পাতা:প্রবাসী (ষট্‌ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/২৫১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অগ্রহায়ণ র না পাইয়া সোজাস্বজিই জিজ্ঞাসা করিলেন—“আপনার ক, আই-এ-তে কোন প্লেস ছিল ?” বিমল একটু লজ্জিতভাবে উত্তর করিল—“আজ্ঞে না, ইপ্লেস কোন ছিল না, তবে...” একটু খামিয়া বলিল—“ম্যাটিকে একটা ডিভিশনাল জলারশিপ পেয়েছিলাম, আই-এ-তেও পাচ্ছি একটা স্কলারশিপ, তবে ঠিক প্লেস থাকা বলা যায় না।” বলিয়া মাথা গ্রিকটু নীচু করিল। “বড় আনন্দ হ’ল গুনে। অল-ইণ্ডিয়া কম্পিটিশুনে :ৰাবেন। ওদিকে আমাদের বাঙালীর ছেলেরা বেশী এগচ্ছে না ; ঠিক হচ্ছে না এটা -- বীরু, তোমার মাষ্টারমশাইকে চাটা এনে দাও--অল্‌-ইণ্ডিয়াতেই দেবেন। কই, আমরা তিন-চার জেনেরেশুনে যে-জায়গাটা হাসিল করলাম বাঙালী জাতটার জন্যে, আপনারা তা রাখতে পারছেন কই ?” বিমলেন্দু লজ্জিতভাবে কহিল—“আজ্ঞে, অপবাদটা আপনাদের দেওয়া নিতান্ত অসঙ্গত নয়, তবে কারণ ত একটা নয়—জানেনই ত?” “তা হোক, তবু আপনাদের মত ভাল ছেলেদের এ:বিষয়ে জাতের প্রতি একটা কৰ্ত্তব্য আছে । না, চেষ্টা করতে হবে ; আমি আপনার রেজাল্ট ওয়াচ করতে থাকব।” হাসিয়া বলিলেন—“আপনি বোধ হয় ভাবছেন—আমি করতে এলাম মাষ্টারি, আমার উপর এ আবার কোথেকে &এক মাষ্টার জুটে গেল রে বাবা! কি জানেন ? বসে ব’সে কাগজে দেশের দুঃখ-দুর্দশার কথা পড়ে বড় দমে যেতে হয়। বুড়ো হয়ে আর বেশী ঘোর-ফের, সভা-সমিতি চলে ના ત્ય લ নিয়ে একটু চর্চা করব ; তাই একটা রোগ দাড়িয়ে গেছে—ইয়ং ম্যান কাউকে কাছে পেলেই...” প্রবঞ্চনা సెర్సిరి বীরু চা-জলখাবার লইয়া আসিল। অনেকরকম কথা হইল ; নানান রকম খবর রাখে ছেলেটি, আর যাহা বলে— নিতান্ত ভাস-ভাস নয়। ওঠার সময় ঠাকুরদা। বলিলেন—“তা হলে আপনি পড়াতে আরম্ভ করে দিন যত শত্ৰ পারেন। ছাত্র আপনার অঙ্কে একটু কাচ, ঐদিকটা একটু একটু করে হেলপ ক’রে যাবেন। আমি আবার বেশী কোচিং পছন্দ করি না। হ্যা, টারমসের কথা...” এমন সময় বাড়ীর গাড়ীট ফটক পার হইয়া গাড়ীবারান্দায় আসিয়া দাড়াইল । ভিতরে অর্চনা। সে ভাবিয়াছিল, এতক্ষণে বিমলেন্দু নিশ্চয় চলিয়া গিয়া থাকিবে । তাঁহাকে ঠাকুরদাদার সহিত বারান্দায় বসিয়া থাকিতে দেখিয়া সঙ্কোচে—দু-জনের নিকটই সঙ্কোচে— গাড়ী হইতে নামিতে পা উঠিতেছিল না। কিন্তু তখন তাহার আর ফিরিবার পথ নাই। ঠাকুরদাদা উৎফুল্ল ভাবে বলিয়া উঠিলেন—“এট-ৰে অৰ্জুও এসেছে। নেমে এস। ইনিই বীরুর টিউশুনের জন্ত এসেছেন -“কোথায় ঘুরছিলে অর্ম, তুমি ?—এত সকালেও ঘেমে উঠেছ, মুখখানা রাঙা হয়ে গেছে !r••চেন বোধ হয় একে ? তোমাদের ক্লাসেই পড়েন।--কি-যে বেশ নামটি বললেন আপনার *ি নিজের নাম বলা যে অবস্থাবিশেষে এত শক্ত বিমলের তাহা জানা ছিল না । গলার কাছের এলোমেলো অক্ষরগুলা কোন রকমে গুছাইয়া বলিল—“বিমূ–বিমলেন–ছ।” হাতের রুমালটা কপালের ঘামের উপর চাপিয়া অৰ্চনাঅজ্ঞের মত ভ্ৰ কুঞ্চিত করিয়া দাড়াইল,—একটু পূৰ্ব্বে বিমল নিজে যেমন দাড়াইয়াছিল,—কোনমতেই মনে পড়িতেছে না নামটা ।