পাতা:প্রবাসী (ষট্‌ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/১৪৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

్సNరితీ কম্বল পাতিয়া বসিবেন–জার সম্মুখে পুরাণ-কাহিনী শুনিতে ভক্তিমতী পল্পীনারীরা স্তন্ধ বাক্যে করজোড়ে স্বাচলে পা ঢাকিয়া বসিবে । শত রকমের সরল প্রশ্ন–নির্ব দ্বিতীর প্রকাশ যাহাতে পরিস্ফুট—তেমন ধারা প্রশ্নে দিদিমার কাহিনীকে তাহার শতবার বাধা দিতে থাকিবে। দিদিমা বিরক্ত হইবেন, আবার হাসিয়া বাধাপ্রাপ্ত কাহিনীর সূত্র ধরিয়া অগ্রসর হইবেন। বহুদূর ইটিয়া অবশেষে মোড়ল-গাড়ী পাইলাম । এতটা সঙ্কীর্ণ স্থানে উহাদের কেমন যেন খাপছাড়া বোধ হইল। কুঠুরিগুলি তেমনই দক্ষিণমুখী, কিন্তু আয়তনে ছোট—দাওয়া সঙ্কীর্ণ। দাওয়ায় ও ঘরে তেমন মুগ কলাই বা ধান চালের ছড়াছড়ি নাই ;–ছোট গোয়াল-ঘর। স্থাসের ‘প্যাক “প্যাক’ শব্দ বা ছাগলের তীব্র ধ্বনি শুনিলাম ন। টোকশালে সেই বড় টেকিটাই আছে, উঠানের মরাই সংখ্যায় ও আয়তনে কমিয়া গিয়াছে। কতটুকুই বা উঠান। আমাদের পূর্বদ্বয়ারী ঘরটি তেমনই আছে –আলনায় গুরুর জg অম্পর্শিত শষ্য, গুরুর ব্যবহারোপযোগী জিনিষগুলি স্বতন্ত্র করিয়া তুলিয়া রাখা। তেমনই পদপ্রক্ষালনের আয়োজন ও পাদোদকগ্রহণ । কিন্তু বড় বউয়ের মুখের হাসি স্তিমিতপ্রায়। রুগ্নমুখে কতকগুলি শিরা প্রকট হইয়াছে । মেজ ও সেজ বউ জার তেমন স্বাস্থ্যবতী নাই। হাতে পৈছা, খাড়ু সবই আছে, কেবল বিষঃ চাহনিতে ও ধীরমন্থর চলনে এমন একটি ভাব ফুটিয়া উঠিতেছে যাহা পূৰ্ব্ব সম্পদের ভগ্নী মাত্র। ততগুলি প্রফুল্লমুখ ছেলেও দেখিলাম না । ছেলেগুলি অতিরিক্ত রুগ্ন । দেহের কালে রং কেমন যেন ফ্যাকাসে, মুখগুলি জ্যোতিহারা। রুগ্ন, দুৰ্ব্বল ; তেমন করিয়া উঠানে লাফাইতে ত পারেই না, কথা কয় কেমন গভীর ভাবে—মাথা নাড়ে বিজ্ঞের মত। এ কোন মগুল-বাড়ী দিদিমা জামায় জানিয়া ফেলিলেন ? একটি ছেলেকে পরিচিতবোধে কহিলাম—ষষ্ঠী না ? মাঠে যাবি ? ছেলেটি মাথা নাড়িয়া বলিল—না গো ঠাকুর ; ঠাণ্ডি লাগবে। কাল সক্কালে যাব, মোদের ষে ম্যালোয়ারী হয়েছে । বলিলাম—বেশ ত, বেশী দূর কেন, ওই মাঠটাতে একটা খেজুরগাছ দেখলাম—রস খেয়ে আসি চ। —ও যে গফুরদের গাছ, অসের জন্তে জান দেব, ঠাকুর । কাল উই যে গো-ভাগাড়ের মাঠ—হোখাকে মোদের গাছ আছে, তোমারে অস খেইয়ে আনবো, ঠাকুর। —কেন, এ-সব জমি তোদের নয় ? —মোদের জমি অাদেক গেল গাঙে, আন্দেক জীবাদ za Krl 1 · Artzri Väststov AS-NEGIEH FEWNg yr h - - ोर्न - $Nరిశ్రీNరీ মোড়ল, না তাহার শীর্ণ কঙ্কাল ? কেবল গোস্কজোড়াট আর বড় চোখ ফুটিতে তাহাঁকে চেনা যায় । কাছে আসিয়া কহিল—কি ঠাকুর, অস খাব ? আচ্ছা। সেই জালে ঠাকুর, দু-বছর আগে আসতে পারলে না। পেরাণ ভরে অস খাওয়াতাম । মা-ঠাকরোণ, ভাল ? —ই, ভাল। সবই শুনেছি, তা বাবা, একটু মন দিয়ে কাজকৰ্ম্ম কর। —হাত্তোরি মন! দেবতার বাদ-মানুষে কি করতে পারে। গাঙে ঘর গেল, জমি গেল, ভেবেলাম মরুক গে— ভাই কটা ত আছে—বুকের জোরে নোকসান পুইষে নেব। তা এমন থানে এলাম মা-ঠাকরোণ—রোগের জালায় জেরবার। ভিটে ছেড়ে এসে দুটো মাসও গেল নাবিয়ের যুগি সোমৰ্ত্ত ভাইট ওলাওঠায় অক্কা পেল । শোক সামলে উঠতে-ন-উঠতে ছোট মলেন পিলে জরে । তার পর দেখছ ত, আমার জর, মেজটার জর, বউগুলো ধুকছেন, বাচ্চাগুলো মরমর-এ হাবাতের জায়গার মাথায় মারি ব্যাটা। রোগে মানুষরে নড়ে বসতে দেয় না, খাটবে কোথেকে ? --वांश् । —আবার সববনাশী এয়েছেন। মণ্ডলের ভিটে বড় মিঠে কিনা—এয়েছেন। আর দুটো বছর সবুর করবেন না, দেখ নি ত বার্ধেকালে। ভিটে যায়-যায়। মরণ হয় ত বাচি মা, নইলে বাস উইটে যাই কোথায় বল ত ? –তাই ত, এবার না হয় বেলেডাঙ্গায় যা । দেবতার কোপ । —কোপ ! কোপ কিসের । পূজো পান না! পাঠ যে কত দিয়েছি—অক্তে মাটি লাল হয়ে গেছে —ত নয়, আমাদের খাবে—সৰ্ব্বনাশীর ঝোক । ত থা, পাঠা আর দিচ্ছি নে—আমাদের খা। উ-হু-ছ—আবার বুঝি কাপুনি এলেন । ৰউরে বউ—ক্যাথা খান দে, বজ্ঞা শীত—ক্যাথাখানা দে। ওরে ভুবন রে—জুবন, ওই পচ্ছিমের মাঠ থেকে ঠাকুরের জন্তে এক কলসী অস এনে দিস। উ-হ-হু—বজ্ঞা শীত—অস এনে দিস রে, অস এনে দিস । মোড়ল র্কাখার মধ্যে গিয়া চুকিল। খানিক পরে সেজবউ আসিয়া দিদিমার কাছে বসিল ও ফিকৃফিকু করিয়া হাসিতে লাগিল । দিদিমা আশ্চৰ্য হইয়া জিজ্ঞাসাকরিলেন—খালা হাসছিল বে ? সেজবউ হাসিতে হাসিতে বলিল—ম-ঠাকরোশ, একটা క్గా দাও ত। আসকে পিটে গড়বার সময় যদি কোন বলে.