পাতা:প্রবাসী (ষট্‌ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/২৫৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভি%ারী সেই শ্ৰীমতী অমৃত শেরগিলের সংক্ষিপ্ত পরিচয় এইখানে আলোচ্য । পঞ্জাবের এক সমৃদ্ধ ও অভিজাত পরিবারে ১৯১৩ সালে শ্ৰীমতী শেল্পগিলের জন্ম। উত্তরজীবনে সারা শিল্পীরূপে বিখ্যাত হয়েছেন, সাধারণত বালোই তাদের শিল্পানুরাগ অল্পবিস্তর পরিস্ফুট হতে দেখা যায় ; শ্ৰীমতী শেরগিলের বেলাও তার ব্যত্যয় হয় নি। চিত্রবিদ্য শিক্ষার জন্য ১৯২৪ সালে তাল পিতামাত তাকে ফ্লোরেন্সে পাঠিয়েছিলেন, কিন্তু সেখানকার শিক্ষাপদ্ধতি তার কাছে নীরস মনে হয়েছিল, ভাই অল্পদিন পরেই তিনি স্বদেশে ফিরে আসেন। ১৯২৯ সালে শ্ৰীমতী শেরগিল শিল্পশিক্ষার জন্য পুনরায় বিদেশ যাত্র করেন ও প্যারিসে গিয়ে গ্রী শোমিয়ের প্রতিষ্ঠানে পিয়ের ভাইয়ার শিক্ষাধীনে কিছুকাল থাকেন এবং পরে বিখ্যাত শিল্পশিক্ষ-প্রতিষ্ঠান একোল দে বোজার-এ অধ্যাপক লুসিয়া সিমোর কাছে তিনবৎসর শিক্ষালাভ করেন । এই প্রতিষ্ঠানে তিনিই প্রথম ভারতীয় শিক্ষার্থী। এইখানে ছাত্রাবস্থায় তিনি ক্রমাম্বয় তিন বৎসর চিত্রপ্রতিযোগিতায় প্রথম পুরস্কার লাভ করেন। ১৯৩২ সালে প্যারিসে গ্রী সালোতে শ্ৰীমতী শেরগিলের "ড়ি" চিত্র প্রদর্শিত হয় ও শিল্প-সমালোচকদের সপ্রশংস দৃষ্টি আকর্ষণ করে এবং পর বৎসর তার "তরুণী” চিত্র প্রদর্শিত শ্ৰীমতী অমৃত শেরগিল হ’লে তিনি গ্রী সালোর সদস্যপদে মনোনীত হল—এই পদে তিনিই সৰ্ব্বপ্রথম ভারতীয় । অন্যা সম্বাস্ত কলা-প্রতিষ্ঠানেও তিনি চিত্র প্রদর্শন করতে আমন্ত্রিত হয়েছিলেন । সম্প্রতি তিনি স্বদেশে প্রত্যাবৰ্ত্তন ক’রে শিল্পচর্চা করছেন। শ্ৰীমতী শেরগিলের যে-চিত্রগুলি মুদ্রিত হ’ল তার মধ্যে তার চিত্রকলার ক্রমপরিণতি স্পষ্ট লক্ষ্য করা যায়। "মূৰ্ব ও “তরুণা" চিত্ৰ, অঙ্কনরীতি, বিষয়বস্তু ও ভাবে, সম্পূর্ণই বিদেশী ; তার অন্যান্য চিনে তার স্বকীয়ত পরিস্ফুট ভারতবর্যের জীবনের নানা দৃশুই বৰ্ত্তমানে তার চি উপজীব্য। ভারতবর্ষের :থদৈন্যের রূপটিই আধুনিক চিত্রে বিশেষ ক'রে পরিস্ফুট হয়ে উঠে সমৃদ্ধির মধ্যে পালিত হয়েও শ্রীমতী শেরগি, নারীচিভকে দেশের এই দৈন্যপীড়িত রূপটি বি ভাবে স্পশ করেছে। অঙ্কনপদ্ধতি যে-দেশেরই হে তার ভাববস্তুর সঙ্গে যদি দেশের হৃদয়ের স্পর্শ না থ তা হ’লে যে কোন শিল্পসাধনাই সার্থক হ’তে পারে না, এ তিনি জানেন এবং ভাই জ্ঞানতই তিনি চিত্রপটে দে, বেদনাময় করুণ দিকটাকেই রূপায়িত করে তুলবার । নিয়েছেন।