পাতা:প্রবাসী (ষট্‌ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/১০৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বর ও নফর শ্ৰীবিভূতিভূষণ মুখোপাধ্যায় ७ई कब्रिजखलिद्र निविष्ठद्र भछिन्नब्रव्र खना ०७8• गोष्णद्र अ*शब* মাসের 'প্রবাসী’তে “বরযাত্ৰী” গল্পটি একবার পড়িয়া লইলে ভাল হয় । ] S গনশা বলিল—“আমার ক-ক-কপালে পরের শ্বশুরবাড়ী গিয়ে সুখ লেখা নেই। সে-বারে কালসিটেয় তিলুর বরযাত্রী হয়ে গিয়ে ওই হ’ল ; পরশু মামীর বাড়ী গেছলাম । মী-স্মামী ডেকে ডেকে তেইশ জনকে পেরনাম করালে,— তিন জন ফাউ ; সেখানে অত গুরুজন আছে জানলে ওদিক মাড়াতাম না। কে+কোমরের ফিক্‌ ব্যাথাটা এস আউড়ে উঠেছে - " ত্ৰিলোচন প্রশ্ন করিল—“ফাউ মানে ?” “তি-তিনটে তাদের মধ্যে দাসী ছিল ; মানে, ঘাড় তুলে দেখবার ত আর ফুরসৎ ছিল না। কে. গুপ্ত বলিল—“ভিড় জিনিষটা ফুটবলের মাঠেই । ভাল মশায় ;–গাড়ীতে বলুন, শ্বশুরবাড়ী-কুটুম্বাড়ীতে বলুন--” গোরাচাঁদ বলিল—“নেমন্তময় বল—বডড অসুবিধেয় পড়তে হয় ।” রাজেন জিজ্ঞাসা করিল—“তোর নিজের বিয়ের কি হ’ল র্যা গনশা ? মামা বলে কি ?” গনশার মুখটা অদ্ভুত ভাবে বিরুত হইয়া পড়িল। একটু পরে সংক্ষেপে বলিল—“কুষ্ঠির মিল হয়ত গু-গু-গুঠির মিল হয় না ; ওরা বলে এক, মামারা বলে আর । বিয়ের কথা হচ্ছে, কিন্তু বৌ-বেীয়ের কথা চাপা পড়ে গেছে। ঘোৎনা বলিল—“আসলে ওর মামারা ঠাউরেছে, এর মধ্যে একটা চাকরি-বাকরি হয়ে গেলে দাও মারবে। গ্যাঞ্জেস মিলে ত সেদিন গিছলি, কি বললে ?” গোরাচাদ বলিল—“ভিড়ের কথা যদি বললি ত আমার শ্বশুরবাড়ী ভাল —বউ, শ্বাশুড়ী, খুড়শাশুড়ী ; একটি শালী, শাল আর শালাজ ; পিসেমশাই বলে ডাকবে, তার জন্যে শালাজের একটি ছেলেও দিয়েছেন ভগবান,—মানে যে-কটি দরকার ঠিক সাজান, ফালতু ভিড় পাবে না। বাজেমার্কার মধ্যে এক শ্বশুর—তা সে-বেচারি সন্ধ্যের পর অাপিম খেয়ে পড়ে থাকে—নিশ্চিন্দি ।” কিছুক্ষণ চুপচাপ গেল, বোধ হয় সবাই মনে মনে গোরাচাদের কথাগুলি রোমন্থন করিতে লাগিল । একটু পরে গোরাচাদ আবার বলিল—“শিগগির একবার যেতে লিখেছে : শাশুড়ী অনেক দিন দেখে নি কি না ।” রাজেন প্রশ্ন করিল—“কবে যাচ্ছিস্ ?” “বাবা বলছে এটা মলমাস ; ক’টা দিন যাক, তার পর ” গনশা বলিল—“বে-ৰ্ব্বেট ছেলের আবার মলমাস ! তুই ত আর স্বামীর ঘর করতে যাচ্ছিল না।” রাজেন শিস্ দেওয়া আরম্ভ করিয়াছিল, থামাইয়৷ বলিল—“আমি ত বুঝি শ্বশুরবাড়ী যাব—ঠিক যখন কেউ ভাববে না যে জামাই আসছে। তাহলেই ত যার জন্যে যাওয়া তাকে ঠিক স্বাভাবিক অবস্থায় দেখতে পাব। বলা নেই, কওয়া নেই, হুট করে গিয়ে পড়লাম—বে বোধ হয় তখন গা ধুয়ে উঠে কালো চুলে রাঙা গামছা জড়িয়ে জল নিংরোচ্ছে- - -” গনশা বলিল—“ঘুম থেকে উঠে—ক-কড়াইমুড়ি চিবোতেও ত পারে, নয়ত মুখ ভেংচে ঝগড়া করতে কারও সঙ্গে- • * গোরাচাদ রাজেনের মত কবি না হইলেও রাজেনের কথাটা তাহার মনে লাগিল –সূতন বিবাহ ত! একটু চুপ করিয়া থাকিয়া বলিল—“কিন্তু তাতে খাওয়া-দাওয়ার একটু অস্থবিধে হয়, জোগাড়যন্ত্র কিছু থাকে না কি না, আর আমার শ্বশুরবাড়ী একটু আবার পাড়া-গা-গোছেরও।” ত্ৰিলোচনের নববিবাহের রসচেতনায় একটু আঘাত