পাতা:প্রবাসী (ষট্‌ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/২৫২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

இ.இ స్క్ర o sEarNEzN 领季妾”团 歴司 - ( & _ ప్రాణా

  • : 』行

ar. so o Wo's, or to: t: క్ష్: {ు E== R g

برای تعیین = কলিকাতা কমলালয়--ভবানীচরণ বন্দ্যোপাধ্যায় প্রণীত । ঐৰজেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় লিখিত ভবানীচরণের সংক্ষিপ্ত জীবনী ও গ্রন্থপঞ্জী সহিত পুনমুদ্রিত। মহারাজ কৃষ্ণচন্দ্র রায়স্য চরিত্রং-রাজীবলোচন মুখোপাধ্যায় প্ৰণত। তীব্রজেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় লিখিত রাজালোচনের সংক্ষিপ্ত পরিচয় সহিত পুনমুদ্রিত। ভূপ্রাপ্য গ্রন্থমাল ১ ও ২ । রঞ্জন পাব্লিশিং হাউস, ২৪২ মোহনবাগান রে, কলিকাতা । ১৩৪৩ । প্রত্যেক পুস্তকের মূল্য এক টাকা মাত্র। বাঙ্গালী পাঠকমাত্রেই অবগত অাছেন যে, বাঙ্গাল দেশে উনবিংশ শতাব্দীর অন্যান্য কীৰ্ত্তির মধ্যে, গদ্য-সাহিত্যের সৃষ্টিও একটি প্রধান কীৰ্ত্তি। বাঙ্গালা গদ্য-সাহিত্য সম্বন্ধে বাঙ্গালীর গৰ্ব্ব করিবার যে স্থায্য অধিকার আছে, তাহার উল্লেখ করির এই সাহিত্যের কোনও পরিচিত ঐতিহাসিক ঠিকই লিখিয়াছেন, “বৰ্ত্তমান কালের অপরাপর ভারতীয় আৰ্য্যভাষাগুলির কথ দূরে থাকুক, অনেক প্রতিষ্ঠাপন্ন বিদেশী ভাষাতেও এইরূপ বৈচিত্র্যমণ্ডিত ও ঐশ্বৰ্য্যশালী গদ্য-ভঙ্গি ও সাহিত্য নাই, এ কথা বলিলে অত্যুক্তি হইবে না।” এই গদ্য-সাহিত্যের গঠনের যুগ ছিল উনবিংশ শতাব্দীর পূর্বাৰ্দ্ধ। সেই যুগের যে-সকল রচনা বর্তমান বাঙ্গালা গদ্যের স্থিত্তিস্থাপন করিয়াছে, তাহা আধুনিক সময়ে একান্ত দুষ্প্রাপ্য। সেই জন্য তাহাজের সহিত সাধারণ বাঙ্গালী পাঠকের পরিচয় নাই বলিলেও চলে। গধব করিবার বিময় হুইলেও, এই সকল রচনার উদ্ধার ও পুনমুদ্রণ সম্বন্ধে এ-পর্য্যন্ত কেহই বিশেষ যত্ন করেন নাই। শুধু দুষ্প্রাপ্য নছে, হয়ত কিছু দিন পরে এই রচনাগুলি একেবারেই লুপ্ত হইয়৷ যাইবে । উল্লিখিত ‘কলিকাত কমলালয়’ পুস্তকের প্রথম সংস্করণের মাত্র দুইটি কাপি এ পর্য্যস্ত পাওয়া গিয়ছে ; এবং রাজীবলোচন মুখোপাধ্যায়ের পুস্তকের প্রথম সংস্করণের কেবল একটি মাত্র কপি কলিকাতা এশিয়াটিক সোসাইটির পুস্তকাগারে রক্ষিত হইয়াছে। অথচ এক সময়ে এই দুইটি রচনাই বাঙ্গালা গদ্য-রচনার অন্যতম পথ-প্রদর্শক হিসাবে যথেষ্ট প্রভাব-বিস্তার ও সমাদর লাভ করিয়াছিল। বাঙ্গাল গল্প-সাহিত্যের প্রথম যুগের এই রচনাগুলির নিখুত পুনমুদ্রণ প্রচারের সংকল্প করিয় লীযুক্ত ব্ৰজেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় মহাশয় সাহিত্যসেবী বাঙ্গালী পাঠকমাত্রেরই কৃতজ্ঞতা অর্জন করিয়াছেন । এ-পর্য্যন্ত দুই মাসের মধ্যে এই গ্রন্থমালায় উল্লিখিত দুইটি পুস্তক ছাপা হইয়াছে, কিন্তু অতি অল্পকালের মধ্যে আরও ১৩ খানি পুস্তকের পুনমুদ্রণের ব্যবস্থা করা হইয়াছে। তাহাতে এই যুগের অধিকাংশ উল্লেখযোগ্য রচনা ক্রমশ: বাঙ্গাজী পাঠকমাত্ৰব অধিগম্য হইরে । এই যুগের সাহিতা ও ইতিহাস আলোচন করিয়া ব্রজেক্সবাৰু যে প্রতিষ্ঠা লাভ করিয়াছেন, তাহার পরিচয় দেওয়া অনাবগুক । গত যুগের সাহিত্য ও ইতিহাসের যে-সকল উপকরণ প্রতিদিন নষ্ট হইয়া বাইতেছে, তাহার অনুসন্ধান ও সংরক্ষণ সম্বন্ধে ব্ৰজেন্দ্রবাবুর অনুরাগ ও পরিশ্রম বাঙ্গাল দেশের শিক্ষিত সমাজেও সুলভ নহে। সেই অমুরাগ સ્વN প্রতিক পরিচয় ক| ৫ ও পরিশ্রমের ফলে, গন্ত যুগের বিস্তুতপ্রায় সাহিত্য-প্রচেষ্টর সহিত আজি বাঙ্গালী পাঠকের পরিচয় লাভ ঘটতেছে, তাহ কম সৌভাগ্যের कृषlनप्ा । রাজীবলোচনের রচনা ফোর্ট উইলিয়াম কলেজের আমুকূল্যে ১৮•৫ খ্ৰীষ্টাব্দে শ্রীরামপুরের ছাপাখান হইতে প্রখম প্রকাশিত হয়। পাদরী উইলিয়াম কেরীর অধীনে তিনি উক্ত কলেজে বাঙ্গাল বিভাগের এক জন পণ্ডিত ছিলেন, এবং কেরী সাহেবের উৎসাহে এই পুস্তক রচিত ও প্রকাশিত হইয়াছিল। যাহার এই যুগের সাহিত্য রচনার ইতিহাস লিখিয়াছেন, তাহার রাজীবলোচনের রচনার যে একটি বিশিষ্ট স্থান ছিল তাহার নির্দেশ করিয়াছেন। ঐতিহাসিক গ্রন্থ হিসাবে এই পুস্তকের খুব বেশী মূল্য না থাকিলেও, সেই যুগের রচনার নিদর্শন হিসাবে ইহার মূল্য অীকার করা যায় না। ভবানীচরণ বন্দ্যোপাধ্যায় ছিলেন রামমোহন রায়ের সমসাময়িক। প্রথমে রামমোহন রায়ের ‘সম্বাদকৌমুদী পত্রিকার সম্পাদন কfয়া, পরে উহার সহিত সহম:৭-নিবারণ সম্বন্ধে মতভেদ হওয়ায় তিনি রামমোহনের পক্ষ ত্যাগ করেন। উক্ত আন্দোলনের বিরুদ্ধে রক্ষণশীল হিন্দু সমাজ যে "ধৰ্ম্মদভাগ স্থাপন করিয়াছিল, তাহার অগ্রণী ও সম্পাদক হইয়াছিলেন ভবানীচরণ। তিনি কলুটোলায় একটি মুদ্রাযন্ত্র স্থাপন করিয় আচারনিষ্ঠ হিন্দুদের মুখপত্রগুরূপ ‘সমাচারচল্লিকা’ নামে একখানি সংবাদপত্র প্রকাশ করেন। সঙ্গে সঙ্গে বহু শাস্ত্রগ্রন্থ টক-টপ্পনী সমেত পুধির আকারে তুলট কাগজে মুদ্রিত করিয়৷ প্রচার করেন। কেবল রামমোহন রায়ের প্রবল প্রতিপক্ষ হিসাবে অথবা স্থিতিশীল সমাজ-সংরক্ষক হিসাবে নহে, গ্রন্থকার সুলেখক ও সাংবাদিক হিসাবেও প্রতিষ্ঠ লাভ করিয়া, উনবিংশ শতাব্দীর প্রথমার্দ্ধের ইতিহাসে ভবানীচরণ একটি বিশিষ্ট স্থান অধিকার করিয়াছিলেন। ভবানীচরণের রচিত বা সম্পাদিত বহু গ্রন্থের মধ্যে "কলিকাতা কমলালয়' এবং (প্রমথনাথ শৰ্ম্ম -এই ছদ্মনামে লিখিত ) নববাবুবিলাস সেই যুগের বঙ্গসাহিত্যের ইতিহাসে চিরকাল উল্লিখিত হইবে। প্রথম গ্রন্থখানি বর্তমান দুষ্প্রাপা গ্রন্থমালায় পুনমূত্রিত হইয়াছে ; দ্বিতীয়খানিরও পুনমুত্রণের সংকল্প রহিয়াছে। পুনমুদ্রিত পুস্তকের ভূমিকায় ব্ৰজেন্দ্রবাবু এই বিশ্বতপ্রায় গ্রন্থকারের ও গুহার গ্রন্থাবলীর যতটুকু পরিচয় অনুসন্ধান করিয়া পাওয়া যায়, তাহ লিপিবদ্ধ করিয়া এই সংস্করণের মূল্য বৰ্দ্ধিত করিয়াছেন। এই পুস্তকের প্রতিপাদ্য বিষয়-প্রশ্নোত্তরচ্ছলে কলিকাতায় রীতিবর্ণন এবং তদুপলক্ষে উনবিংশ শতাব্দীর প্রারতে ৰাঙালী সমাজের যে চিত্র ইহাতে অঙ্কিত হইয়াছে, তাহা কেবল রস-রচনা হিসাবে নহে, ঐতিহাসিক জালেখ্য হিসাবেও মূল্যবান। ব্যঙ্গবিক্রপপূর্ণ সামাজিক চিত্র রচনায় ভবানীচরণের ‘কলিকাত কমলালয় ও নববাবু বিলাস’, ‘জালালের ঘরের দুলাল ও হতোম পেঁচার ন্যার অগ্রগামী ও পথপ্রদর্শক।