পাতা:প্রবাসী (ষট্‌ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/১৬৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ছাতার বাট প্রভৃতি প্রস্তুত করিতে শিখিয়াছে। কোন কোন স্থানে ' নারিকেলের ছোবড়া হইতে দড়ি প্রভৃতি প্রস্তুত করিতে শিখান হইতেছে। এইরূপ কতকগুলি সামগ্ৰী প্রস্তুত করিতে কতকগুলি যুবক শিক্ষা করায় কোথাও কোথাও শিল্পকেন্দ্র গড়িয়া উঠিয়াছে এবং তাহাতে বহুসংখ্যক লোকের উপার্জনের পথ খুলিয়াছে। কাচ মাল কোথায় পাওয়া যায়, তাহার সন্ধানও শিল্পবিভাগ দিয়া থাকেন। শিল্পবিভাগের এইরূপ চেষ্টার বিস্তৃতি বাঞ্ছনীয়। রামমোহন রায়ের মূৰ্ত্তি গত উনবিংশ শতাব্দীর প্রথমার্থে কলিকাতার প্রধান নাগরিক দ্বারকানাথ ঠাকুর তাহার শেষ ইংলও প্রবাসকালে তাহার নেতা ও বন্ধু রামমোহন রায়ের একটি আবক্ষ মূৰ্ত্তি তখনকার প্রসিদ্ধ ভাস্কর জন গিবসনের দ্বারা নিৰ্ম্মাণ করাইয়া পুত্র দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুরকে পাঠাইয়া দেন। তিনি দেশে ফিরিয়া আসিয়া তাহা নিজের বেলগাছিয়া উদ্যানে স্থাপিত করিবেন এই ইচ্ছা জানান। কিন্তু ইংলণ্ডেই তাহার মৃত্যু হয়। র্তাহার মৃত্যুর পর তাহার বিষয়-সম্পত্তি ও ঋণ লইয়া উহার পরিবারবর্গকে ব্যতিব্যস্ত হইতে হয়, এবং মূর্তিটির বিষয় কাহারও বড় মনে ছিল না। পরে ইহা মহযি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুরের অন্যতম পৌত্র ঋতেন্দ্রনাথ ঠাকুর নিজ গৃহে রক্ষা করেন। তাহার মৃত্যুর পর ইহা সাধারণ ব্রাহ্মসমাজকে দান করা হইবে, তিনি এইরূপ প্রতিশ্রুতি দিয়াছিলেন। তদনুসারে গত ২৭শে সপ্টেম্বর তাহার পরিবারবর্গ ইহা সাধারণ ব্রাহ্মসমাজের ইন্তে অর্পণ করিয়াছেন। ইহা কৰ্ণওয়ালিস ষ্ট্রীটের ২১১ংিখ্যক ভবনে শিবনাথ স্মৃতিমন্দিরে স্থাপিত হইয়াছে। নামাইহার একটি কোটােগ্রাফ প্রকাশিত করিলাম। ৰিৰিৰ প্ৰসঙ্গ—দুভিক্ষ ১৫৩ রামমোহন ধায়ের মূৰ্ত্তি দুর্ভিক্ষ বঙ্গে দুভিক্ষ লাগিয়া আছে। উত্তর-ভারতে বহুপ্রদেশে বন্ত হওয়ায় সেখানেও নানা স্থানে দুভিক্ষের মত হইয়াছে। বোম্বাই প্রেসিডেন্সির কোথাও কোথাও ছভিক্ষ হইয়াছে। হুৈমস্তিক ধান্ত না হওয়া পৰ্য্যন্ত বঙ্গের যে-সব জেলায় দুভিক্ষ হইয়াছে, সেখানে লোকের কষ্ট চলিতে থাকিবে। . তাহার পরও ষে নিরঞ্জদের সচ্ছল অবস্থা হইবে এমন নয়। তাহাদের ছখের কিছু উপশম হুইবে মাত্র। বন্ধের দশ বারটজেলা অক্টেও বাভাৰ হইছে।