to o গামাষ্টতে পারি? সে বুদ্ধের কাশি, রুদ্ধ করে, কার সাধা ? ) হাসিতে, হাসিতে হায় কেমনে থামাই বল সিদ্ধির সে হাসি ? ক্টাচি ষ্টাচি, কাশি কাশি, হাসি মঙ্গহাসি, কাদি কান্না, ছুটতে ছুটিতে, উঠি পড়ি, ছাড়িয়া কটরা-রোড, একেবারে গিয়া সৌথ-রোডে পড়িলাম, চাপাইয়া ছুটে। বারা গুণয় সাজাষ্টয়া অদ্ভুত ক্যামের মনানন্দে ছিল তথা গোয়ার গোবিন্দ লাঙ্গাল বাকুড়াবাসী চেষ্ট রামানন্দ ! আর ছিল বসি তথা কাঙ্গাল বাঙ্গাল, ভূট্টাপ্রিয় খোট্ট কবি শঠেন্দ্র দেবেন্দ্র । অপূৰ্ব্ব মাণিকযোড়, কাছে মোরে ডাকি সোঙ্গাগে ও যত্নে, মোর ছবি নিল তুলি ! ( বড়ই বেয়াড় ছায় সাহিত্যের তৃলি । ) পাশে ছিল দাড়াইয়া বালকৃষ্ণসম ক্ষুদ্র শিশু, সেও মম মূরতি নেঙ্গারি হাসিবে কি ? কাদিবে কি ? বুঝিতে ন পারি, মৌনী কোন ঋষিসম অবাক অচল! আমি এবে চিরতরে রহিনু চিত্রিত, অস্তুত, আজ গুবি, ন ভূতং ন ভবিষতি, "বিশ শতাব্দীর আহ অপূৰ্ব্ব কেলুয়া " বাঙ্গালী । ঘণহারা বাঙ্গালা দেশে জন্মগ্রহণ করিয়াছে, তাহদের মধ্যে অনেকে বাঙ্গালী বলিয়া পরিচিত হইতে লজ্জাবোধ করে ; তাহারা বলে,— বাঙ্গালা দেশে জন্মগ্রহণ করিলেই বাঙ্গালী হয় না। যাহাদের মাতৃভাষা বাঙ্গালা, তাতাদের মধ্যেও কেহ কেহ বাঙ্গালী বলিয়া পরিচিত হইতে ইতস্তত: করিয়া থাকে ; তাঙ্গার বলে,— বাঙ্গালী ভাষায় কথাবাৰ্ত্ত। কহিলেই বাঙ্গালী হয় না। তবে কাতাকে বাঙ্গালী বলিব ? যাচার স্মরণাতীত কাল হইতে বাঙ্গাল দেশে বংশানুক্রমে বাস করিয়া আসিতেছে,- কদাপি বাঙ্গালার চতুঃসীমার বাহিরে পদার্পণ করে নাই, কেবল তাঙ্গারাই কি বাঙ্গালী? সে প্রবাসী [ ১ম ভাগ । হিসাবে গারো কুকী এবং সাওতালেরাই খাটি বাঙ্গালী বঙ্গবাসী ব্রাহ্মণ কায়স্থ বৈদ্য প্রভৃতি সভ্যজাতি বিদেশাগত উপনিবেশনিবাসী মাত্ৰ ! জন্মস্থান এবং মাতৃভাষা লইয়া বিচার করিতে হইলে বঙ্গদেশ প্রস্থত বঙ্গভাষাভাষী ব্যক্তিমাত্রকেই এখন বাঙ্গালী বলিয়া অভিহিত করিতে হইবে। কাতার পূর্ব পুরুষ কোন অজ্ঞাত পুরাকালে বঙ্গদেশে প্রথম পদার্পণ করিয়াছিলেন, সে কথা এখন বিচার করিবার প্রয়োজন নাই । কিন্তু জন্মস্থান নির্ণয় করিনার পূৰ্ব্বে কোন ভূভাগকে বাঙ্গালা নামে অভিহিত করিব, তদ্বিষয়ে নানা তর্ক বিতর্ক উপস্থিত হইতে পারে। যেখানে বাঙ্গালা ভাষাই সচরাচর কথোপকথনের ভাষা, তাহাকে বাঙ্গালাদেশ বলিতে হুইলে,— আসাম, উৎকল, বিহার ও ছোটনাগপুর পরিত্যাগ করিয়া, রাজসান্ধী, বৰ্দ্ধমান, ঢাকা ও প্রেসিডেন্সি বিভাগের কয়েকটি জেলা লইয়াই বাঙ্গালা দেশের সীমা-নির্দেশ করিতে হইবে । এই সকল জেলার জন-সাধারণের সচরাচর কথোপকথনের ভাষা বাঙ্গালা ;– এখানে যে অল্পসংখ্যক ভিন্ন-ভাষা-ভাষী অন্য লোক দেখিতে পাওয়া যায়, তাঙ্গর তীর্থের কাক, চুইদিনের প্রবাসী, দেশের ভূমির সঠিত তাঙ্গাদের কোনরূপ স্থায়ী সম্বন্ধ সংস্থাপিত হয় নাই । ইহারা অদ্যাপি শারীরিক শ্রম বা শিল্পকৌশল বিনিময়ে জীবিকার্জন করিবার জন্য বাঙ্গালা দেশে ইতস্ততঃ বিচরণ করিতেছে। বাঙ্গালার এই চারিটি বিভাগকে যথাক্রমে উত্তর, পশ্চিম, পুৰ্ব্ব ও দক্ষিণ বাঙ্গাল নামে অভিহিত করা যাইতে পারে। উত্তর বাঙ্গালার উত্তরে পাৰ্ব্বত্য জনপদে ভিন্ন ভাষা, ভিন্ন জাতি ; সুতরাং উত্তর বাঙ্গালার উত্তরাংশ খাটি বাঙ্গালা নহে। পশ্চিম বাঙ্গালার পশ্চিমে বিহার ও ছোটনাগপুর, দক্ষিণে উৎকল ; সুতরাং পশ্চিম বাঙ্গালার পশ্চিম ও দক্ষিণাংশ খাটি বাঙ্গাল নহে । পুৰ্ব্ব বাঙ্গালার উত্তরে আসাম, পূৰ্ব্বে ব্ৰহ্ম রাজ্য ; স্বতরাং পূর্ববাঙ্গালার ও উত্তর এবং পূর্বাঞ্চল খাটি বাঙ্গালা নহে । কেবল দক্ষিণ বঙ্গই এই হিসাবে খাটি ৰাঙ্গালা । খাটি বাঙ্গালা হউক, কিন্তু দক্ষিণ বঙ্গ আধুনিক জনপদ । —পুরাকালে ইহার অস্তিত্ব পর্যন্ত সমুদ্র-নিহিত ছিল। উত্তর পশ্চিম ও পূর্ব বাঙ্গালী যখন শের্ষ্যে ৰীধ্যে সাহিত্যে শিল্পে সদাচারে ও সভ্যতায় ভারতবর্ষের সর্বত্র সুপরিচিত, দক্ষিণ
পাতা:প্রবাসী (প্রথম ভাগ).djvu/৫৬
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।