পাতা:প্রবাসী (ষট্‌ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/১৩৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১২২ আণুবীক্ষণিক প্রাণীদিগকে লেজের গোড়ার দিকে মুখের কাছে ঠেলিয়া দেয় । জেলীর পিণ্ডের বহিরাবরণস্থিত প্রোটোপ্লাজম হষ্টতে আলো নির্গত হয়। নক্টিলুক পরিণত বয়সে উপনীত হইলে পাশাপাশি ভাবে দুই ভাগে বিভক্ত হইয়া যায় এবং প্রত্যেক ভাগ একটি পূর্ণাঙ্গ জীবাণুতে পরিণত হয় । তাহার আবার কালক্রমে দ্বিধা বিভক্ত হইয়৷ বংশ-বিস্তার করিতে থাকে। কাজেই আকস্মিক কোন বিপদ না ঘটিলে ইঙ্গর অতি অল্প সময়ের মধ্যে দ্রুতগতিতে বিস্তৃত হইয় পড়ে। বলিতে গেলে স্বাভাবিক মৃত্যু ইতাদের নাই। পরীক্ষার্থ অমুকুল পারিপার্থিক অবস্থায় ইহাদিগকে অনেক দিন পর্য্যস্ত বঁাচাইয়া রাখা চলে। এ অবস্থায় যদি কোন কারণে আলো বিকীরণ না করে তবে এক ফোট৷ মুরাসার বা ক্ষীণবীৰ্য্য অল্প ফেলিয়া দিলেই ষ্টতারা উত্তেজিত হুইয়৷ ওঠে এবং আলো বিকীরণ করিতে থাকে । জীবাণুমিশ্রিত জল ব্লটিং কাগজে ছাকিয়া লইলে সেই কাগজ ভষ্টতে এত আলে! পাওয়া যাইবে, যাগয় সাহায্যে ৮.৯ ইঞ্চি দূর হষ্টতেও অনায়াসে বইয়ের অক্ষর দেখিতে পাওয়া যায় । এষ্ট জীবাণুপূর্ণ জলের মধ্যে সঙ্গজ-উত্তেজক থার্শ্বোমিটার দিয়া পরীক্ষা করিলে দেখা যায় উগতে উত্তপের চিহ্নমাত্র নাই । কিন্তু ইঠাদের শরীরে কি করিয়া আলোর উৎপত্তি হয় তাঙ্গ আজও নির্দিষ্টরূপে জানা যায় নাই । স্থলজ কীটপতঙ্গ এবং বিভিন্ন জাতীয় মৎস্যের মধ্যে সে আলো দেখিতে পাওয়া যায় তাঙ্গ স্নায়ুসুত্রের সাহায্যে নিয়ন্ত্রিত চষ্টয়া থাকে এবং অধিকাংশ ক্ষেত্রেই সেই আলো যৌন ব্যাপারের সঙ্গায়ক ; কিন্তু নকৃটিলুকার শরীরের মধ্যে স্নায়ুজালের অস্তিত্ব নাই । তাঙ্গদের চক্ষুও নাই, এমন কি যৌন পার্থক্য পৰ্য্যস্ত নাই । মেরুপ্রদেশ হইতে উষ্ণ প্রদেশ পর্য্যস্ত সাগর মহাসাগরেই এই আলোর দৃশ্ব দেখা যায়, প্রশাস্ত মহাসাগরের জলে কোন কোন স্থানে এত অধিক নক্টিলুক দেখিতে পাওয়া যায় যে সেই জলে অবগাহন করিলে প্রায় এক ঘণ্ট পর্য্যস্তু সৰ্ব্বশরীয় আলোকময় দেখায় ; অষ্টেণ্ডের সমুদ্রগুলেও এই জীবাণু এত অধিক পরিমাণে বিদ্যমান যে সমুঙ্গের উপকূল-ভাগের ভিজা বালুক রাশিকে রাত্রির অন্ধকারে জ্বলন্ত লাভার মত প্রতীয়মান হয় । সমুদ্রযাত্রীরা দেখিয়াছেন, রাত্রির অন্ধকারে ভারত-সমুদ্রের কোন কোন স্থান এই জীবাণুর আলোকে বিস্তীর্ণ তুষারক্ষেত্রের মত দেখায়। সমুত্রের জলে এই জীবাণু ব্যতীত গভীর জলের নিম্নতম প্রদেশে অনেক রকমের মাছ দেখিতে পাওয়া যায় । তাঙ্গাদের