পাতা:প্রবাসী (ষট্‌ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/২৬৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তুমি বঁাধছ নুতন বাস, আমার ভাঙছে ভিৎ, তুমি খুজিছ লড়াই, আমার মিটেছে হার জিৎ। তুমি বঁাথছ সেতারে তার, থামছি শমে এসে । চক্ররেখা পূর্ণ হোলো আরম্ভে আর শেষে । এই লেখনগুলি যারা দাবী করে, তাদের নাম বা নামের অর্থ থেকে কতকগুলির উৎপত্তি— হৃদয়ে লতায়ে আছে নীরব মি ন তি ফুটাক পূজার ফুলে করুণ বিনতি । নিরুদ্যম অবকাশ শূন্ত শুধু শাস্তি তাহা নয়, যে কৰ্ম্মে রয়েছে সত্য তাহাতে শাস্তির পরিচয় । জীবন-দেবতা তব হে গেী রী, তোমার দেহে মনে আপন পুজার ফুল আপনি ফুটাক সযতনে । মাধুর্য্যে সৌরভে তারি দিবারাত্র রহে যেন ভরি তোমার সংসারখানি, এই আমি আশীৰ্ব্বাদ করি। -ৰ্ধণ হ’ল বটে শ্রাত্ত পাণ্ডুর কৃশ মেঘ ক্লান্ত, বন ছেড়ে মনে এল নীপ রেণুগন্ধ অধিকার ক’রে নিল কবিতার ছন্দ । আপনারে নি বেদ ন সত্য হয়ে পূর্ণহয় যবে সুন্দর তখনি মূৰ্ত্তি লভে। মাধবী নিজেরে দেয় রূপে, গন্ধে, বর্ণ-মহিমায়, নিজেরে-সুন্দর করে পায় । রবির প্রথম স্বাক্ষর করা বাণী পূৰ্ব্ব গগনে আ রু ণ দিয়াছে আনি। সোনার আভাসে তরুণ প্রাণের আশা প্রভাত আকাশে প্রকাশিল তার ভাষা । তপনের অরুণ সারথি শুভ্র দীপ্তি-পারাবারে লুপ্ত করে আপনারে শেষ করি উষার আর তি। যা পায় সকলি জমা করে, প্রাণে এ লীলা রাত্ৰিদিনি কালের তাণ্ডবলীলাভরে সমলি শূন্তেতে হয় লীন । শা ভা, তুমি শান্তি নাশের ভয় দেখালে মোরে, সই-করা নাম করবে আদায় ঝগড়া করার জোরে ? এই তো দেখি বঁটি হাতে শিউলিতলায় যাওয়া আপনি যে ফুল ঝরিয়ে দিল শরৎপ্রাতের হাওয়া । শাস্তা নামক উপরিউক্ত মেয়েটি কবিকে ভয় দেখিয়ে চিঠি লিখেছিল যে, অটোগ্রাফ না দিলে সে তার সঙ্গে ঝগড়া করবে। শাস্তিপ্রিয় ভীরু কবির বগুত-স্বীকারের কাহিনী চিরকালের মত মুদ্রিত হয়ে রইল শাস্ত নামক বাংলা দেশের একটি মেয়ের খাতায় । কৌতুকচ্ছলে লেখা একটি ছোট কবিতা— নাম কারো লেখা নাই অজানা খাতায়, মোর নাম লিখিলাম তাহারি পাতায় । আশীৰ্ব্বাদী কবিতাগুলির যে মহান গাম্ভীৰ্য এবং গভীরতা, তা অতুলনীয়—