পাতা:প্রবাসী (ষট্‌ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/২৬৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

AggBBBSBBTBBB BBBBBB BBBBBSuSBBS যত বড়ো হোক ইন্দ্ৰধনু সে স্বর্গের হারে আঁকা, আমি ভালবাসি মাটির ধরায় প্রজাপতিটির পাখ । প্রকৃতির সঙ্গে একটা নিগূঢ় আীয়তাবোধ কবি iবীন্দ্রনাথের আর একটি বৈশিষ্ট্য। আপাতদৃষ্টিতে যা অতিরাধারণ একটি নৈসর্গিক ঘটনা, তাকে তিনি এমন স্বন্দরভাবে ফুটিয়ে তোলেন যে, মনে হয়, তার মর্শ্বকথা, তার অন্তনিহিত হস্ত সব ধরা পড়ে গেল। প্রকৃতির গোপন কক্ষে যেসব র খেলা চলছে, তিনি ইসারায় তার ইঙ্গিতটুকু দিয়ে 研一 হাসিমুখে শুকতারা লিখে গেল ভোররাতে আলোকের আগমনী আঁধারের শেষপাতে। কহিল তারা জালিব আলোখানি আঁধার দূর হবে না-হবে, সে আমি নাহি জানি । এগুলি ছাড়া মচুন্যজীবনের নানা গভীর তত্ত্ব অত্যন্ত হজে দু-চার লাইনে ফুটিয়ে তোলার দৃষ্টান্তও আছে— বাহির হতে বহিয়া আনি মুখের উপাদান, আপন মাঝে আনন্দের আপনি সমাধান । বাতাসে নিবিলে দীপ দেখা যায় তারা, আঁধারেও পাই তবে পথের কিনারা । সুখ-অবসানে আসে সম্ভোগের সীমা, দুঃখ তবে এনে দেয় শাস্তির মহিমা । যে আঁধারে ভাইকে দেখিতে নাহি পায় সে আঁধারে অন্ধ নাহি দেখে আপনায়। The darkness which conceals brother's face Conceals one's own true self. আকাশে সোনার মেঘ কত ছবি আঁকে, আপনার নাম তবু লিখে নাহি রাখে } কি পাই কি জমা করি কি দেবে, কে দেবে, দিন মিছে কেটে যায় এই ভেবে ভেবে। চলে ত যেতেই হবে, কি যে দিয়ে যাব, বিদায় নেবার আগে এই কথা ভাবো । যা রাখি আমার তরে, মিছে তারে রাখি, আমিও রব না যবে সেও হবে ফাকি । যা রাখি সবার তরে সেই শুধু রাবে মোর সাথে ডোবে না সে, রাখে তারে সবে } আজ গড়ি খেলাঘর কাল তারে ভুলি, ধূলিতে যে লীলা তারে মুছে দেয় ধুলি । জীবন সঞ্চয় করে যা তাহার শ্রেয় মরণেরে পার হবে এই সে পাথেয়। লেখনগুলির ব্যঞ্জন-শক্তির কথা পূৰ্ব্বে বলেছি। এখানে তার একটি অতুলনীয় নিদর্শন রয়েছে—