পাতা:প্রবাসী (প্রথম ভাগ).djvu/৪৪৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

'LH8 উপ্তম লক্ষ্য করা যায় । বর্ণনাসাদৃষ্ঠে, শব্দপ্রয়োগবাৎসলো “মালবিকাগ্নিমিত্র" অভিজ্ঞানশকুন্থলের অমর কবির বালা রচনা বলিয়। অনুমান করিবার কারণের অভাব নাই । তৰ্জ্জন্ত উইলসন সাহেবের মত পণ্ডিত হইয়। যাইতেছে । "reার মতে ম{লবিকাগ্নি মন্ত্ররচয়িতা কালিদাস অভিজ্ঞানশকুন্থলের কালিদাস চন্ঠতে পৃথক বাক্তি । বিক্রমোর্বিশীয় নাটকসম্বন্ধে এরূপ অনুমান অনেক পরিমাণে সুসঙ্গত বোধ তইতে পারে ; কিন্তু মাংবিকাগ্নিমিত্র ও শকুন্তল এক লেখনীপ্রসূত বলিয়াই বোধ হয় । রাজচরিত্র ও রাজাস্ত:পুরের ঐতিহাসিক তথ্য লাভের জন্য "মালবিকাগ্নিমিত্র" উৎকৃষ্ট উপকরণ , আশ্রমচিত্র সংকলনের জন্য "শকুন্তল" অতুলনীয় । কালিদাস জনসাধারণের কথা বড় অধিক লিপিবদ্ধ করেন নাই ; সুতরাং সাধারণ লোকবাবার অবগত ং বার পক্ষে কালিদাস বিরচিত দৃশুকাব্য বহুমূল্য নহে । ইহার পর নাট্যসাচিত ক্ষেত্রে আর একজন অমর কবির অ ভু্যদয় হইয়াছিল । তিনিও কালিদাসের দ্যায় নিতা স্তু অপরিচিতের মত নাটাচার্গোর সহায়তায় প্রতিভার পরিচয় দিবার জন্য অগ্রসর হইয়াছিলেন । কালিদাস যুক্তমাগে পদক্ষেপ করিয়া, দশকবৃন্দের রূপাকটাক্ষের ভিখারী হইয়া, নবক বর কাবা কলার নিরপেক্ষ সমালোচনার আশীয় অগ্রসর হইয়াছিলেন । এই নুতন কবি আত্ম ক্ষমতার মুদৃঢ় ভিত্তিতে দৃঢ়পদে দণ্ডায়মান হইয়া, প্রগণভের স্তায় আত্মমমি৷ ঘোষণা করিয়া সগৰ্ব্বে বলিয়া উঠিয়ছিলেন-- “ख्रह्मई । !ि[* श्रु! द्र! যার করে ম{র প্রতি অলঙ্কা প্রক শ, "{হ ঃে র প্লে নহে - লাল শুন--মোর এই রচনা-প্রয়াস জনমিঙে পরে পaে (कश्। स्नो'.% ८क ६ भ! ब्ल भभनि ११र्भी, অসম্ভব কি বা তাহে ; কালের নাহিক সীম, বিপুল ধরণ " “মালতীমাধবের" এই সাহঙ্কার শক্তি-সূচনা “উত্তররামচরিতে" সমাদর লাভ করায়, মহাকবি ভবভূতির নাম নাটাসাহিত্যে চিরজীবী হইয়াছে । তঁrহার “মালতীমাধব” স্বকপোলকল্পিত প্রণয়কাহিনী ; লোক-ব্যবহারের বহু দৃষ্টাস্তের আকর। তাছার মহাবীরচরিত ও উত্তররাম প্রবাসী { ১ম ভাগ । চরিতও বহু ঐতিহাসিক তথ্যের আধার। শ্রীযুক্ত জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুর মহাশয় কালিদাস ও ভবভূতির দৃশুকাব্যের বঙ্গানুবাদ উপলক্ষে লিথিয়াছেন—“কালিদাসের রচনাপরিপাট পরিচ্ছন্ন সুন্দর সুমার্জিত সুবিন্যস্ত সুরমা উদ্যান, এবং ভবভূতির রচনা—সুন্দর ভীষণ বীভৎসময় নিবিড় বিপুল জটিল মহারণা !” ইহা কাব্যাংশের সংক্ষিপ্ত সম, লোচনা। কিন্তু ইতিহাসাংশে ভবভূতি বহু পুরাতত্বের আকর, কালিদাস কেবল আকরোথিত সুমার্জিত রত্নখণ্ড : তথ্যানুসন্ধানের অগ্নিপরীক্ষায় তাহা এক মুষ্টি বহুমূল্য ভস্ম fভন্ন অধি চ কিছু প্রদান করিতে অক্ষম ! অতঃপর নাট্যসাহিত্যের পরিণতির পর্যাবসানে, তিরোধানের আভাস প্রাপ্ত হওয়া যায় । দুই তিন জন সুগৃঙ্গীতনাম অমর কবি পুরাতন নাট্যসাচিত্যের গৌরবরক্ষার্থ অগ্রসর হুইয়াছিলেন । তাঙ্গাদের মধ্যে প্রাচীন শ্ৰীহৰ্ষ ও আধুনিক ভট্টনারায়ণের নাম বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। শ্ৰীহর্ষের নামে “রত্নাবলী” ও “নাগানন্দ” সুপরিচিত ; গ্ৰন্থই লোকব্যবহারের ও ঐতিহাসিক তথ্যের আধার। ভট্টনারায়ণের “বেণীসংহার” সেরূপ নচে । তথাপি “বেণীসংহার” সংস্কৃত নাট্যসাহিত্যের অতুল কীৰ্ত্তি । নাটাংশে অতি উৎকৃষ্ট ন হইলেও, বীরর সবর্ণনায় প্রশংসনীয় । ইsার পর যেন নাট্যসাহিত্যের উদ্যম নিতাস্থ অবসন্ন হইয়। পড়িয়াছিল। পরবর্তী নাটকে আর সে লালিতা নাই, দে রমসমাবেশচাতুর্য নাই, সে ভাষাকৌশল যেন কৃত্রিমতার ক্ষীণ গণ্ডীর মধ্যে পিঞ্জরাবদ্ধ হইয় ছট ফট্‌ করিতেছে । মুসলমান শাসন প্রবর্তিত হইবার সময় হইতে নাট্যশালার তিরোধানের সঙ্গে সঙ্গে নাট্য-সাহিত্যও অন্তহিত হইয়া গিয়াছে ! সংস্কৃত নাট্যসাহিতোর কাব্যাংশের অনেক উৎকৃষ্ট সমালোচনা বঙ্গসাহিত্যে সাদরে স্থান লাভ করিয়াছে । কিন্তু এ পর্য্যস্ত নাট্যসাহিত্য হইতে ঐতিহাসিক তথ্য সংকলনের চেষ্টা যথারীতি আরব্ধ হয় নাই । তাহা শ্রম ও অধ্যবসায় সাপেক্ষ ; বোধ হয় বঙ্গসাহিত্যের বর্তমান দুৰ্ব্বল রুচির পক্ষে দুষ্পাচ্য পথ্য। তথাপি ইহাতে সাহিত্যসেবকগণের হস্তক্ষেপ করা কৰ্ত্তব্য । যিনি সংস্কৃত নাট্যসাহিত্যের বঙ্গানুবাদে ব্যাপৃত, তাহাকে এখনও অনেক দিন অনন্তকৰ্ম্ম হইয়া উভয়