পাতা:প্রবাসী (প্রথম ভাগ).djvu/৫০৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

sss পথ দীর্ঘ হইলেও সৰ্ব্বদাই ছায়াযুক্ত। দিকেই বিস্তীর্ণ মাঠ, কেবল মাঝে মাঝে কচিৎ দূরে দু একটি বসতি । ফতেপুরসিক্রির প্রায় দুই তৃতীয়াংশ পথ অতিক্রম করিলে কেরনির বসতি । এই বসতিটি বেশ বড় । এখানে বাজার আছে ; ফতেপুর-সিক্রি ও আগ্রার মধ্যে এই প্রধান আডডা ; এখানে আসিয়া সকলেই বিশ্রাম করেন বা ডাক বদলাষ্টয়া লয়েন । আগ্রা হইতে কেরনি আসিতে প্রায় দুই ঘণ্টা লাগে । তাই প্রাতে আগ্রী ছাড়িলে এখান হইতেই রৌদ্রের প্রকোপ বাড়িতে আরম্ভ করে, এবং তাঙ্গর সঙ্গে সঙ্গে পিপাসা পাইতে থাকে। ফতেপুর-সিক্রি দেখিতে যাওয়ার সময় সঙ্গে আগ্রা হইতে ভাল জল লইয়া যাইতে হয়, লাস্তার নেন জল গলাধঃ করা প্রায় অসাধ্য ব্যাপার। এমনকি ফতেপুর-সিক্রি পেছিয়া ও ভাল জল পাও দুরূহ। কেরনি ছাড়িয়া কতকদূর অগ্রসর হইলেক্ট দূরে অনুচ্চ পৰ্ব্বতশ্রেণী দেখা যাইতে থাকে। তখন হইতে ফতেপুরrিক্রি দর্শনেচ্ছা একটু বেশী প্রবল হয়, মনে হয় আর কতক্ষণে ফতেপুর-সিক্রি পেছিব । ফতেপুর সিক্রির বাহিরে অনেক ধনী লোকেরা উষ্ঠানাদিতে বাস করিতেন, স্থানে স্থানে আজি ও তাতার ভগ্নাবশেষ বর্তমান থাকিয়৷ ফতেপুর-সিক্রির পূর্ণ গৌরব জাগাইয়া রাখিতে চেষ্টা পাইতেছে।, ক্রমে ফতেপুর-সিক্রির বিরাট উচ্চ প্রাচীর দৃষ্টিগোচর হয়, এবং দেখিতে দেখিতে ফতেপুর-সিক্রির আগ্রার দিকের প্রাচীরের দ্বারদেশে আসিয়া উপস্থিত হইতে হয়। আগ্রার সঙ্গর ছাড়িয়া এথানটা ২২শ মাইল । এখান হইতেই আকবর সাহের ফতেপুর-সিক্রি আরম্ভ কিন্তু ফতে পুর-সিক্রির প্রাসাদ ও অন্যান্ত দর্শনীয় ভগ্নাবশেষ এবং আধুনিক ফতেপুর-সিক্রি,আরও এক মাইল দূরে। এখান হইতে রাস্তার দুপাশেই পুৰ্ব্ব উষ্ঠানাদির ভগ্নাবশেষ যথেষ্ট বৰ্ত্তমান রহিয়াছে ; অনেক স্থানেই কেবল লtলরঙ্গের প্রস্তরের স্তুপ তাঙ্গার সাক্ষা প্রদান করিতেছে। কিছুদূর অগ্রসর হইয়া রাস্ত দুই দিকে বিভক্ত কইয়াছে । ডানহাতের রাস্তাটি কিঞ্চিৎ উচুর দিকে ; কিন্তু সে রাস্ত ধরিয়া গেলে লোজা ভগ্নাবশেষের মধো যাওয়া যায় । আর সেই রাস্তায় গেলে ডাকবtঙ্গলার নিকটে যাইয়াই গাড়ী থামে । তাই সাহেবের প্রায়ই