পাতা:প্রবাসী (প্রথম ভাগ).djvu/৪৯৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8 o 8 দ্রৌপদীকে বলে যে অরণ্য মধ্যে স্থিত দেবীমন্দিরে গিয়া যদি তিনি দেবীর পূজা করেন, তাহা হইলে তাহার সমুদয় দুঃখ দূর হইবে। সরলা দ্রৌপদী তাহার কথায় প্রতারিত হইয়া ক্রমেই গভীর হইতে গভীরতর অরণ্যে প্রবেশ করিতে থাকেন । অবশেষে যখন সন্ধ। হঠয়া আসিল, তখন ও কোন মন্দির দেখিতে না পাইয়া তাহার মনে ভয়মিশ্রিত সন্দেহের উদয় হয় । চিত্রে তাহাকে ভীত ও অগ্রসর হইতে অনিচ্ছুক এই ভাবে অঙ্কিত করা হইয়াছে। সিঙ্গিক তাঙ্গার অনিচ্ছা দেখিয়া এই সময়ে নিজমূৰ্ত্তি ধারণ পূৰ্ব্বক তাহাকে বলপূর্বক হরণ করিয়া লইয়া যায়। কিন্তু নকুল দ্রৌপদার ऎद् िगांश्म यःङ्गन ! 关 3রবিবৰ্ম্মার অঙ্কিত এবারকার তৃতীয় ছবি পানির নাম “তদগতচিত্তা" । ইহাতে প্রেমাম্পদের মুখচি গুনিমগ্ন৷ কোনও তরুণীর মূৰ্ত্তি চিত্রিত হইয়াছে। 燃 弊 “শিষ্য” নাম দিয়া ਬਾਂ একজন পাঠক লিখিয়াছেন —“রাজা রামমোহন}রায়ের রাজনীতি” শীর্ষক প্রবন্ধে লেখক মহাশয়, ইয়ুরোপীয়গণ এতদ্দেশে উপনিবেশস্থাপনের অধিকার প্রাপ্ত হইলে, ভারতের ইষ্টানিষ্টের কি কি সম্ভাবনা ছিল, তদ্বিষয়ে রাজার মতসম্বন্ধে আলোচনা করিয়াছেন। প্রসঙ্গক্রমে রাজা ভবিষ্যৎ ভারতকে 'পৃষ্ঠানদেশ বলিয়া নির্দেশ করাতে লেখকের মনে একটা প্রশ্নের উদয় হইয়াছে দেখিতে পাওয়া যায়। সেইটী এই—“রাজা ভবিষ্যং ভারতবর্ধকে খৃষ্টান দেশ কেন বলিলেন?” ( পূ: ১১১ ) লেখক মহাশয় প্রশ্নটীর তিনট সমাধান প্রদান করিয়াছেন । কিন্তু বোধ হয় পরিতৃপ্ত হইতে না পারিয়া উপসংহারে লিখিয়াছেন, “প্রশ্নটা কিন্তু রহস্ত পূর্ণ।” প্রবন্ধটা পাঠ করিবার পর হইতেই আমি রাজার গ্রন্থাবলী coforsfonts two oth “Remarks on Settle SSASAS SSAS SSAS SSHSHSHSHS প্রবাসী [ ১ম ভাগ । ment in India by Europeans” নামক পুস্তিকার দ্বিতীয় প্যারায় ইয়ুরোপীয়গণের উপনিবেশদ্বারা ভারতের যেরূপ ইষ্টসাধন হইতে পারে, তাহার সমালোচনা করিয়াছেন। উক্ত প্যারার ৯ম দফায় তিনি লিখিয়াছেন -- “If however, events should occur to effect a separation between the two countrics, then still the existence of a large body of respectable settiers (conststf n£ o/ Æuroprans ama' //ieir dest e ndants professing Christianity) and speaking the English language in common with the buik of the people,(as well as possessed of superior £nowledge-- svientifi , nechanical en/ hoittical) would bring that vast empire to a level with other Christian countries in Europe, &c, &c.” এক্ষণে লেখকমহাশয়ের উদ্ধত অংশটা (পৃ. ১০) ইহার পর পাঠ করিলে রাজার মনোগত ভাব বুঝিতে আর কোন ংশয় থাকিতে পারে না । পরে পাঠ করিবার একটা তাংপর্য্য আছে । রাজ প্রথমতঃ ভারতের ভাবী মঙ্গলের আলোচনা করিয়া পরে অমঙ্গলের আলোচনা করিয়াছেন। দুইটা উদ্ধত অংশের ভাষা ও ভাবের সাদৃপ্ত এতদূর যে পুৰ্ব্বট ছাড়িয়া পরটার অর্থ হঠাৎ করা যায় না। মধুদ্ধত *Rosâ"other Christian countries”g or 3 oio কথাগুলির প্রতি বিশেষ লক্ষ্য রাখিলেই সমুদয় সন্দেহ বিদ্যু রিত হইয়। যায়। খৃষ্ঠান ঔপনিবেশিকগণ ধনে, বিদ্যাবলে, কৌশলে,ইত্যাদি সৰ্ব্ববিষয়ে ভারতবাসীর অগ্রণী হইবে,এবং তাহাদিগের নামেই ভারত জগতে পরিচিত হইবে, এমত সংস্কারের অধীন হইয়াই রাজা ভবিষ্যৎ ভারতকে খৃষ্টানদেশ বলিয়াছেন ; এতদ্বিষয়ে আর সন্দেহ হইতে পারে না ।”