পাতা:প্রবাসী (ষট্‌ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/১৫১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কীৰ্ত্তিক সাদ গুড়ি বকের পাক cषमन शफ़ि cठवनि शांक । তাহলে সে কথা ফলে ? —ফলে বইকি। ওষে পিঠে-খারাপ-করা মস্তর। —ফলে ? ফলে ?—হি-হি-হি —দিদি বলে মিছে কথা। ফলেই ত । - সাদা গুড়ি বকের পাক— cषवन शक्लि cठमनि शांक । বলেলাম, ফলে গেল।—একুকে বারে র্কাচ পিঠে—ভাতভেতে চাল । যেমন খাওয়া, অমনি মা ওলাবিবি এলেন । উঃ মাগো । হঠাৎ তীব্র একটা চীৎকার করিয়৷ সেজবউ সেইখানে লুটাইয়া পড়িল । মেজবউ ছুটিয়া আসিয়া বলিল—কি হ’ল, মা ? পিঠে গাওয়ার কথা ব’লছিল। মেজবউ বলিল—কি একটা ছড়া বলে। যাক, তুমি বলেছ ভ মা, মিথ্যে কথা ! হতভঙ্গের মত দিদিমা বলিলেন —ত ত জানি না, মা, ব’ললাম সত্যি মন্তর। মেজবউ কপালে করাঘাত করিয়া কহিল—সববনাশ করেছ, মা ! ন-দ্যাওর যেদিন মরেন, তার আগের দিন ছেল পিঠে-পাৰ্ব্বণ। বড়দি পিঠে ভেজেলে কাচ-কাচা, ওই আবাসী নাকি চুপি চুপি পিঠে-খারাপ-কর মস্তর পড়েলো। দ্যাওর এল মাঠ থেকে, বলে বডড থিদে– পিঠে দে। বড়দি বললো দ্যাড়া ভাল পিঠে ভেজে দিই। শোনলে না মা, সেই কাচা পিঠে গুড় দিয়ে খেলে । সেই অাত্তিরে ভেদবমি— আঁচলে চোখ মুছিয়া মেজবউ বলিতে লাগিল—দ্যাওর ম’লো—সেজবোর হ’ল মাথা খারাপ। যাকে পায় সুধোয়, হ্যাগা সত্যি ? মস্তর ফলে ? আমরা বলি, না। —তাই ভ বউ, আমি ত কিছুই জানি নে। দেখ, তোরা ভাল করে ঠাকুরের পূজো দে, তোদের ভিটে বদলে দেখছি নানান খানা লেগেছে। ওখানে ত রোগ-ঘোগ ছিল না, এখানে এসে একি ! —তুমি পায়ের খুলে দাও, মা-ঠাকরোণ—সব যেন বজায় থাকে। ইদিকে ভাইরে মার-ধোর গাল দেতেন—কিন্তুক সে মরার পর সববাই স্থপভাঙা হয়েছে। ওই দেখ মা, ভাঙা ছাইকেল ফেলেন নি—চালের বাতায় গোজা অয়েছেন। ; সহসা ওদিক হইতে বমির শব্দ হইতে লাগিল। সঙ্গে গদে বড়বউফের গল,—এই কাট কক্কড়ো ভাত—নেবুর শস দিয়ে খেয়ে ফ্যাস গো খেয়ে ফ্যাল। দুরন্ত আত (রাত গো । সারাদিন টে-টো ক'রে মাঠে ঘোরা, স্তাe—খেয়ে কাল। . মণ্ডল ৰাষ্ট্ৰী $Nలిve —ছ হারামজাদী—ওয়াক্ । কাথা দে উ-হ-হু—চেপে ধর—ওয়াকৃ— - - মেজবউ বলিল—আত উপুলী থাকা কি ভাল, মাঠাকরেীণ ? ওনার বডড দ্যাকারের ধাত—খেলেই ওয়াক। আমাদের ওনারা জর এলেও চাডিড খায়। সারা দিনে গতরজল-করা ছেরোম, না খেয়ে কে পারে, মা ? 鬱 豪 豪 নদীর মত এই পরিবারেও ভাঙন ধরিয়াছে । চারি দিকে ফাকা মাঠ, বাড়ীর নীচে খরস্রোতা গঙ্গা, আলো হাওয়ার অপ্রতুলত কোথাও নাই, তথাপি রোগের বীজ কোথা দিয়৷ যে গ্রামের মাটিতে অঙ্কুরিত হয়, কে বলিবে ? পরের দিন সকালে মাঠে মাঠে বেড়াইলাম। মাঠ বছদূর বিস্তৃত-মুগ, কলাই, মটর অজস্ৰ ফলিয়াছে। স্বপক ধানের ভারে গাছগুলি মাটির পানে হেলিয়াছে, শিস দিয়া গান গাহিয়া কঙ্কালসার রুগ্ন চাষী মাঠে মাঠে ফিরিতেছে। প্রভাতের সূৰ্য্য সোনার রৌদ্র ঢালিয়া উহাদের অভিনন্দিত করিতেছেন। কিন্তু ভিন্ন গায়ে মোড়লদের জমি অল্পই। ফণি-মনসার বেড়া-দেওয়া প্রকাগু মাঠ—পূর্ববঙ্গের কোন মুসলমান প্রজা আসিয়া জমা লইয়াছে। তার কোলে ফলভারে স্বসমৃদ্ধ ভূই সাওতালদের। সাওতালরা মজুর খাটিতে এদেশে আসিয়াছিল, আজ জমি বঁধে রাখিয়া টাকা ধার দিয়া মহাজন হইয়াছে। স্বাস্থ্য ভাল, জমিতে দিবারাত্র লাগিয়া থাকে—যে-ফসলটি দিলে টাকা অাসে তাহা উহারা ভাল রকমই জানে। মোড়লদের জমি একটু দূরে ; খাটুনির অভাবে ফসল ভাল হয় নাই। না হউক, জমিদারের খাজনা মিটাইয়া যাহা থাকিবে পরিবারের গ্রাসাচ্ছাদন তাহাতে অনায়াসে হইবে । ছিন্নবিছিন্ন জমিগুলির পানে চাহিয়া মনটা কেমন করিয়া উঠিল। মাঠে আর ভাল লাগিল না। ফিরিয়া আসিয়া দিদিমাকে বলিলাম, বাড়ী চল। —খাওয়া-দাওয়া না করে গেলে ওরা দুখু করবে, বুঝলি ? বলিলাম—তবে শীগগির শীগগির রাধ, আমার ভাল লাগছে না। এখনও মোড়লদের কয়েকটি দুগ্ধবতী গাভী আছে, ঘরে নলেন খেজুর গুড় আছে—দিদিমা পায়স রাধিলেন। ছেলে বুড়া পরিতৃপ্তি করিয়া খাইল । বড়বউ বলিল—ম, তোমাদের এক অগ্নি-কেমন ভুর ভূর করে গোন্দ বেরুচ্ছে। আর আমরা আঁধি গরুর জাব। পোড়া কপাল ! আজ আর বড় মোড়লের জর আসে নাই। পেট ভরিয়া পায়স খাইয়া বলিল—চল খোকাবাবু, তোমারে কাধে ক'রে ঘাটে পৌঁছে দেই। আজ গায়ে অনেক বল হয়েছে।