মধ্যে কাহারও কাহারও শরীর হইতে বৈদ্যুতিক আলো আবার কাঙ্গারও কাহারও শরীর হইতে ঠাও আলো নির্গত হইয়া থাকে। ইহারাও প্রবাসী SN93Nలి দলে দলে বিচরণ করিয়া স্থানে স্থানে সমুদ্র জল আলোকিত করিয়া তোলে। এতদ্ব্যতীত বিভিন্ন রকমের মাছ ও জলচর পাখীর মাংসে প্রচুর পরিমাণে একপ্রকার আণুবীক্ষণিক জীবাণু জন্মগ্রহণ করে । ইহাদের শরীর হইতেও নীলাভ আলোক নির্গত হয়, ইতাদিগকে সাধারণতঃ ব্যাক্টিরিয়াম্ ফসূফোরেসেন্স’ বলে। নোনা জলের চিংড়িমাছের শরীরে প্রায়ই এই জাতীয় আলোপ্রদানকারী জীবাণু প্রচুর পরিমাণে জন্মিয়া থাকে । মরিবার প্রায় ছয়-সাত ঘণ্টা পরে মিঠা জলের চিড়ি মাছের দেহে কমবেশী আলো-বিকীরণকারী জীবাণু জন্মিতে দেখা যায় । সময় সময় নোনা জলের চিংড়িমাছের শরীর হক্টতে এত অধিক পরিমাণ আলোক নির্গত হয় যে দশ-বার ইঞ্চি দূর হইতেও তাঙ্গর সাহায্যে অন্ধকারে বইয়ের অক্ষর পড়িতে পার যায়। এই আলো-বিকীরণকারী মাছ হইতে দুই-চারিটি জীবাণু তুলিয়। লষ্টয়া বিশেষভাবে প্রস্থত এগার-এগার' বা ভাতের মণ্ডের মধ্যে ছাড়িয়া দিলে উপযুক্ত উত্তাপে সে-স্থলে তাঙ্গার প্রচুর পরিমাণে বৃদ্ধি পাষ্টয় থাকে । শরীর দ্বিধা বিভক্ত করিয়া ইহার। বংশ-বিস্তার করে কাজেষ্ট ষে-পাত্রে এগার-এগার' রাখিয়া জীবাণু ছাড়িয়া দেওয়া হয়, দিন তুষ্টয়ের মধ্যেঙ্গ সে-পাত্রটি উজ্জ্বল চষ্টয়া উঠে। চিড়িমাছ মরিবার প্রায় আট-দশ ঘণ্টা পরে আলো দেখা দিতে শুরু করে অন্ধকারে রাখিয়৷ যে-কোন সময়েষ্ট যে-কেহ এই আলো প্রত্যক্ষ করিতে পারেন । আলো অনুজ্জল ইষ্টলে সামান্ত পরিমাণ অক্সিজেন প্রয়োগে ইস্তার ঔজ্জ্বল্য যথেষ্ট পরিমাণে বাড়িয়া बाच्ने । ছবির ফটোগুলি সবষ্ট মাছের আলোতে তোলা । চিংড়ি মাছের আলো-বিকীরণ শুরু হইবার প্রায় দু-তিন ঘণ্টা পর মাছের আলোতেই অন্ধকার ঘরে ফটো লওয়া হইয়াছে । সাধারণত:, শরীরের মধ্যস্থলে ও মাথার কাছেই বেশীর ভাগ জীবাণু জন্মিয়৷ থাকে। লেজ ও মুখের প্রাস্তভাগ নিম্প্রভ । চিংড়িমাছ ব্যতীত ন্যান্ড্স ও ইলিসমাছ বাসি করিয়া রাখিলেও সময় সময় আলোবিকীরণকারী জীবাণু জম্মিতে দেখা যায়। ঠাস ও মুরগীর মাংস রাখিয়া দিলেও সময় সময় ঐক্লপ নীলাভ আলে৷ জ্বলিতে দেখা যায়। নিম্নশ্রেণীর প্রাণীদের সম্মোহিত অবস্থা আকস্মিক ভয় অথবা স্থানবিশেষে অতর্কিত আঘাতের ফলে মানুষকে যেমন কোন কোন অবস্থায় সম্মোহিত হইতে দেখা যায়, নিম্ন শ্রেণীর কোন কোন প্রাণীর মধ্যেও অতর্কিত ভয় বা আঘাতের ফলে অনুরূপ ঘটনা ঘটিয়া থাকে। ভয়ের কারণ ঘটিলে মাকড়সার সাধারণতঃ ছুটিয়া পলাইবার চেষ্টা করে ; কিন্তু অতর্কিতভাথে