পাতা:প্রবাসী (প্রথম ভাগ).djvu/৪৬২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

©ግõ হইতে উৎকৃষ্ট না হক্টলেও উচ্চাদ্বারা এই অসভ্য জাতির অনেক প্রয়োজন সাধিত হইয়! থাকে । মণিপুর চট্টগ্রাম প্রভূতি সহরের বাজার চাইতে ষ্টতার পিতলের হাড়ি কিনিয়া আনিয়াও ব্যবচার করে । কিন্তু এই সকল হাড়ি তাহারা এরূপ মলিন অবস্থায় রক্ষা করে যে ইহা হইতে নান রোগের উৎপত্তি হইয়া থাকে । কিন্তু চিনগণ এবিশ্বাদের কোন ভিত্ত্বি আছে বলিয়া স্বীকার করে না । মাটর ষ্ঠাড়িতে ইছারা জল ও বংশ নিৰ্ম্মিত কুড়িতে ইঙ্গরাধান্যাদি শস্ত রক্ষা করিয়া থাকে । চিনক্টিলের সর্বত্রই তামাকু জন্মিয় থাকে। তামাকুর পাতা ইহার কেবলমাত্র রৌদ্রে বা অগ্নিতে অল্প শুষ্ক করয়া ব্যবহার করে । চিনরমণীগণ অনবরত ধূমপান করিয়া থাকে । পুরাতন ছকার জল ষ্ট হার! সযত্নে রক্ষা করে, কারণ এই হুকার জল চিন পুরুষগণ পান করিয়া থাকে । ইহার লাউ শুকাইয়া তাক৷র ভিতরের অংশ বাহির করিয়া উহাদ্বারা স্থকার খোল তৈয়ার করে এবং বাশের নলিচা ও মাটীর কলিকা ব্যবহার করে। ইতাদের হুকার আকার কতকটা ইংরাজী পাইপের মত । চিন"ণ মদ্যকে জু ( Zu ) বলিয়া থাকে । ইহা চাউল কাউনি অথবা ভুট্ট ইত্যাদি খাদ্য হইতে প্রস্তুত হয় । ইহার প্রস্তুত প্রণালী সহজ । চাউল, কাউনি, ইত্যাদি একটা মৃত্তিকার জালাতে কিছুদিন পচাইয়া পরে ব্যবঙ্গর করিয়া থাকে। যে মদ্য যত বেশীদিন পচিতে পায়, তাঙ্গ তত উংকৃষ্ট বলিয়া বিবেচিত হয় । চিনহিলের বালক বালিকা বুদ্ধ বুদ্ধ সকলেই প্রচুর পরিমাণে এই জু ( Zu ) পান করিয়া থাকে। কিন্তু তাগর এত মদ্যপানে রত হইলেও তাহাদের অধিকাংশকে দীর্ঘজীবী হইতে দেখা যায় ; এমন কি ছুই তিন পুরুষ একত্রে বসিয়া মদ্যপান করার দৃশু নিতান্ত সুলভ । চিনদিগের পীড়ার মধো নানা রকমের উদরের পীড়া, চৰ্ম্মরোগ ও চাল শেই প্রধান । কিন্তু অল্প পরিমাণে সকল পীড়াই এদেশে বর্তমান আছে ৰলিতে হইবে। ইহাদের পীড়া হইলে কোন ঔষধ ব্যবহার করিবার প্রথা নাই, অগ্নচিকিৎসা মাত্র কিয়ং পরিমাণে করিতে দেখা যায় । কোন স্বাস্থ্যভঙ্গকর কারণে পীড়া হইয়া থাকে, চিনদের প্রবাসী { ১ম ভাগ এরূপ বিশ্বাস নাই। তবে পীড়া হইলে ইহারা মনে করে, কোন ভূত রুষ্ট হইয়াছে এবং তাহার পূজা করিলেই পীড় আরোগ হইবে । বলা বাহুল্য ইহারা অসংখ্য তুষ্ট প্রেতাত্মায়ু বিশ্বাস করিয়া থাকে। চিনগুছে রোগী মুমূর্ষ অবস্থার উপস্তিত হইলে ইহারা সকলে একত্রিত হইয়। ঢাক ঢোল বাজাইয়া তুমুলকাগু উপস্থিত করে । তাহাদের বিশ্বাস এই সকল বাষ্ঠের শব্দে ভূত রোগীকে ছাড়িয়া পলায়ন করিবে । চিনদিগের দেহের কোন অঙ্গ ভগ্ন হইলে তাহারা দুই ভগ্ন অংশ নথাস্থানে স্থাপনপূৰ্ব্বক একথও ভুল দিয়া উছ বাধিয়া রাখে এবং পুনরায় আঘাত লাগ নিবারণ করিবার জন্য ভগ্ন অংশের চারিদিকে রাশের বেষ্টন বাধিয়া থাকে। কোন স্থানে ফোড় হইলে জলপটি বাধিয়া রাখে । প্রথম প্রথম ইংরাজী ঔষধের উপর ইতাদিগের আস্থা দেখা যায় নাই, কিন্তু এক্ষণে ইতারা ইংরাজী ঔষধের পরম ভক্ত হইয়। উঠিয়াছে ; চিনের দেহে আঘাত লাগিলে অতি অল্প সময়ে উহ। আরোগা হয়। ইহাদের মধ্যে কুষ্ঠরোগ ও স্থানে স্থানে দেখা যায়। কুণ্ঠরোগীকে ইহার যাচার তাহার সহিত মিশিতে বা বিবাহাদি করিতে দেয় ন । * চিনদিগের বিশ্বাস মদ্যপান, যুদ্ধবিগ্রহ ও পশু শিকার করাই জীবনের উদ্দেশু ! নারীগণ অষ্টান্ত কর্য্যের জন্য স্বল্প । সকল চিনই এই বিশ্বাসের উপর আস্থা স্থাপন করিয়া জীবনধাত্রা নিৰ্ব্বtঙ্গ করে । সুরাপান প্রত্যেক ঘটনারই প্রধান অঙ্গ বলিয়া বিবেচিত হয় । শত্রুর পরাজয়, জন্ম, মৃত্যু, বিবাহ বা ঋণপরিশোধ, প্রত্যেক কার্ষ্যেই সুরাপান অবশ্যম্ভাবী । ইহাদের উংসব বলিলেই এক মুরাপানের বীভৎস পরিণাম অনুমান করিতে হয়। চিনগুতে নিমন্ত্রণরক্ষা করিতে হইলে এক এক ভাও মদ্য লইয়া নিমন্ত্রণ রক্ষা করিতে যাওয়া প্রথা। অতএব প্রতোক নিমন্ত্রিত ব্যক্তির নিকট হইতে এক এক ভাণ্ড সংগৃহীত হইয়া এত পরিমাণ সুরা একত্রিত হয় যে ইহাদের উৎসব ক্রমাগত কয়েকদিবস পৰ্য্যন্ত হইতে থাকে। উংসবের কয়েকদিন মদ্যপান ও অৰ্ধসিদ্ধ মিথুন বা শূকরমাংস আহার ব্যতীত আর অন্য কাজকৰ্ম্ম কিছুই হয় না । ইহাদের সঙ্গীত বিচিত্র রকমের । এই মঙ্গীত সৰ্ব্বদ সকলের দ্বারাই গীত হয় । ইহাদের সঙ্গীত্তেও