পাতা:প্রবাসী (ষট্‌ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/২২৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

_ঞ্চম হনুমণ_ hఆతాళ-శాష్త్రT ఇరివి নেংটিপরা সাওতালের ভীড় ছাড়া আর ত কিছু ওদের বাটি বানিয়েছে, থালা বানিয়েছে। ওতে কি কেউ খায় দেখা অভ্যাস নেই।” নাকি ?” চন্দ্রকাস্ত বলিলেন, “সে ত ভালই হয়েছে। জন্মাবধি এই গদ্য পৃথিবী দেখা থাকলে এর ভিতর কোনও আনন্দের খোরাক খুঁজে বার করা শক্ত হত।” গাড়ী হইতে নামিতে না পাইয়া শিবু প্রশ্নের সাহায্যেই তাহার কৌতুহলটা মিটাইবার চেষ্ট স্বরু করিল। রাস্তার এ-মোড় হইতে ও-মোড় পৰ্য্যন্ত বাসা বাড়ী দেখিয়া সে বলিল, “ম, এথানে সব বাড়ী এমন এক সঙ্গে জোড়া দেওয়া কেন ? বাগান নেই, মাঠ নেই, একটা পুকুরও নেই। লোকে চান করে না, বাসন মাজে না ?” মা বলিলেন, “সবই করে, বাসায় চল, দেখতে পাবি। ঘরের ভিতর পুকুর তালাবন্ধ আছে।” রাস্তার ধারে সারি সারি দোকান ঘরে চেনা অচেনা কত যে অসংখ্য জিনিষ তাহার ঠিক নাই। খাওয়া পরা আর শোওয়া, মানুষের জীবনের এই ত সামান্ত তিনটি উদ্দেশু, তাহার জন্য এমন অজস্র দ্রব্যসম্ভারের কি প্রয়োজন মৃধা ভাবিয়া পাইতেছিল না। কিন্তু তবু প্রশ্ন করিয়া বোকা বনিবার ইচ্ছা তাহার ছিল না । কাবুলীদের দোকানে স্তুপাকারে মেওয়া ও ফল, দিল্লীওয়ালার দোকানে জরির জুতা ও জরির টুপি, খেলনার দোকানে ঠিক মানুষের মত বড় বড় খোকা পুতুল, বাজনার দোকানে বড় বড় গ্রামোফোনের চোঙা, ফুটপাথের উপর নানারঙের কাচের বাসন ও অচেনা পরিচ্ছদ, এগুলি সত্যই মানুষের জীবনযাত্রায় কোনও সাহায্য করে, না তামাসা করিয়া কেহ সাজাইয়া রাথিয়াছে বোঝা শক্ত। মেওয়া দেখা স্বধার অভ্যাস নাই, ফলও সে যা দেখিয়াছে তাহা ত তাহারা গাছ হইতেই পাড়িয়া খায়, তাহার কোনটারই এমন চেহারা নয় ; গ্রামোফোনের চোঙার কাছাকাছি কোনও জিনিষের সঙ্গেও স্বধাশিবুর কখনও পরিচয়ই হয় নাই। মাংসের দোকানে ছালছাড়ানো আস্ত জীবদেহ দড়িতে ঝুলিতে দেখিয়া স্বধার রুচি ও সৌন্দৰ্য্যবোধে এমন আঘাত লাগিয়াছিল যে ভবিষ্যৎ জীবনে সে কখনও মাংসের দোকানের সম্মুখে চোখ খুলিত না। কাচের বাসন দেখিয়া শিৰু ত চীৎকার করিয়া উঠিল, “মা দেখ, দেখ, কাচের আচার ՀC-ն: মা বলিলেন, “সাহেবরা খায় ! তোদের মত পাড়াগেয়েরা খায় না ।” কাসা পিতলের বাসন, তক্তাপোষে বিছানা মাদুর ও কাপড় গামছার উপরে মানুষের যে আর কিছুর কেন প্রয়োজন হয় ভাবিয়া স্বধা নিজের মনের কাছে কোনও সদুত্তর পাইতেছিল না। নিজেকে অজ্ঞ ভাবিতে তাহার আত্মসম্মান খুব যে ক্ষুন্ন হইল তাঁহা নয়, তবু নগরবাসীদের মস্তিষ্কের উপরে তাহার শ্রদ্ধা একটু কমিয়া গেল এই অনর্থক প্রয়োজন স্বষ্টির বিপুল বাহিনী দেখিয়া । রাস্তাজোড়া নিরেট বাড়ীর মাঝে মাঝে ফাটলের মত সরু সরু গলি। স্বধা জিজ্ঞাসা করিল, “এর ভিতর দিয়ে কোথায় যাওয়া যায় বাবা ? ওদিক্‌টা ত দেখা যায় না।” শিবু বলিল, “জান না ? একে বলে স্বভৃঙ্গ। আমার বইয়ে ত আছে।” চন্ত্রকান্ত হাসিয়া বলিলেন, “ন, একে স্বভদ বলেন, একে বলে গলি ।” ক্রমে বাড়ীর উচ্চতা ও ঠাসাঠাসি একটু কমিয়া আসিল । মাঝে মাঝে দুই-চারিটা পোড়ো জমি ও জীর্ণ খোলার বস্তি দেখা যায়। আকাশ গাছপালা সবই এখন কিছু কিছু চোখে পড়ে । এ আর একেবারে চট মোড় বড়বাজারের রূপ নয় । এইখানেই একটা গলির মুখে গাড়ীটা দাড়াইয়া পড়িল । স্বধা ও শিবু উদগ্রীব হইয়া বাহিরের দিকে চাহিল। প্রকাও একটা লাল রঙের বাড়ী, একদিকে বড় রাস্তা, একদিকে গলি । বাগান উঠান নাই বটে, কিন্তু রাস্তার উপরেই প্রতি তলায় বড় বড় বারান্দা, সেখানে বসিলে সব পথটা দেখা যায়। সামনেই তিন ধাপ শ্বেতপাথরের সিড়ি, ফুটপাথের থেকে উঠিয়া শ্বেতপাথরে বাধানো বারান্দায় শেষ হইয়াছে। এমন পালিশ-করা পাথর শিবু কখনও দেখে নাই, স্বধু এই কারণেই বাড়ীটা তাহার অত্যন্ত পছন্দ হইয় গেল। গাড়ী হইতে প্রায় লাফাইয়া পড়িয়া সে বারান্দাটায় চড়িয়া ধাড়াইল। দরজাটায় সজোরে ধাক্কা দিল, বেশ নাকাটা দরজা কিন্তু কেহ খুলিয়া দিল না। মহামায়া ডাকিয়া