পাতা:প্রবাসী (প্রথম ভাগ).djvu/৫৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১ম সংখ্যা । ] }বাঙ্গালা তখনও গঙ্গা ও ব্রহ্মপুত্রের স্রোতবিধৌত বঙ্গোপসাগরের তরঙ্গতাড়িত নবোদগত বালুকাতট ভিন্ন আর কিছু নহে ! সেই বালুকাতটগুলি কালক্রমে মানব-নিবাসের উপযোগী হইয় প্রথমে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র দ্বীপৌপদ্বীপ ও পরে হুবিস্তৃত সমতল রাজ্যে পরিণত হইয়াছে । ভূগর্ভ খনন করিবার সময়ে ইঙ্গার যথেষ্ট প্রমাণ প্রাপ্ত চ ওয়া যায় ; পুরাতত্বের আলোচনা করিবার সময়ে ও ইষ্টার কিছু কিছু পরিচয় প্রকাশিত হইয়া পড়ে । বাঙ্গালা দেশের ইতিহাস প্রথমে দুইটি প্রধান ভাগে বিভক্ত করা উচিত ; দক্ষিণ বঙ্গের অভু্যদয়ের পূর্ববৰ্ত্তী ও পরবর্তী কাল লইয়। ইতিহাসের কালবিভাগ করা যাইতে পারে। দক্ষিণ বঙ্গ অভূদিত হইবার পূর্বকালে বাঙ্গাল দেশের অবস্থা কিরূপ ছিল, সেদেশে কাছার বাস করিত, তাঙ্গাদের দ্বার বাঙ্গালা দেশে কোন কোন কীৰ্ত্তি সংস্থাপিত হইয়াছিল,—সে কত দিনের কথা এই সকল প্রশ্নের উত্তর প্রদান করা অসম্ভব হইয়া উঠিয়াছে । তৎকালে আর্যাবৰ্ত্তে অঙ্গ বঙ্গ কলিঙ্গ এই তিনটি প্রাচ্য জনপদের নাম পরিচিত ছিল বলিয়া বোধ হয়। তন্মধ্যে বঙ্গ বলিতে কেবল পূৰ্ব্ব বাঙ্গালাকেই বুঝাইত ; পশ্চিম বাঙ্গাল কলিঙ্গের ও উত্তর বাঙ্গালা মিথিলা বা ত্রিভৃতের অভিভূক্ত ছিল বলিয়াই বোধ কয় । অঙ্গ রাজ্যের পূৰ্ব্বে কলিঙ্গ রাজ্যের এক দেশে বনখণ্ডের অভ্যন্তরে অারণা গজের প্রান্তের্ভাব ছিল ; পশ্চিম বঙ্গের লোকে সেই আরণ্যগজ মুশিক্ষিত করিয়া রণক্ষেত্রে ভদ্ধর্ষ হইয়া উঠিয়াছিলেন। পাশ্চাত্য পণ্ডিতবর্গের গ্রন্থে ইষ্টারাষ্ট গঙ্গারাঢ়ীয় নামে পরিচিত। তৎকালে উত্তর বঙ্গ মিথিলা বা ত্ৰিভতের অন্তর্গত থাকিয় কৃষি শিল্প ও সাহিত। সেবায় নিযুক্ত ছিল, পূৰ্ব্ববঙ্গ এক প্রান্তে আসাম ও অপর প্রান্তে ব্ৰহ্মরাজ্যের অধিবাসিবর্গের সহিত নিয়ত সংগ্রামে লিপ্ত থাকিয়া আত্মরক্ষ করিত। পুরাকালের পশ্চিম ও পূৰ্ব্ব বাঙ্গালায় শৌৰ্য বীৰ্য্য এবং উত্তর বাঙ্গালায় শিল্প ও সাহিত্যোন্নতির এই अनुमान নিতান্ত ভিত্তিহীন বলিয়া বোধ হয় না। শিল্প ও সাহিত্যের জামান্নতির জন্ত যে শান্তি ও বিশ্রাম-বুশের প্রয়োজন, পূৰ্ব্ব বা পশ্চিম ৰাঙ্গালায় তাহ তখনও প্রতিষ্ঠিত হইতে পারে नहैि। किइ भूर्ल ও পশ্চিম বাঙ্গালা অতি প্রাচীন কাল す。 