পাতা:প্রবাসী (ষট্‌ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/২০৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

#ffe; ੇ ਬਾਬਾਂ दांण कब्रिड oावर भै जक्ज च्यांग्रैौद्र बां আপনাদিগকে পরের গলগ্রহ বলিয়া মনে করিতনা, গৃহস্বামী বা গৃহস্থামিনী সেই সকল আত্মীয়স্বজনকে গলগ্রহ বলিয়া মনে করিতেন না, তাহাদিগকে নিজ পরিবারভুক্ত অবগুপোষ্য বলিয়াই মনে করিতেন। আর একালে দেখিতে পাই যে, বেশ অবস্থাপন্ন গৃহস্থও স্ত্রী এবং পুহ-ক ব্যতীত অন্ত সকল আত্মীয়কেই পর বলিয়া মনে করেন, স্ত্রী-পুত্ৰ-কন্ত লইয়াই তাহাজের পরিবার', ইহার বাহিরের অন্ত সকলেই পর। আমরা বাল্যকালে দেখিয়াছি, আমাদের পাড়াতে মাসিক এক শত টাকা আয়শালী লোকের সংখ্যা তিন-চারি জনের অধিক ছিল না, এখন ঐন্ধপ বিত্তশালী লোকের সংখ্যা কুড়ি জনের নূ্যন নহে। কিন্তু সেকালে সেই তিন-চারি জন ভদ্রলোকের বাটতে যত জন দূরসম্পৰ্কীয় আত্মীয় বা আত্মীয়াকে দেখিয়াছি, এখন এই কুড়ি জন ভঞ্জলোকের বাটতে তাহার অর্ধেক সংখ্যাও দেখিতে পাই না । শুনিয়াছি ইউরোপীয় সমাজে “ফ্যামিলি” বলিলে কেবল স্ত্রী ও পুত্র-কন্যাকেই বুঝায়, পিতা, মাত, ভ্রাতা, ভগিনী, ভ্রাতৃজায়া প্রভৃতি “ফ্যামিলির” অন্তর্গত নহে। এই পাশ্চাত্য প্রথা ক্রমে ক্রমে আমাদের সমাজে প্রবর্তিত হওয়াতে আমাদেরও ‘পরিবার ঐ স্ত্রী-পুত্র-কন্যাতেই পরিণত হইয়াছে। বৃদ্ধ পিতামাতা এখনও আমাদের সমাজে পরিবারের অন্তভুক্ত হইয়া আছেন সত্য, কিন্তু আরও কিছু দিন পরে যে র্তাহারা পরিবারের তালিকায় স্থান পাইবেন না, তাহার লক্ষণও নানাভাবে পরিলক্ষিত হইতেছে। রেল-কোম্পানী, কিছুদিন পূৰ্ব্ব পৰ্যন্ত, রেল-কর্মচারীর বৃদ্ধ পিতা মাতা এবং বিধবা মাসী, পিলীকে সেই কৰ্ম্মচারীর পরিবারভুক্ত বলিয়া মনে করিতেন এবং তাহাদিগকে বিনা মাগুলে ট্রেনে ভ্রমণের পাস দিতেন। কিন্তু কয়েক বৎসর হইল, রেল-কোম্পানী, কর্মচারীদিগের পিতা মাতা এবং বিধবা আত্মীয়দিগকে পাস দেওয়া বন্ধ করিয়া, উহারা ষে রেল-কর্মচারীর পরিবারভুক্ত নহেন, তাহাই প্রচার করিয়াছেন। একালে জামরাই যখন আমাদের পারিবারিক গণ্ডী ক্রমশঃ সঙ্কীর্ণ করিয়া ফেলিতেছি, তখন রেল-কোম্পানীই বা করিবেন না কেন ? সেকালে বাঙালী বেমন