পাতা:প্রবাসী (ষট্‌ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/১৩৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

कांडिन्क ভয়ের কারণ উপস্থিত হইলে কোন কোন জাতীয় মাকড়সার বুদ্ধিমুদ্ধি লোপ পাইয়া ষায় তখন হাত-পা ছাড়িয়া দিয়া তাহারা অসাড়ভাবে মৃতের স্থায় পড়িয়া থাকে। কেহ কেহ বা পাগুলিকে একত্র করিয়া শরীরের উভয় দিকে লম্বালম্বিভাবে প্রসারিত করিয়া দেয় এবং অনেক ক্ষণ পর্যাস্ত খড়কুটার মত নিম্পন্নভাবে অবস্থান করে। পাতিহাসকে হঠাং চিং করিয়া দিলে তাঙ্গার অঙ্গপ্রত্যঙ্গে সেন একট। সাময়িক জড়তা আত্মপ্রকাশ করে ; এই অবস্থায় অনেক ক্ষণ পৰ্য্যন্ত নিস্পন ভাবেই অবস্থান করিয়া থাকে। অষ্ট্রেলিয়ায় 'টনি-ফ্রগমাউথ' নামে এক প্রকার কাঠ-ঠাকুরা-জাতীয় পার্থী দেখিতে পাওয়া যায় । হঠাৎ কোন রূপ ভয় পাইলে ইহার বসিবার ডালের সমান্তরালে শরীর সোজা করিয়া দেয় এবং কাঠের মত নিজীবভাবে অবস্থান করে । দেখিয়া গাছের অংশ-বিশেষ বলিয়াই ভুল হয় । 'মরোসাস’ নামে এক প্রকার রাত্রিচর কাঠিপোকার উপর হঠাৎ তীব্র আলোক নিক্ষেপ করিলে ইঙ্গার এমনভাবে শক্ত ও অসাড় হইয়া পড়ে যে, শত চেষ্ট৷ ফুরিয়াও উহাদিগকে শুদ্ধ কাঠ ব্যাতীত স্ত প্রাণী বলিয়া বুঝিতে পারা যায় না । সাপ যখন ফণা বিস্তার করিয়া সোজা হইয়া ওঠে, তখন কৌশলক্রমে মাখার পিছন দিকে শক্ত করিয়া ধরিয়া খুব জারে একটা ঝাকুনি দিলেই একেধারে অসাড় হইয় পড়ে । এই অবস্থায় সাপকে সম্পূর্ণ মৃতের স্থায় পড়িয়া থাকিতে দেখা ৱায়। ব্যাঙকে পিছনের পায়ে ধরিয়া হঠাৎ চিং কবিয়া ফেলিলেই সমড়ার মত অনেক ক্ষণ পৰ্য্যস্ত নিম্পন্নভাবে পড়িয়া থাকে। দেশীয় জলজ কাঠিপোকাকে ঘাড়ের কাছে হঠাৎ আঘাত হাত পী গুটাইয়া সে এক খণ্ড কাঠির মত অনেক ক্ষণ নিৰ্জীৰভাবে অবস্থান করে। চিড়িমাছকেও এই সাহিত করা যাইতে পারে। চিড়ির লেজের দিক পিঠের উপর দিয়া মাখ পৰ্যন্ত একটু জোরে চাপ দিয়া উন্ট কয়েক বার আঙ ল বুলাইলে দেখা যায় যে উছার শরীরের পঞ্চশস্য লেখক-কর্তৃক গৃহীত চিত্র । সম্মোহিত প্রাণী - - উপরের সারি ; চিংড়িমাছের পিঠের উপর উল্টাভাবে জাঞ্চল টিপিয় তাহাকে অসাড় করিয়া দাড় করিয়া রাখা হইয়াছে । সামাঙ্ক আঘাতে মৃতবৎ কাঠ-পোকা । নীচের সারি ঃ জোরে বাকুনি দেওয়ার ফলে মৃতবৎ সাপ। হঠাৎ চিৎ করিয়া ফেলীয় মৃতবৎ ব্যাঙ। নিম্পন ফড়িঙ । মাংসপেশীগুলি শক্ত ও অসাড় হইয়া গিয়াছে। তখন সে আর মোটেই নড়াচড়া করিতে পারে না । এ-অবস্থায় চিংড়িকে দাড় করাইয়াই হউক বা হেলানো ভাবেই হউক যে-কোন রকমে রাখিয়া দিলে ঠিক সেই ভাবেই অবস্থান করবে। বিভিন্ন জাতীয় ফড়িঙের মধ্যেও এরূপ একটা অদ্ভূত অবস্থা পরিলক্ষিত হয়। ফড়িঙকে অতর্কিতভাবে ধরিয়া চিৎ করিয়া রাখিয়া দিলে সে একেবারে মৃতের স্থায় অসাড়ভাবে পড়িয়া থাকিবে। চিৎ করিয়া ফেলিবার পর কিছুক্ষণের মধ্যে ইহাকে যে-কোন অবস্থায় দাড় করাইয়া রাখা ষাটতে পারে ; কিন্তু ইহাদের এ অবস্থা অতি স্বল্পকালস্থায়ী । ۰ - ۰ بر . g - জীগোপালচন্দ্র ভটনির্ধা