পাতা:প্রবাসী (প্রথম ভাগ).djvu/৫০৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১১শ ও ১২শ সংখ্যা । ] , সঞ্চায়ের উপায় করিয়া দিতে পারেন, তাহীদের সাহিত্যসেবা সৰ্ব্বথা ধন্ত হয় । সঙ্কীর্ণতা ও অন্ধকারের ভিতর বাস করাতে যে কুপমণ্ডকবং অস্বাস্থ্যকর ও কমি আত্মসুপ্তি জন্মে, তাহ নিৰ্ব্বাসিত করিয়া, কপট অহঙ্কার ও দস্তুকে চূর্ণ করিয়া দিয়া, জগতের বিশালতার সহিত যিনি জীবনের পরিচয় করাইয়া দিতে পারেন, তাতার সাহিত্যসেব জাতীয় জীবনে নব যুগের প্রতিষ্ঠা করিয়া থাকে । সাঙ্গিতা কৃত্রিম হইতেছে কি না এবং ইহার শক্তি দিন দিন লঘু হইতেছে কি না, তাহ। দেখাও সাহিত্যসেবীর কৰ্ত্তব্য । উদ্ভিদ ও জীবের ভিতরে এক শ্রেণী আছে, যাহাদিগকে পরদুক (Parasite) বলে। এই পরভৃকেরা যে বৃক্ষে অথবা যে প্রাণীতে অধিষ্ঠান করে, তাহারই জীবনা শক্তিতে আপমারা বাচিয়া থাকে। সাহিত্যে ও পরচুকের অভাব নাই । অপরের ভাবসম্পদ লইয়া, দৈশ্বর্য লইয় তাহারা সাহিতোর বাজারে কেন বেচা করিয়া আছে মন নয় । জীবস্ববিদ পণ্ডিতগণ বলেন, স্বাবলম্বনশীল বৃক্ষ ও প্রাণিগণের দৈঙ্গিক যন্ত্রসমূহের ও শক্তিসামর্থোর যেরূপ বিকাশ হইয়া থাকে, উদ্ভিদ অথবা প্রাণিজগতে পরাভূকদিগের তেমন ত ই এই না, বরং ত{হাদের গতি উন্নতির অভিমুখী না হইয়া ঙ্গবনতির দিকে অগ্রসর হয় । আর সাহিত্যের এই পরস্তুকদিগের সাহিত্যসেবাও অল্পকালের মধ্যেই অধঃপতিত হয় । তাহারা যে নিজেরা দিন দিনশক্তিহীন হইয়া পড়িতে থাকে, কেবল তাহ নয়, তাঙ্গদের সংখ্যার বৃদ্ধি হইলে জাতীয় সাহিত্যও কৃত্রিম হয়, তাহাতে আর জীবনপ্রদায়িনী শক্তি থাকেন, তাহাতে আর মনকে উদ্বোধিত করিয়া উচ্চগ্রামে *ঠয়া যাইতে পারে না। সত্য বটে, আমরা পরকীয় ভাব, 'চ স্তু) ও বাক্যের নিকট ঋণী না হইয়া থাকিতে পারি না, ই বলিয়া কি আমাদের একটা নিজের বিশেষত্ব থাকা কৰ্ত্তব্য নয় ? আমাদের কি ব্যক্তিগত স্বাধীন বিচার থাকিপ না ? একটা সত্য পাইয়৷ কি আমরা সে সত্যটাকে আপন *ক্তি দ্বারা আপনার রক্তে পরিণত করিতে চেষ্টা করিব ন) ? অপরের পদতলে বসিয়া সত্য ব; স্তত্ব শিক্ষা করাতে অপরাধ বা অপমান নাই ; কিন্তু কথাটা এই, তাটা আগ্রহ প্রীতি ও শ্রদ্ধাসহকারে বাস্তবিকই শিখিতেছি কি না ? না, পরের কথাটা যেন তেন প্রকারে দশ জনের মধ্যে বিলাইয়া প্রবাসী দিয়া হাতে হাতে বর্ণে ৰাইতে চাহিতেছি সত্য বা তৰটা 8>○ - -------- م. - نیمه پخعی ه بدحبسته است. به ه রক্তের ন্তায় তোমার মন প্রাণে সঞ্চারিত হইয়া তোমাকে সঞ্জীবিত করিয়া তোলে ত ? শেষ কথা, সাহিতা কি কর্ণধার বিঙ্গীন তরণীর স্থায় ঘাতপ্রতিঘাতে ইতস্ততঃ বিক্ষিপ্ত হইবার জন্ত ? ঘরের রেসারেষি, হিংসা বিদ্বেষ কি সাহিত্যের পুণাক্ষেত্রে লইয়া আসা নিতান্তই আবণ্ঠক ? সাহিতা কি তোমার আমার স্বার্থের জম্ভ; না জাতীয় স্বার্থসাধন, জাতীয় উন্নতি ও বিকাশের জন্ত ? যাহার দৃষ্টি আপন লাভালাভের বিচারে, স্বার্থের অন্ধকারে মুহ্যমান, যে ব্যক্তি উদারনেত্রে জাতীয় উন্নতিরূপ মঠ সাধনার দিকে চাহিয়া থাকিতে পারেন, তাহার সাহিতাসেবকের উচ্চ আসন হইতে নামিয়া বসাই ভাল । যাহারা দেবমন্দিরের শাস্তি ভঙ্গ করে তাহারা যেমন দগুনীয়, সাহিতোর দেবমন্দিরে উচ্চ আরাধনার কথা ভুলিয়া গিয়া যাহার স্বার্থপ্রণোদি ত হইয়া সত্যের অপলাপ করে, তাহারাও তেমনই তিরস্থত হইবার উপযুক্ত। ব্ৰহ্মাগুের বিশালতার সহিত তুলনায় আমরা অতি নগণ্য ; সেই ক্ষুদ্র আমরা আমাদের ক্ষুত্র ঃ স্মরণ করিয়া যে পরিমাণে একটা সত্যকে জীবনের ভিতরে লইয়া গিয়া জীবনের রক্তে তাহা পরিপুষ্ট করিতে পারি, সেই• পরিমাণে আমাদের কথার মাহাত্মা, সেবার সার্থকতা। আমাদের দিনের স্বার্থের জন্য ব্ৰহ্মাণ্ডের গতি দাড়াইয়া থাকিবে না । আমরা সেই গতির সঠিত আপনাদিগকে যুক্ত রাখিতে পারিলেই ধন্ত হইব ; আর না হয়, পেছনে পড়িয়া থাকিয় আপন অদৃষ্টকে ধিকার দিব । ২৫শে জুলাই, ১৯৭১ । ফতেপুর-সিক্রি। তাণগ্ৰাকলেজের প্রিসিপলের বাঙ্গলার দক্ষিণ সীমা অতিক্রম করিয়াই ডান হাতে পশ্চিমদিকে সামান্ত উত্তর কোণে সাগঞ্জের রাস্ত । সাগঞ্জের মধ্য দিয়া এই রাস্তাষ্ট সোজা ২৩ মাইল দূরে ফতেপুর সিক্রি চলিয়া গিয়াছে। সাগঞ্জের পুলিশের চৌকি পার হইলে বড় একটা লোকের বসতি নাই। প্রণব রাস্তার দিকেই বড় বড় গাছ। তাই

ఃశ.::::

খ্রীসত্যানন দাস ।