পাঁচ জন জাষ্ট্ৰীয়কে লইয়া এক সংসারে বাস করিডেন, সেইরূপ পল্লীবাসীদিগকে লইর মধ্যে মধ্যে উৎসবও ૧૨-૨ 总 ॐ 呼呼 উৎসৰ خساد করিতেন। উৎসব অর্থেই পরিচিত-অপরিচিত, নিমন্ত্ৰিতঅনিমন্ত্ৰিত সকলকে লইয়া আনন্দ উপভোগ করা। কেবল স্ত্রী-পুত্ৰ-কন্যা লইয়া কোন উৎসব হয় না। উৎসবের আনন্দ উপভোগ করিতে হইলে সকলকে আনন্দ বিলাইতে হয়, এই কথা সেকালের সকলেই মনে করিত। বাঙালী হিন্দুর বাটতে পূজা-পাৰ্ব্বণের অভাব নাই “বারমাসে তের পাৰ্ব্বণ" বাঙালীর বাটতেই হইত। বঙ্গদেশে দেবদেবীর মৃত ভিন্ন ভিন্ন মূৰ্ত্তি গঠন করিয়া পূজা হয়, ভারতের অন্ত কোন প্রদেশে সেরূপ হয় না। দুর্গ, লক্ষ্মী, কালী, জগদ্ধাত্রী, কার্ভিক, সরস্বতী, বাসষ্ঠী, অন্নপূর্ণ প্রভৃতি দেবদেবীর প্রতিমা নিৰ্মাণ করিয়া পূজা করিবার ব্যবস্থাত আছেই, তাহার উপর রক্ষাকালী, ব্ৰহ্মা, গণেশ, ভুবনেশ্বরী, রাজরাজেশ্বরী প্রভৃতির মূৰ্ত্তি গঠন করিয়াও অনেক স্থানে পূজা হইত, এখনও কোন কোন স্থানে হইয়া থাকে। এই শেষোক্ত দেবদেৰীদিগের পূজা সাধারণতঃ বারোয়ারিতে অর্থাৎ সকলের নিকট হইতে চাদ আদায় করিয়া হইত। আমরা ধে-সকল দেবদেবীর পূজার কথা বলিলাম, তাহার মধ্যে একমাত্র দুর্গাপূজাই উৎসব নামে অভিহিত হইত, অন্ত কোন পূজাকে লোকে উৎসব বলিত না, কিন্তু অন্ত পূজাকে উৎসব নামে অভিহিত না করিলেও সেই সকল পূজা প্রকৃতপক্ষে উৎসবেই পরিণত হইত। দুর্গাপূজা তিন দিন ব্যাপী এবং অপেক্ষাকৃত ব্যয়সাধ্য, সেইজন্ত সেকালে ধাহারা দুর্গাপূজা করিতে না পারিতেন, তাহারা কালীপূজা, কাত্তিকপূজা, সরস্বতীপূজা প্রভৃতি করিতেন। এই সকল পূজা অনেক পল্লীতে বারোয়ারিতেও হইত। এখনও অনেক স্থানে বারোয়ারিতে জগদ্ধাত্রী, কাত্তিক, সরস্বতী এবং কালী পূজা হইয়া থাকে। পঞ্জিকাতে এই সকল পূজার দিন নিৰ্ধারিত থাকে। কিন্তু আবার অনেক পূজা আছে, যাহার উল্লেখ পঞ্জিকাতে থাকে না ; লোকে স্ববিধা বুঝিয়া যে-কোন সময় সেই সকল পূজা করিত। আমরা বাল্যকালে দেখিয়াছি, চন্দননগরে, জগদ্ধাত্রীর প্রকাও প্রতিমা নিৰ্মাণ করিয়া পাঁচ ছয় স্থানে তিন দিন ধরিয়া পূজা হইত। মধ্যে ঐক্কপ বড় প্রতিমা মাত্র ছুইখানি হইত, এই ছুইখানিই বাজারে দোকানদারদিগের নিকট হইতে চাদা লইয়া করা হইত। ইহার পর বাগবাজারের