পাতা:প্রবাসী (ষট্‌ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/২১৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মগ্রহণক্ষ্মণ_ ৭ জানে, এবং করিতেও তাহার কিছু আপত্তি নাই। লি মাসে ত্রিশ টাকা মাহিনা যদি না চাহিত । সরস্তু আসিয়া জিজ্ঞাসা করিল,“চ খান নাকি আপনার । মি কিন্তু খাই ।” রমাপতি বলিল, “না খাই না, ত! আপনি নিজের জন্যে i to নস বলিল, “তাহলে কয়েক পয়সার চা এনে দিল, চিনি ঘরেই আছে।” রমাপতি ব্যস্ত হইয়া বলিল, “দুধ আবার কোথা থেকে पूल ?” সরযু বলিল, “কেন আপনাদের গয়লানী ত দিয়ে গেল, লিলে রোজ এক সের করে দুধ আপনারা রাখেন । মাপনার বোনকে ছানার জল দিতে হবে ডাক্তারবাবু ব’লে গছেন, তাই দুধটা আমি রাখলাম।” রমাপতির শণির দশা ধরিয়াছে, না হইলে এত উৎপাত তাহার উপরে কেন ? এক সের দুধ ? মাসে ৮ সাতটা টাকা ? তরি হতভাগী নিজের টাকা কয়টা এমনই করিয়াই জলে দেয় । নিজের দুধ চাই, ছেলের মাছ চাই, যেন সব নবাব পাঞ্জা খায়ের নাউী নাতনী ! বলিল, “এক সের দুধই কি ছানার জল করতে লাগবে ?” নস বলিল, “তা নাও লাগতে পারে, দুবার দিলে আধ সেরেই হবে। থোকা দুধ পায় না ?” থোকা ত কত। গোফ বাহির হইবার বয়স হইতে চলিল। রমাপতি বলিল, “না, অতবড় ছেলের আবার দুধের দরকার কি ? দুবেলা ভাতই ত খাচ্ছে।” নস মানুষ চেনে, সে আর কথা বাড়াইল না। দিনটা মোটের উপর ভালই গেল। নস ঘরের সব কাজই করিতেছে, তবে যে কাজের জন্য তাঁহাকে আনা, সেইটাই প্রায় বাদ পড়িতেছে। কিন্তু তাহাতে রমাপতির আপত্তি নাই। হিন্দুঘরের বিধবা, চট করিয়া মরিবে না। মুখে জল ত পড়িতেছে, ঔষধও পড়িতেছে, আবার কি চায় তরল । রাত্রে একটা মানুষও ঘরে থাকে তাহাকে আগলাইবার জন্ত। ঐ ঢের। আজ সরযু সব ঘরের লণ্ঠনই পরিষ্কার করিয়া জালিয়া দিল। তরল ভাল থাকিতে রমাপতি যতটা আরামে ছিল, कुछiटडज्ञि छ्त्रf SSS তাহা ত ইহার কাছে প্রত্যাশা করা যায় না ? এ রমাপতির এটো বাসন মাজে না, কাপড় কাচে না, বিছানাও করিয়া দেয় না। এতগুলি টাকা ত লইবে । কিন্তু যেমন রমাপতির কপাল। নইলে তরি হতভাগীই বা টাইফয়েড, বাধাইবে কেন ? বিপদের উপর বিপদ, সেইরাত্রেই রমাপতির কোমরের বাজট চাগাইয়া উঠিল। এ-গোষ্ঠীর সকলেরই এরোগ অল্পবিস্তর আছে, রমাপতির মা এবং সে নিজে বিস্তরের অধিকারী। সারারাত যন্ত্রণায় ছট্‌ফট্‌ করিয়া সকালের দিকে সে ঘুমাইয় পড়িল। কামু হতভাগা এককাড়ি গিলিতে জানে, কিন্তু তাহাকে দিয়া কাণাকড়ির উপকারের প্রত্যাশা নাই। সারারাত মামার কাতরোক্তি সম্পূর্ণ অগ্রাহ করিয়! সে মহানন্দে ঘুমাইয়া কাটাইয়৷ দিল । সকালে একটু বেলা করিয়া উঠিয়া সে সরযুকে বলিল, “আজ আর ভাত খাব না, বড় ধাতে ধরেছে।” সপ্লযু বলিল, “ও মা, আমি ত চাল চড়িয়ে দিয়েছি, জানি না ত ? তা যাকু গে, আপনাকে দুখানা রুটি করে দেব कि ?” তা মাইবে বইকি ? পরের পয়সা কিনা ? রমাপতি বলিল, “ভাতটা জল দিয়ে রাখবেন, কামু থাবে এখন। ও পান্ত ভাত খুব ভালবাসে। রুটি আমার চাই না, আমি মুড়ি খাব এখন। তরি কেমন আছে ?” সরযু বলিল, “একটু ভালই বোধ হচ্ছে । এই যে চ-টা ' খেয়ে টেম্পারেচার লেব এখন । বোধ হয় চোদ দিনেই জর ছেড়ে বাবে, খুব শক্ত টাইপের নয়।” কিন্তু চোদ্দ দিলে ছাড়িল না, একুশ অবধি গড়াইয়া গেল। : একটু সেবাশুশ্ৰুষা করিলে হয়ত আরও আগে সারিতে পারিত, কিন্তু করে কে ? রমাপতি নিজেকে লইয়া ব্যস্ত, এার সরযুসন্সার লইয়া ব্যস্ত। রাগই তাহাকে দুবার করিতে । হয়। একবার মাছের রান্ন, একবার নিরামিষ, বৃদ্ধার জন্য। { তিনি বাধ্য হইয়া এখন সরযুর হাতেই থাইতেছেন। সরযুকে : দেখিলে ত বিধবাই মনে হয়, কিন্তু মাছ ত দিব্য খায়। ; পাছে পলায়ন করে ভাল থাইতে না পাইলে, এই ਕ਼ রমাপতি মধ্যে মধ্যে মাছ কিনিয়া আনিতে বাধ্য হয়। : তরলা ত সারিয়া উঠিল, অর্থাৎ জরটা ছাড়িয়া গেল। তৰু | ও হতভাগী বিছানা ছাড়িয়া উঠে না, কথা বলিলে জবাব দেয় । | | | |