নাই, সেইখানেই 'জালা’ চলিতে পারে । কোন কোন ক্ষুদ্র উপত্যকার নীচে নদী অতি ধীর ভাবে চলাতে ৩৪ মাইল পর্যাস্ত ক্রমান্বয়ে ‘জাল|” চলিতে পারে। জালা’ বিপরীত স্রোতে চলিতে পারে না । অপেক্ষাকৃত স্তির নদীতে চালিত হইলে "জালা’ নৌকার দ্যায় নিরাপদ, এবং যদিও ইহা কদৰ্য্যভাবে তৈয়ার হয় এবং দেখিতেও কদৰ্যা, তথাপি জালায়’ ভ্ৰমণ করা বিশেষ আনন্দজনক । গিলগিট শিকারের জন্য প্রসিদ্ধ। মারধোর (“সৰ্পভূকৃ”) আইবেক্স (একপ্রকার বন্ত হরিণ), উড়িয়াল (একপ্রকার বন্য মেষ) এবং ভল্লক, এই কয়েকটা জন্তুষ্ট এখানে অধিক দেখিতে পাওয়া যায়। মারথোরের ও আইবেক্সের সিং অতিশয় সুন্দর । তজ্জন্যই ইতাদের শিকার শিকারিজগতে অতিশয় প্রিয়। এখানে লাইসেন্স লইয়া শিকার করিতে হয় । সৰ্ব্বসাধারণে,অবাধে শিকার করিতে পারে না । গিলগিটার বলে যে যিনি মারথোরের মাংস জীবনে একবার খাইবেন, সর্পদংশনে তাহার কখনও মৃত্যু হইবে না । ( ক্রমশ: ) শ্ৰীসতীশচন্দ্র হালদার। ബ് চন্দ্রনাথ । ( , ) কোন দূর-লুপ্ত যুগে, ওহে যোগিবর ! হে প্রেমিক ! সতী-দেহ বহি’ প্রেয়সীর স্কন্ধে স্বীয়, শিরে ধরি’ জটা সঙ্গালীর,