পাতা:প্রবাসী (ষট্‌ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/২৮২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Sఆ8 ই হার ছড়াইয়া রহিয়াছেন। ভারতের বিভিন্ন প্রদেশে ইহাদের উপাসিত দেবতার মন্দির ও তীর্থস্থান দেখিতে পাওয়া যায়। বাংলার বাহিরে যে সমস্ত শক্তিদেবতার মন্দিরাদি দেখিতে পাওয়া যায় তন্মধ্যে নিম্নলিখিতগুলি বিশেষ উল্লেখযোগ্য। যথা—গয়ার গয়েশ্বরী ও মঙ্গলাগৌরী, পাঞ্জাবের কাঙ্গড় দেবী, গৌরীকুণ্ডের দশভূজা, চিন্তাপুণীর ছিন্নমস্ত, নেপালের গুহেশ্বরী, বোম্বাইর পার্বতীশৈলের পার্বতী, মহালক্ষ্মীর মহালক্ষ্মী, বোম্বাইনগরের অধিষ্ঠাত্রী মুম্বাদেবী, বিন্ধ্যাচলের বিন্ধবাসিনী, উজ্জয়িনীর সমীপবৰ্ত্তী ইটদ্বীপের পাষাণময়ী কালী, হরিদ্বারের মায়াদেবী ও চণ্ডী, কাশ্মীরের ক্ষীর ভবানী এবং মানস সরোবরের ভীষণাকৃতি দশভূজা। বাংলার প্রসিদ্ধ শক্তি মন্দির-গুলিতে অনেক অবাঙালী শাক্তকে বসিয়া পূজা ও জপ-তপ করিতে দেখা যায়। তবে বাংলার বাহিরে মূৰ্ত্তিপূজা অপেক্ষ দেবতার যন্ত্র নামক তান্ত্রিক প্রতীকের পূজাই বেশী প্রচলিত বলিয়া মনে হয়। অনেকের ঘরেই শক্তি বা অন্ত দেবতার যন্ত্র সাদরে রক্ষিত ও পূজিত হইয়া থাকে। শাক্ত উৎসব বাংলা দেশেও যেমন আছে বাংলার বাহিরেও সেইরূপ। বাংলার দুর্গোৎসব বঙ্গের বাহিরে নবরাত্র একই শক্তিপূজা উপলক্ষ্য করিয়া । মাতা-পুত্র শ্রীরমাপ্রসাদ চন্দ ১৭৯৬ সালের ১লা ডিসেম্বর রামকান্ত রায় তাহার স্থাবর সম্পত্তি বাটোয়ার করিয়া তিন পুত্রকে দান করিবার পর, এবং ১৮০৩ সালের জ্যৈষ্ঠ মাসে রামকান্ত রায়ের পরলোকগমনের পর, জগমোহন এবং রামমোহন দুই ভাইএর স্ত্রী-পুত্ৰগণ মাতা তারিণী দেবীর তত্ত্বাবধানে লাঙ্গুড়পাড়ার বাড়ীতে বাস করিতে লাগিলেন। দুই ভাইই আপন আপন তহবিল হইতে সমান অংশে এই একান্নবৰ্ত্ত পরিবারে ভরণপাষণের ব্যয়ভার এবং ঐ বাড়ীতে তারিণী দেবীর অনুষ্ঠিত নিত্যনৈমিত্তিক দেব সেবার ব্যয়ভার বহন করিতেন। যত দিন রামমোহন রায় বিদেশে চাকরি করিতেছিলেন তত দিন বোধ হয় তিনি বিনা ওজরে তারিণী দেবীর দেবসেবার ব্যয়ভার আংশিক রূপে বহন করিয়া আসিতেছিলেন। কিন্তু ১৮১৪ সালে কলিকাতায় আসিয়া যখন তিনি পৌত্তলিকতা দমন করিতে এবং ব্রহ্মোপাসনা প্রচার করিতে ব্ৰতী হইলেন, তখন তাহার পক্ষে স্বয়ং পৌত্তলিকতার অনুষ্ঠান, অর্থাৎ লাঙ্গুড়পাড়ার বাড়ীর নিত্য-নৈমিত্তিক দেবসেবার ব্যয়ভার বহন করা সভব ছিল না । কলিকাতা আসিয়া ব্রহ্মোপাসনা প্রবর্তিত করিবার জন্য রামমোহন রায় “বেদান্তগ্রন্থ”, “বেদস্তসার” এবং সামুবাদ উপনিষৎ মুদ্রিত এবং বিনামূল্যে বিতরণ করিয়া ক্ষান্ত হইলেন না, অনুষ্ঠানের জন্ত “আত্মীয় সভা” স্থাপন করিলেন । ১৭৬৯ শকের আশ্বিন মাসের “তত্ত্ববোধিণী পত্রিকা”য় প্রকাশিত “ব্রাহ্মসমাজ প্রতিষ্ঠার বিবরণ” নামক প্রস্তাবে লিখিত হইয়াছে— 象 ১৭৩৭ শকে (১৮১৫—১৮১৬ সালে ) রাজ মানিকতলার উদ্যানগৃহে আত্মীয় সঙ্গ স্থাপন করিলেন, কিয়ৎকাল পরে সে স্থান পরিবর্ভ হইয় তাহার ষষ্ঠীতলার বাটতে সভা হইত, তদনন্তর কতক দিবস তাহার শিমুলিয়াস্থিত ভবনে সভা হইয়া পুনর্বার মানিকতলার উদ্যানে আরও হইয়াছিল। সায়াহ্নকালে অস্ট্রিীয় সভাতে বেদপাঠ ও ব্ৰহ্ম-সঙ্গীত হইত, কিন্তু বেদব্যাখ্যার নিয়ম তৎকালে ছিল না। রাজার অধ্যাপক শিবপ্রসাদ মিশ্র কো পাঠ করিতেন ও গোবিন্দমাল ব্ৰহ্মসঙ্গীত গান কল্পিত। ঐযুক্ত বারিকানাথ ঠাকুর তখার সময় সময় উপস্থিত হইতেন। ঐযুক্ত ব্ৰজমোহন মজুমদার, রাজনারায়ণ সেন, রামনৃসিংহ মুখোপাধ্যায়, দয়ালচন্ত্র চট্টোপাধ্যায়, হলধর বঙ্ক, সঙ্গকিশোর বন্ধ এবং মদনমোহন वङ्मशांद्र श्शब्र थकांविठ श्रेब्रा उष्कोणानन ब्राण श्रब्रव १*क जवणचन করিলেন । ১৮১৬ সালের সেপ্টেম্বর মাসের “মিশনরী রেজিষ্টার”