পাতা:প্রবাসী (ষট্‌ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/১২৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

SSR প্রবাসী sరి8ల్ ঘণ্টা নেচেও কোন কষ্ট বোধ করে না । বন্ধটির নাম ‘বেড়ে । শোনা যায়, এটি তামিলদের ‘বরবাদ্য’ নামে বাদ্যযন্ত্রের অপভ্রংশ । আকারে প্রায় উত্তর-ভারতীয় পাখোয়াজের মত কিন্তু শব্দের পার্থক্য আছে অনেক ; দক্ষিণ-ভারতের ‘কথাকলি' নৃত্যের বাজন মাদলম্-এর মত অবিকল দেখতে । “লাষ্টয়াণ্ডি’-মৃত্যু এই কাণ্ডি-নাচের তিনটি ভাগ আছে । প্রথমটির নাম ‘নাইয়াণ্ডি’, পালি-হাতে নাচ । এই পদ্ধতিটিই শ্রেষ্ঠ । এতে আমরা নাচের ভঙ্গির বৈচিত্র্য পাই বেশী । নাচের সময় হাত-পা ও দেহ সব যেন এক হয়ে নাচতে থাকে, এইটাই বিশেষ ক'রে চোখে পড়ে। এ-কথাটা একটু বিস্তৃত ক'রে বলা দরকার । ভারতের অনেক নাচে দেখা যায় হাতের ভঙ্গি বা মুদ্রার আধিপত্য বেশী, আবার কোন কোন নাচে দেখি পায়ের নানা প্রকার তালের কাজ দেখানোই নাচিয়েদের ம் প্রধান চেষ্টা। অবগু এ-বিষয়ে মণিপুরের কাজ অন্য রকমের ; তারা হাত-পা ও দেহ সকলের ভিতর একটা সামঞ্জস্য আনবার চেষ্টা করেছে। কিন্তু সে-নাচে লালিত্যের ‘লাইয়াংি?’-নৰ্ত্তকদল প্রতি ঝোক বেশী । কাণ্ডি-মাচের মধ্যে সেচখানে । আমরা পাই হাত-পা ও দেহের সামঞ্জস্য, এবং তার সঙ্গে প্রচণ্ড বেগ ও পুরুষোচিত বীৰ্য্যের প্রকাশ । দ্বিতীয় পদ্ধতির নাম হ’ল ‘উডেঙ্কি’ নাচ । উডেঞ্চি বা ‘ডম্বর’ এক হাতে ধ’রে অপর হাতে বাজিয়ে নাচতে হয়। এতে ভঙ্গির কিছু নূতনত্ব পাই ন}–পায়ের চলন ও ভঙ্গি নাইয়াণ্ডি নাচের অনুরূপ, গানগুলিও এক । এই ডম্বর দক্ষিণ-ভারতের একটি অতি প্রাচীন যন্ত্র । এটি সেখান থেকেই সিংহলে গিয়েছিল ব’লে সকলে একমত । তৃতীয় নাচটির নাম ‘পাস্তেরু' । পাস্তেরু হচ্ছে পিতলের একটি চেপ্টা দেড় ইঞ্চি চওড়া রিং । তাতে অনেকগুলি ছোট ছোট পিতলের জোড়া চাকৃতি লাগানো, ঝর্ণকুনি দিলেই ঝম্ ঝম্ শব্দ হয়। নাচের সময়, দুই হাতে, বাজনার তালে, কখনও বাকুনি দিয়ে, কখনও শূন্তে তুলে লুফে ধরে বাজাতে হয় । এই নাচেও পায়ের কাজ অবিকল নাইয়াণ্ডি নাচের মত । আজকাল সিংহলে এই নাচ দেখবার বিশেষ স্থযোগ