পাতা:প্রবাসী (ষট্‌ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/১৪১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মণ্ডল-বাড়ী স্ত্রীরামপদ মুখোপাধ্যায় দিদিমার সঙ্গে মামার বাড়ী যাইতেছিলাম। আমাদের গ্রামকে আমরা বলি শহর। পাকা ইটের রাস্তা—অন্ধকার রাজিতে রাস্তায় মিটমিটে কেরোসিনের মালো জলে, অনেক কোঠাবাড়ী, নিত্য বাজার বসে, বড় লে, পোষ্ট আপিস এমন কত কি যাহা দিদিমাদের ওই মাইল দুই দূরের পাড়াগাখানিতে নাই। আমাদের শহর হইতে ওই পাড়াগায়ে যাইবার দুটি পথ। এক মাঠের ভিতর দিয়া, অন্তটি কতকগুলি ছোট বড় আমবাগানের মধ্য দিয়া বিলের ধারে গিয়া পড়িতে হয়। বিলকে চক্রাকারে বেষ্টন করিয়া একেবারে মামার যে-ঘাটে স্নান করিতে আসেন সেইখানে উঠিতে হয়। দিদিম। এ-পথে আসিতে চান * བླླ་། ཟླ་བ་༣ আমবাগানের শেষপ্রান্তে—বিলের পাড়ে বড় বড় অশ্বখগাছ যেখানটা দিনের আলোকে সৰ্ব্বক্ষণই ঢাকিয়া আছে, পথ অসমতল—একটু অসাবধান হইলে গাছের শিকড়ে প্রায়ই হোচট খাইতে হয়—ওইখানটায় কাহাদের বউ নাকি এক বাদল-সন্ধ্যায় জল আনিবার সময় পড়িয়া গিয়াছিল। পড়িয়া সে আর উঠতে পারে নাই। তার পর পীরপুরের এক অসতর্ক পধিক...এমনি অনেক অলৌকিক কাহিনী স্থানটিকে একাকিনী কোন পদীনারীর যাত্রাপথকে মৃদুর্গম করিয়া তুলিয়াছে। ইহার পূৰ্ব্বে মামার বাড়ী গিয়াছি দিদিমার কোলে চাপিয়া—আজি চলিতেছি ছাটিয়া। দশ বছরের ষে-বালক জুতা পায়ে দিয়া ছোট কোচা দোলাইয়া, সরু একগাছি ঠাটের বেত দিয়া দু’ধারের ঝোপঝাড় ঠেঙাইতে ঠেঙাইতে ধাগে আগে চলিয়াছে তাহার স্বাধীন ইচ্ছাকে বাধা দিতে স্থা দিদিমার সাহসে কুলায় নাই। গ্রীষ্মকালের বেলা, স্বৰ্ষা বিতে বহু বিলম্ব। সুতরাং নিঃশৰেই চলিয়াছি। বাটে পৌছিবার পূৰ্ব্বে সেই অশ্বখগাছের সারি, সেই ক্টর পথ, শিকড়-ওঠা রাস্তা। যে-কাহিনী মামার বাড়ী তকের মুখে বহুবার গুনিয়াছি, দূরে থাকিয় যেीिक छैनक्षाब्र भउ३ भन्नब्रब जोगिब्राहक्क–माछ tS তাহার সান্নিধ্যে আসিয়া, কি জানি কেন, মনে হইল, নপত্রের ছায়ার রপ্ত অন্ধকারে চারিদিকে বনৰোপের ১_আন্দোলনে বাতাসের রহস্যময় শনশনানিতে সেহিনী আর গুৱাই কৌতলের বঙ্গললৈ নাই । - চলার গতি থামাইয়া দিদিমাকে ডাকির্ব ভাবিতেছি; এমন সময় পাশের ঝোপ নড়িয়া উঠতেই দেখি,–এক কালো মূৰ্ত্তি। চীৎকার করিবার পূর্বেই দিদিম৷ পিছম হইতে হাকিলেন—কে রে, গিরে নাকি? মূৰ্ত্তি বাহির হইয়া হাসিয়া বলিল,—ই-ম-ঠাকরেণি। এনারে বুঝি লিয়ে এসতেছ? উঃ বাবুর যা ভয়! শউরে বটে। দিনকতক রাখ ইখানে—ডর স্বাক। —তুই এখানে কি করছিলি ? —কাঠের লেগে আইলাম –একটু রও ম-ঠাকরেীণ, তোমাদের আগুয়ে দিই। —না রে না, তুই কাঠ গুছিয়ে নিয়ে আয় । এত বেলা রয়েছে—এই ত এসে পড়লাম । ঘাটের ধারে আসিয়া নিশ্বাস ফেলিলাম। প্রকাও বহুদূর বিস্তৃত মাঠ–একেবারে নীল আকাশের কোলে মাথা রাখিয়াছে। কোথাও বনরেখা নাই, অস্পষ্টত। নাই। মাঠের বুকে খামল শস্তের তরঙ্গায়িত রূপ, মনে হয় সে-রূপ শস্তের নয়—মাঠের। সাদা রুক্ষ মাঠ হইলে দৃষ্টির লক্ষ্য অত দূর প্রান্তে পৌঁছিত না। মাঠকে বৃত্তাকারে বেষ্টন করিয়া কালো জল ভরা বিল। অল্পই চওড়া— গভীরতা আছে। কেমন ছোট ছোট পানকৌড়ি অনবরত ডুব দিতেছে, আননে চীৎকার করিয়া বলিলাম,— পানকৌড়ি পানকৌড়ি ডাঙ্গার ও সেতোমার শাশুড়ী বলে গেছে বেগুন কোটলে । কত লাল, সাদা পদ্মফুল ফুটিয়া আছে, পদ্মের পাতাগুলি জলের উপর কেমন চকু চকু করিতেছে—ইচ্ছা করে উহার একখানি তুলিয়া জানিয়া ভাত খাইতে বসি । এদিকে হাঁটু-জলে দাড়াইয়া ‘হিস্ হিস’ শবে ধোপারা পাটের উপর কাপড় আছড়াইতেছে। ধোপানীরা ঢালু তীরের উপর কাপড় শুকাইতে দিয়া উনানে কি সিদ্ধ করিতেছে। কতকগুলা কালে কালে লোক কফির ছিপ জলে ফেলিয়া মাছ ধরিতেছে। পাশে তাঁহাদের ছোট খালুইয়ে কত রকমের ছোট ছোট মাছ!—পা আর চলে না। দিদিমা অনবরত হাত ধরিয়া টানিতেছেন। ৰেল ষে গেল, চ এখনও পোয়াটাক পথ। । , • bानिrउ $ानिrउ डिनि बूनांशाख्नब्रभाषा जानिद्रा