পাতা:প্রবাসী (ষট্‌ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/২৪৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

રોના -- " " 'ouroom. - ... SNごgへご অৰ্চনা উঠতে উঠিতেই একটু সলজ্জ হাসির সহিত জিজ্ঞাস্ক নেত্রে চাহিল। বিমলেন্দু একটু হাসিয়া বলিল— “भांटन, डिनि (fಣ್ অসম্মান করতে পারবেন না ত? --- তার পরেই আমার রোল নম্বর—প্রেজেন্ট না করে উপায় থাকবে না।” অৰ্চনা এই ফন্দির জন্ত মুখ ঘুরাইয়া হাসিতে গিয়া একটু দুলিয়া উঠিল। আরও দুইটা সিড়ি উঠয় কিন্তু সে রাঙা মুখটা গভীর করিয়া থমকিয় দাড়াইল। বিমল মুখ তুলিয়৷ চাহিতে, বলিল—“র্তার দয়ার স্থবিধা নেওয়া হবে, তার চেয়ে একটা পাসেন্টেজ হারান ভাল। এ-পিরিয়ডট কমনরুমে গিয়ে বসতে যাচ্ছি। আপনি ত ক্লাসে গিয়ে একবার চেষ্টা করে দেখবেন,—আপনাদের—স্কলারদের ত আবার এ্যাটেনডেন্স নিয়ে কড়াকড়ি অনেক-” বিমলেন্দু সে-কথার উত্তর না দিয়া, অৰ্চনার চেয়েও মুখটা গম্ভীর করিয়া অতি-বড় ধাৰ্ম্মিকের মত বলিল—“ঠিক ন,—র্তার প্রিন্সিপলটা ভাঙান আমাদের উচিত হবে না। না, চলুন, আমিও তা হ’লে কমনরুমে গিয়ে বসি ।” এইরূপে প্রফেসার গুপ্তের প্রতি অন্যায় করিয়া ফেলিবার ভয়ে দুইজনে নামিয়া কমনরুমে গিয়া বসিল। অবগু কমনরুমে বিশেষ কিছু কথাবাৰ্ত্ত হইল না। কারণ উভয়েই, প্রফেসার গুপ্ত সেই পিরিয়ডে যে-বইখানি পড়াইতেছেন সেইটি খুলিয়া বসিল। বিমলেন্দু দশ-বারো বার খুব সন্তপণে দৃষ্টি বাকাইয়া দেখিল, অৰ্চনা প্রচণ্ড মনোযোগের সহিত পাঠে নিরত। অর্চনাও পাচ ছয় বার চকিতের জন্ত বই হইতে চক্ষু তুলিয়া দেখিল, বিমলেন্দু বইয়ের সঙ্গে প্রায় মিশিয়া গিয়াছে, বাহঙ্কানশূন্ত বলিলেও চলে। কেউ কাহারও ব্যাঘাত করিল না। সত্যই ত, তাহারা গুপ্তসাহেবের প্রিন্সিপল ভাঙিবে না বলিয়া না-হয় ক্লাসে যায় নাই, তাহ বলিয়া পড়ায় ফাকি দেওয়া ত তাদের উদ্দেশু নয় । স্বধু, পিরিয়ড শেষ হইলে উঠিয়া দাড়াইতে বিমলের একটা দীর্ঘশ্বাস পড়িল। যেন কত যুগের জন্যই না বিদায় লইতেছে এই ভাবে একটি নমস্কার করিয়া ব্যথিত কণ্ঠে বলিল—“আচ্ছ, তা হলে আসি, মিস্ রায়। আপনার ত ছুটি এ-পিরিয়ডে?” অর্চনা বলিল—“হ্যা, এর পরের পিরিয়ডে আমার शिहै ।” টেবিলের উপর বই-খাতার তাড়াটা ঠুকিতে যুঁকিতে বিমল বলিল—“আমার এ-পিরিয়ডে ফিলসফি।---ভাবছি ছেড়ে দেব ; ছেড়ে দিয়ে হিষ্ট্রিই নেব।” হঠাৎ ফিলসফির উপর এত বিরাগ কেন, আর হিষ্ট্রির উপরই বা এত টান কিসের, সে-সম্বন্ধে কিছু বলিল না। অর্চনাও অবশ্য জিজ্ঞাসা করিল না । ર সপ্তাহখানেক পরের কথা । বিমলেন্দু এবং অর্চনা একটি বেঞ্চের দুই প্রাস্তে বসিয়া আছে ; মাঝখানে দুই জনের বই। কলেজের বেঞ্চ নয়।--বেঞ্চের সামনেই একটু দূরে একটি কৃত্রিম হ্রদের কিনারা গোল হইয়া ঘুরিয়া গিয়াছে। মাথার উপরে একটি হলদে ফুলের মাঝারি-গোছের গাছ, তাহার ঘন ছায়াটা জলের গায়ে তুলি বুলাইতেছে। কিনারা হইতে হাত-দুয়েক পরেই গুটিকতক রাঙা কহলারের গুচ্ছ,— দুইটি ফুটিয় পরস্পরের পাপড়িতে জড়াজড়ি করিয়া দাড়াইয়া আছে । ওপারের বেঞ্চে একটা পশ্চিমা, বোধ হয় মালী, দিবানিদ্রা সারিয়া এইমাত্র উঠিয়া বসিল । আজ কলেজে কি-একটা কারণে হঠাৎ ছুটি হইয়া গেছে, ইহারা দুই জনে বাসায় ফেরে নাই এখনও। বিমলেন্দু বলিল—“তোমার মধ্যে আমার যা সবচেয়ে ভাল লাগে অৰ্চনা, তা তোমার এই বিদ্রোহ । তোমায় বুঝতে দিই নি—মেয়ে-কলেজ ছেড়ে তুমি ফেনি আমাদের কলেজের ফটক পেরিয়েছ সেই দিন আমি তোমায় আমার মনের মধ্যেও শ্রদ্ধায় অভ্যর্থনা করে নিয়েছি।” অল্প রকম কথা হইতেছিল H-প্রফেসরদের পড়ানো— শেলী, কীটস, হুইটম্যান, রবীন্দ্রনাথ—আই-এর চেয়ে বি-এ-তে বিমলেন্দুর আরও ভাল রেজাণ্ট করিবার সম্ভাবনা ...এর মধ্যে একটু বিরতি দিয়া হঠাৎ বীররসের অবতারণায় অৰ্চনা একটু যেন লজ্জিত হইয়া গেল। বিমলেন্দুর ভাবের ঘোর লাগিয়াছে, একটু থামিয়া