পাতা:প্রবাসী (ষট্‌ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/১৬৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

*s8b $N9gN9 প্রথমোক্ত ব্যক্তিদের সহিত মিশিতে ভয় সঙ্কোচ কিছু দূর হইতে পারে। মহাত্মা গাজী "পাড়াগেয়ে” হইয়াছেন ও অন্ত সকলকেও “পাড়াগেয়ে” করিতে চান। কিন্তু তাহা ভাল অর্থে— জীবনের অনাড়ম্বরতা, সরলতা, সরসত, হৃদ্যতা, পরস্পরের প্রতি প্রতিবেশীর ভাব তিনি রাখিতে চান। দূর করিতে চান গ্রামের অপরিচ্ছন্নতা, নোংরামি, জলস্থলবাতাস কলুষিত করিবার অভ্যাস, চাষের সময় ছাড়া অন্ত সময়ে লোকদের বেকার অবস্থা ও আলস্ত, উপার্জনের নানা উপায়ের অভাবে দারিন্দ্রা, এবং অজ্ঞতা । ধৰ্ম্ম সম্বন্ধে তাঙ্গর মত এই, ষে, সকলেই নিজের নিজের ধৰ্ম্মে থাকুন ও তাহার শ্রেষ্ঠ উপদেশ অনুসারে চলুন। কোন ধৰ্ম্মের লোকদের ধৰ্ম্মাস্তর গ্রহণ করা বা কোন ধর্মের লোককে ধৰ্ম্মান্তর গ্রহণ করান তিনি পছন্দ করেন না । তিনি হিন্দু। মূৰ্ত্তিপূজা বিগ্রহপূজা আদিকে তিনি প্রতীকপূজা মনে করেন। কিন্তু ইহাকে যে তিনি হিন্দু ধর্শের শ্রেষ্ঠ রূপ মনে করেন না, তাহার প্রমাণ এই যে, তিনি বলিয়াছেন, তিনি মূৰ্ত্তিপূজা করেন না এবং দেবমন্দিরের কোন বিগ্ৰহ দেখিলে তাহার ভক্তি হয় না। হিন্দু ধৰ্ম্ম সম্বন্ধে তিনি বর্তমান বৎসরের ৩রা অক্টোবর তারিখের “হরিজন” কাগজে লিখিয়াছেন – “Hinduism is ever evolving. It has no one scripture like the Quran or the Bible. Its scriptures are also evolving and suffering additions.” তাৎপৰ্য্য। হিন্দু ধৰ্ম্ম চিরধিবৰ্ত্তনশীল, বরাবর ইহার ক্রমবিকাশ श्रद्धयह । cकांब्रांन व पांश्वप्लब्र मछ देशांब्र ८कन भक भोज *ांक নাই। ইহার শাস্ত্রগুলির বিবর্তন বা ক্রমবিকাশ হইতেছে এবং তাছাতে নুতন জিনিষ সংযুক্ত হইতেছে। অধ্যাপক শশীভূষণ দত্ত গত মাসে ৮৬ বৎসর বয়সে শশীভূষণ দত্ত মহাশয়ের মৃত্যু হইয়াছে। তিনি এত বৎসর পূৰ্ব্বে অধ্যাপকের কাজ হইতে অবসর লইয়াছিলেন, যে, তাহার যে-সব ছাত্র জীবিত আছেন, তাহারাও বৃদ্ধ এবং অনেকে তাহার পূর্বেই পরলোকগত হইয়াছেন। তিনি সাতিশয় মেধাবী ও কৃতী ছাত্র ছিলেন। তিনি দর্শনশাস্ত্রে এম-এ পাস করেন। র্তাহার পূৰ্ব্বে র্তাহার মত বেশী নম্বর কোন ছাত্র পান নাই। কথিত আছে, এই পরীক্ষায় তাহার উত্তরগুলি এরূপ নিতুল ও যথাযথ হইয়াছিল, যে, পরীক্ষক-বোর্ড দীর্ঘকাল তাহা অাদর্শ উত্তর রূপে রক্ষা করিয়াছিলেন। তিনি অনেক কলেজে অধ্যাপকের কাজ করিয়াছিলেন। যদিও দর্শনে তিনি এম-এ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন, তথাপি অন্ত নানা বিস্তাতেও তিনি পারদর্শী ছিলেন। সেই জন্য তিনি ভিন্ন ভিন্ন কলেজে দর্শন, ইংরেজী সাহিত্য, বিজ্ঞান, ইতিহাস, অর্থনীতি, সংস্কৃত এবং গণিতেরও অধ্যাপকতা কৃতিত্বের সহিত করিয়াছিলেন। তিনি কিছু কাল একটি ডিবিজনের স্কুল-ইনস্পেক্টর ছিলেন। অনেক বৎসর কৃষ্ণনগর কলেজের অধ্যক্ষতা করিয়া তিনি পেন্স্যন গ্রহণ করেন । তাহার ছাত্রেরা যেমন র্তাহার বিদ্যাবত্তার গুণে জ্ঞানলাভ করিত, তেমনি তাহার মত সাধু ব্যক্তির সংস্পর্শে আসিয়া উন্নত জীবন লাভে সমর্থ হইত। অবসর সময়ে তিনি আয়ুৰ্বেদ, এলোপ্যার্থী ও হোমিওপ্যার্থী চিকিৎসা প্রণালীর অনুশীলন করিয়া চিকিৎসা সম্বন্ধে প্রভূত জ্ঞান লাভ করেন। লোকহিতসাধন তাহার প্রিয় কাৰ্য্য ছিল । তিনি সাধারণ ব্রাহ্মসমাজের সহিত আর্যৌবন যুক্ত ছিলেন । কয়েক বৎসর তাহার সভাপতি ছিলেন। তিনি গবয়েন্টের কৰ্ম্মচারী ছিলেন, স্বতরাং কখনও কোন রাষ্ট্রনৈতিক প্রচেষ্টায় যোগ দেন নাই। কিন্তু আমরা জানি, তিনি দেশের পরাধীনতা অনুভব করিয়া বিশেষ বেদন বোধ করিতেন। ভারতবর্ষ সম্বন্ধে ভক্তিভাজন আমেরিকান ভারতবন্ধু আচাৰ্য্য সাওাল্যাণ্ডের রাষ্ট্রনৈতিক প্রবন্ধগুলি তিনি আগ্রহের সহিত পাঠ করিতেন ও র্তাহার মতের অন্তমোদন করিতেন । তিনি অনাড়ম্বর, মিষ্টভাষী, অল্পভাষী ও নম্র প্রকৃতির মানুষ ছিলেন । শৈলেন্দ্রনাথ ঘোষের ভারত প্রত্যাবর্তন ঐযুক্ত শৈলেশ্রনাথ ঘোষ কুড়ি বৎসর পূৰ্ব্বে ভারতবর্ষ হইতে গোপনে আমেরিকা চলিয়া যান। গোপনে যাইবার কারণ, গবশ্নেটি সৰ্ব্বসাধারণের অজ্ঞাত কোন কারণে র্তাহাকে অন্তরায়িত করিতে (ইন্টাৰ্ণ করিতে) চাহিয়াছিলেন। এত দিন তিনি দেশে ফিরিতে পারেন নাই, কেন-না ব্রিটিশ গবশ্নেটি তাহাকে আসিবার অনুমতি দেন নাই । এখন অল্পমতি পাইয়াছেন। আগামী ডিসেম্বর মাসের মাঝ+