পাতা:প্রবাসী (ষট্‌ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/১৭০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

S(3 প্রশ্বাসী SNరిgNలి আমরা সৰ্ব্বত্র সাহায্য দানের কাজ চালাইবার মত অর্থ সংগ্রহ ৰঞ্জিতে পারিব না এবং আমাদের সব জায়গায় কৰ্ম্মীও নাই। ইহা জানিয়া আমরা কেবল বঁাকুড়া জেলার কয়েকটি কেন্দ্রে যথাসাধ্য সাহায্য দিবার চেষ্টা করিতেছি। এবারকার দুভিক্ষে টাকা অতি সামান্তই আসিয়াছে। পুনৰ্ব্বার সাহায্য পাঠাইতে সদাশয় ব্যক্তিদিগকে অনুরোধ করিতেছি । , পণ্ডিত বিষ্ণু নারায়ণ ভাতখণ্ডে গত ১৯শে সেপ্টেম্বর প্রসিদ্ধ সংগীতবেত্ত পণ্ডিত বিষ্ণু মারায়ণ ভাতখণ্ডে মহাশয়ের মৃত্যু হইয়াছে। মৃত্যুকালে র্তাহার বয়স ৭৬ বৎসর হইয়াছিল। তিনি ভারতবর্ষীয় বিষ্ণু নারায়ণ ভাতখণ্ডে প্রাচীন সংগীতবিদ্যা ও হিন্দুস্থানী রীতির সংগীত শিখাইবার নিমিত্ত বিশেষ চেষ্টা করিয়াছিলেন। এ-বিষয়ে তাহার শ্রম ও কৃতিত্ব অসাধারণ। হিন্দুস্থানী সংগীত শিখাইবার নিমিত্ত তিনি লগ্নেীতে মরিস কলেজ এবং গোয়ালিয়রে সংগীতবিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত করেন। নারীনিগ্রহের বিরুদ্ধে মহিলাদের সভা গত ১৯শে আশ্বিন কলিকাতার মহাবোধি সোসাইটির হলে শিক্ষিতা মহিলাদের একটি সভার অধিবেশন হয়। বাংলা দেশে নারীহরণ ও নারীর উপর পাশবিক ও পৈশাচিক অত্যাচারের প্রাদুর্ভাবের বিরুদ্ধে সমবেত মহিলারা তীব্র প্রতিবাদ জ্ঞাপন করেন। অন্য মহিলাদের মত শহরের শিক্ষিত মহিলারাও নারীনিগ্রহের বেদন ও অপমান অল্পভব করেন। তাহারা যে দলবদ্ধ ও স্বশস্থল ভাবে আপনাদের মনের ভাব প্রকাশ করেন নাই বা নারীনিগ্রহের প্রতিকারচেষ্টা করেন নাই, তাহার সমস্ত দোষটা তাহাদের ঘাড়ে চাপান উচিত নয়। সামাজিক প্রথা বঙ্গের নারীদিগকে দীর্ঘ কাল কেবলমাত্র অন্তঃপুরিকা করিয়া পঙ্গু করিয়া রাখিয়াছে। তাহারা নিশ্চয়ই কালক্রমে নারীদের দুঃখদূরীকরণ-কাৰ্য্যে ক্রমশঃ অধিকতর সংখ্যায় আত্মনিয়োগ করিবেন। মহাবোধি সোসাইটি হলের সভায় মহিলাগণ বঙ্গে.নারীহরণ ও নারীর উপর পাশবিক অত্যাচার দমন করিবার জন্য গবন্মেণ্টের নিকট কঠোরতর আইন ও বিশেষ ব্যবস্তার দাবী করেন। কড়া আইন, কড়া আইনের সমুচিত প্রয়োগ এবং পুলিস ও শাসক কৰ্ম্মচারীদের উপর বিশেষ আদেশ যে অত্যাবশুক, সংবাদপত্রে ও জনসভায় অনেক দিন হইতে ভাহা বল হইতেছে । গবন্মেণ্ট একেবারে উদাসীন আছেন, বলা ধায় না বটে, কিন্তু যথোচিত মনোধোগীও হন নাই। আর কালবিলম্ব না করিয়া বিশেষ ভাবে মনোযোগী হওয়া গবন্মেণ্টের কৰ্ত্তব্য । থোদ-গোবিন্দপুরের মোকদ্দমার দ্বিতীয় বার বিচারে সেগুন জজের রায় সম্বন্ধে মহিলারা বলিয়াছেন :– “এই মোকদ্দমায় অপরাধীদিগকে যে দণ্ড দেওয়া হইয়াছে, তাহ। তাহাদের অপরাধের তুলনায় নিতাপ্ত সামাগু হইয়াছে। এই জষ্ঠ এই সম্ভ আশা করিতেছে, যে গবষ্মে ণ্ট সেগুন জজের রায়েরবিরদ্ধে হাইকোর্টে আপীল করিয়া অত্যাচারীদের যথোচিত শাস্তির ব্যবস্থা স্বারা বঙ্গের নারীদের মানসন্ত্রম রক্ষা করিবেন ।” মহিলাদের এই মত সাতিশয় দ্যায্য । এই মত অনুসারে কাজ করা গবন্মেণ্টের কৰ্ত্তব্য । আর একটি প্রস্তাবে মহিলারা বলিয়াছেন – “জাতিধৰ্ম্মনির্বিশেষে সমস্ত নারীই নারী, এবং যাহারা অত্যাচার করে তাহারা অত্যাচারী । এ-ক্ষেত্রে সম্প্রদায় বা জাতির কথ। উঠিতেই পারে না। স্বতরাং আমরা এই সঙ্গয় নারীদিগের পক্ষ হইতে দৃঢ়ভাৰে এই মত প্রকাশ করিতেছি, যে, অত্যাচারী কর্তৃক মারীর উপর অত্যাচার ব্যাপারে সাম্প্রদায়িকতার উল্লেখ কোনক্রমেই সঙ্গত নহে ষ্টি কোন স্থায়পরায়ণ বিবেচক ব্যক্তিরই এ-বিষয়ে অন্ত মত থাকিতে পারে না। অত্যাচারী হিন্দু হইলে সমগ্র বাঙালী সমাজের লজ্জার বিষয়—বিশেষ করিয়া হিন্দু