প্রবাসী @ S হইতেই বাণিজ্যে লিপ্ত হইয়া জলপথে নানা দিদেশে গমনাগমন করিতে আরম্ভ করিয়াছিল। তদুপলক্ষে সমুদপথে প্রশান্ত-মহাসাগরমধাস্থ দ্বীপপুঞ্জে ও চীনরাজ্যে যে ভারতীয় সভাত সুবিস্তৃত হয়, পুর্ণ ও পশ্চিম বাঙ্গালার লোকেরাই তাঙ্কার প্রধান নিদান । তাঙ্গাদের বীরবাড় স্বদেশরক্ষার্থ নিয়ত নিযুক্ত থাকিয়া স্বদেশের পণ্য ভাণ্ডার বিদেশে বহন করিয়৷ বিদেশের রতুরাশি স্বদেশে আনয়ন করিত ইষ্টার ফলে ভারতবর্ষের পূর্বাঞ্চল নানা দূরদেশে ও সুপরিচিত তষ্টয়াছিল । তৎকালে আমাৰ্য্যাবক্টের সঞ্ছিত পশ্চিম ও উত্তর লাঙ্গালার যে রূপ সাক্ষাং সঙ্গন্ধ লস্তমান ছিল, পুধব লাঙ্গালার সেরূপ স° শ্ৰব লাভের সুযোগ ছিল না। পূৰ্ব্ব বাঙ্গালা আর্যাবর্কের মুসভা আর্যানিবাস হইতে বহুদূরে বিচ্ছিন্নভালে বিন্যস্ত বলিয়া, তথায় মাত কিছু সভ্যতার বিকাশ হইয়াছিল, তাঙ্গ একরূপ স্বাধীন ও স্বতন্থ ভাবেই বিকশিত হইয়াছিল। লোপ ষ্টয় এই সকল কারণে তংকালে বঙ্গ ললিতে কেবল পূৰ্ব্ব বঙ্গকেই বুঝাইত ; পশ্চিম ও উত্তর বঙ্গ বঙ্গমধ্যে পরিগণিত হত না । পুৰ্ব্ববঙ্গের প্রতাপ জলে স্থলে পরিব্যাপ্ত হইবার পর চাইতেই কালক্রমে উত্তর ও পশ্চিম বাঙ্গালাও বঙ্গমধ্যে পরিগণিত হইয়া পড়িয়াছে—এইরূপ সিদ্ধান্ত নিতান্ত মসঙ্গত বলিয়া বোধ হয় না । বঙ্গ বড়দিনের সভ্য জনপদ । এখানকার ভাষা, এথানকার লিখনপ্রণালী, এখানকার গৃঙনিৰ্ম্মাণকৌশল ভারতবর্ষের অত্যান্ত প্রদেশ হঠতে পৃথক । পশ্চিম বঙ্গের বাঙ্গালী ভাষা মৰ্পন সংস্কৃত সংস্রব পরিত্যাগ করিয়া ভিন্নরূপধারণ করিতেছিল, পূৰ্ব্ববঙ্গের ভাষায় তপন ও সংস্কৃতের ছায়া সম্পষ্ট অভিলাক্ত তহঁত, অষ্ঠাপি তাঙ্গর অনেক পরিচয় প্রাপ্ত হওয়া যায়। লিখন প্রণালী পুরাতন পালি বা দেবনাগরী বা মৈথিলী আকার পরিত্যাগ করিয়া যে ধীরে ধীরে স্বতন্ত্র আকার ধারণ করিয়াছে, তাহাও পূৰ্ব্ববাঙ্গালা হইতে উদ্ভূত হইয়াছিল বলিয়া বোধ হয়। পূৰ্ব্ববঙ্গের গৃহনিৰ্ম্মাণকৌশল ভারতবর্ষের অন্যান্য প্রদেশের কেন—উত্তর ও পশ্চিম বাঙ্গালার গৃহনিৰ্ম্মাণকৌশল হইতেও বিভিন্ন ; বরং এতদ্বিষয়ে উত্তর ও পশ্চিম বাঙ্গালা প্রায় একরূপ, কেবল পূৰ্ব্ববাঙ্গালটি পৃথক। পূৰ্ব্বাঙ্গালার শিরোতিও - سهت TEす* 3