২য় সংখ্যা । ] কতা প্রতিপন্ন করিতেছে। তিনি বিষয়গৌরবের প্রতি দৃষ্টি রাবিয়াছেন, কিন্তু মনোহারী হইবার জন্য কিছুমাত্র যত্ন করেন নাই। আর প্লেটাে যেমন অপূৰ্ব্ব দর্শন রচনা করিয়াছেন, তেমনি ভাষাটকে আবেগময়ী, মৰ্ম্মস্পর্শিনী, লালিতাপূর্ণ, মনোবিজ্ঞানে অতুলনীয়া করিয়া তুলিয়াছেন। কত শতাবী অতীত হইল প্লেটে স্বর্গারোহণ করিয়াছেন, কিন্তু আজ পর্যন্ত তাহার কবিত্বময়ী ভাষায় আর সুখপাঠ্য দশনশাস্ত্র রচিত হইল না । দর্শনের কথা যখন উঠিল, তখন এ বিষয়ে সংক্ষেপে আর দুই একটী কথা বলা উচিত । গ্রীক দর্শনকে ইউরোপীয় মনোবিজ্ঞানের জনকরূপে নির্দেশ করিলে অসঙ্গত হয় না । বেকনের সময় পর্যন্ত পাশ্চাত্য দেশসমূহে অরিষ্টটলের একাধিপত্য ছিল ; এথন ও ইউরোপীয় পণ্ডিতমণ্ডলী প্লেটে ও অরিষ্টটলকে ভক্তির সহিত অৰ্চনা করিয়া থাকেন। বাস্তবিক তাহারা গ্ৰীক দর্শনের এত দূর পক্ষপাতী, যে অনেকে ভারতবর্ষে মৌলিক দর্শনের অস্তিত্বই স্বীকার করিতে চাহেন না। তাহারা প্রশ্ন করেন, গ্রীকদিগের নিকট হইতে ধার না করিয়া আপনার স্বয়ং কিছু উদ্ভাবন করিয়াছে, এমন জাতিও কি এ সংসারে আছে ? আমরা ইহাদিগের অন্ধতা দেখিয়া আমোদ বোপ করি ; কিন্তু আমাদিগকেও স্বীকার করিতে হয়, গ্ৰীক জ্ঞান ও সভ্যতার প্রভাব বড় আশ্চর্য ছিল। গ্রীক ভাষায় নুতন বাইবেলের রচনা ইহার অন্যতম দৃষ্টান্ত । এক জন কবি বলিতেছেন—
- —পরাজিত গ্রীস,
বৰ্ব্বর বিজেতাগণে করিয়াছে জয়, কাড়িয়া লয়েছে শিল্প,সাহিত্য, বিজ্ঞান ।” বস্তুতঃ আর কোনও জাতি গ্রীকদিগের ন্যায় পরাজিত, পরাধীন হইয়াও জেতাকে এমন করিয়া জয় করিতে পারে নাই। গ্রীসের সংস্পর্শে আসিয়া রোমানের নবলবন লাভ করিল। পরাজিত জাতির সভাত, সাহিতা, ধৰ্ম্মবিজ্ঞান, আচার ব্যবহার গ্রহণ করিয়া তাহারা নুতন বেশে নুতন উদেপ্তসাধনের মানসে কৰ্ম্মক্ষেত্রে প্রবেশ করিল। গ্রীস হইতে রোমে, রোম হইতে সমগ্র ইউরোপে উন্নত জ্ঞান, महीन आम*, अङिनद छिद्ध4भर्जी »ब्रिश'श झल्लेट । প্রবাসী ᏔᎲᏑ এই সে দিনও পঞ্চদশ শতাব্দীতে তুর্কীরা কনষ্টাণ্টিনোপল জয় করিলে যখন দলে দলে গ্রীকগণ ইটালীতে যাইয় আশ্রয় গ্রহণ করিল, তখন তাঙ্গদের আগমনে ইউরোপে জ্ঞানের পুনৰ্জ্জন্ম চইল : ইটালী, ফ্রান্স, ইংলগু বাগ দেবীর বীণাঝঙ্কারে মুখরিত হইয়া উঠল । পতিত, মৃতকর মানুষের স্পশেই যদি এমন হয়, তবে জীব স্তু জাতিটা না জানি কেমন শক্তিশালী ছিল । গ্রীক প্রকৃতি বড় বৈচিত্র্যময়ী ( versatile ) । তাহা না হইলে কি তাহার। হিন্দুদিগের নিকট জ্যোতিষ শিপিয়া আবার উত্তর কালে ভারতে গুরুরূপে উপস্থিত হইতে পারিত ? তাহা ন হইলে কি তাহার রোমে যাইয়া বিজেতা রোমকদিগকে আস্তে আস্তে উপঞ্জীবিকার ক্ষেত্র অপসারিত করিতে পারিত ? বড় ক্ষোভে বিদ্ধপবজ,ধর যুবেনল অন্তভেদী দী নি:স্বাস পরিত্যাগ করিয়া বলিতেছেন – “ এই কি সে রোম ? - এ তো গ্রীক নগরী ! যে দিকে ফিরাই মাধি, গ্ৰীক বই নাহি দেখি, এ বিষম জ্বালা, বল, কিসে পাসরি ? ব্যাকরণ, অলঙ্কার, আছে কণ্ঠে চমৎকার— বুভূক্ষু গ্রীকের কিছু অবিদিত নাই ; অধ্যাপক, চিত্রকর, ঋষি, বৈদ্য, কলাধর, দৈবজ্ঞ, নৰ্ত্তক, নট, সকলি গোদাই ।” মনস্বিতায় কোন ও জাতিষ্ঠ গ্রীকদিগকে অতিক্রম করিতে পারে নাই । কাব্যে হোমর, বিয়োগাষ্ঠ নাটকে এস্কাইলস, বিদ্ধপাত্মক নাটো অরিষ্টফেনিস, ইতিহাসে থুসিডিডিস, বাগ্মিতায় ডিমস্থেনিস, দর্শনে প্লেটে ও অরিষ্টটল, মেলিকতায় সক্রেটিস, কোন জাতি না ইহাদিগকে পাঠলে শ্লাঘা অনুভব করিত ? তথাপি এমত বলিতে পারি না যে ইহাদিগের শুভ্র জয়ন্ত্র অম্লান হইলে ও তৎপার্থে পরবর্ত্তী অপর সকলের গৌরবপ্রভাই ছায়াময়ী বোধ হইতেছে । তবে, এক বিষয়ে গ্রীকগণ এখনও তুলনারহিত। চিত্ৰতুলিকার সাহায্যে, অথবা ধাতু প্রস্তুর-সহযোগে তাঙ্গর যে সৌন্দৰ্য রচনা করিয়া গিয়াছেন, কোনও সুনিপুণ শিল্পী আজ পর্য্যন্ত তাহার BuD DD BuB BBB uS ttHHHu MMttS ۔ --سہ تۂ হহতে