সেই রাস্তায় যাইয়া থাকেন। বাম হাতের প্রবাসী [ ১ম ভাগ। রাস্তায় গেলে বুলন্দদরজার নিকট পাহাড়ের পাদদেশে উপস্থিত হইতে হয় । দেশীয়ের প্রায়ই এই রাস্তায় যাইয়া থাকেন । রাস্তার পাশে কোনও উদ্যানে যাইয়া বিশ্রাম ও আহারাদি করা যায়। অবশু বলিয়া রাখা কৰ্ত্তব্য, উষ্ঠান বলিয়া বিশেষ সুবিধা নাই। থাবার ইত্যাদি সব আগ্রা হইতে আনিয়া এখানে গাছতলায় বসিয়া খাওয়া,এই যা মুখ, বেশ একটু বনভাতি হয় । দরকার হইলে ফতেপুর সিক্রিতে খাবার জোগাড় করিয়া লইবেন, সে আশা কর। বৃথা ; বাজার দূরে, আর ভাল জিনিষ পাইলেও যথেষ্ট পাইবেন কিনা সন্দেহ । ডাকবাঙ্গলায় পূৰ্ব্বেত খবর দিতে হয়, নতুব। সেখানে উপস্তিত হইয়া অনুসন্ধান করিয়াও বিশেষ লাভবান হইবার অাশা অল্প; আমরা ঠেকিয়া শিথিয়ছি । সৰ্ব্বোপরি ফতেপুর-সিক্রির মাছির উপদ্রব । আমাদের মতে ফতেপুর সিক্রি লাইতে হইলে যথেষ্ট খাবার সঙ্গে লইয়া মা ওয়াই বাঞ্ছ, নীয় । তিন ঘণ্টা সাড়ে তিন ঘণ্টা গাড়ী বা এক্কার ঝ কিনিতে বেশ ক্ষুৎপিপাসার উদ্রেক হইবার কথা এবং পাঁচ ছয় ঘণ্টা উঠা নামা করিয়া সব দেখিতে গেলে যথেষ্ট পরিশ্রাস্ত বোধ করিতে হয় । আকবর সাহের ফতেপুর-সিক্রি স্থাপন ও অবশেষে আগ্ৰায় রাজধানী পুনঃস্তাপন সম্বন্ধে কিম্বদ গ্ৰী আছে । বাবর যখন প্রথম আগ্ৰায় তাহার রাজশন সংস্থাপন করেন, তখন ১৫২৭ খ্ৰীষ্টাব্দে রান সঙ্গ ও অন্যান্ত সমবেত রাজপুতদিগকে সিক্রির যুদ্ধে পরাজিত করেন । সিক্রি তখন সামান্ত বসতি, তাছার অদূরেই জঙ্গলাকীর্ণ সিক্রির পাহাড় । আকবর সাহের রাজত্বকালে ঐ পাহাড়ের নিভৃত গুহায় সলিম নামে এক প্রতিভান্বিত ফকির বাস করিতেন । পারস্তদেশের চিস্তগ্রামনিবাসী ধৰ্ম্মগুরুর শিষ্য বলিয়া তিনি সলিমচিস্তি নামে অভিহিত হইতেন । আমরা যে সময়ের কথা বলি: তেছি, তাহার কিয়ৎদিন পূৰ্ব্বে অস্বররাজকুলোদ্ভব আকবর মহিষী রাজাবিহারীমলের চুক্তিতার কুমারদ্বয়ের কাল হইয়াছে তাই আকবরসাহ নিঃসন্তান অবস্থায় নানা চিন্তার মধে দেব ও গুরুর কৃপা প্রাণী হইলেন । সিক্রির পাহাড়েঃ ফকিরের প্রভাব তাহার কর্ণগোচর হওয়া বিচিত্র নয় ১৫৬৯ খ্ৰীষ্টাৰো উজবেক আমীরদিগকে দমন করিয়া আঞ্জ প্রত্যাবর্তনকালে সিক্রির পাহাড়ে তিনি ফকিরের সহিত