পাতা:প্রবাসী (ষট্‌ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৩০৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

-অক্সহশল্পণ_ কালিম্পত্ত থেকে গ্যাস্টক - Ե-Գ খাতায় বাঙালীর নাম খুবই অল্প চোখে পড়ল, পাচ-সাতটির বেশী নয় । রংপুর বাজার বেশ বড়, এখানে মিঃ দেশাই কোম্পানীর কাজে খানিকক্ষণ ব্যস্ত ছিলেন, তাই আমরা দু-জন রংপু-র ধারে গিয়ে স্বচ্ছ জলে মুখ-হাত ধুয়ে বাজার ঘুরে এলাম । রংপুর পর রাস্তা ভাল নয়—স্থানে স্থানে মেরামত চলছে দেখলাম। এক জায়গায় একেবারে নদীর ধারে পাহাড় ধসে পড়ায় অতিকষ্টে মোটর নিয়ে যেতে হ’ল । পথে এক দল কালে পোষাকপর পাহাড়ী দেখলাম, নানান ধরণের বাজনা নিয়ে চলেছে। কৌতুহল হওয়ায় তাদের পরিচয় জিজ্ঞাস করলাম। তারা ত আনন্দের সহিত আমাদের সঙ্গে আলাপ জুড়ে দিলে। শুনলাম তারা সিকিমের দরিদ্র প্রজা, রাজদর্শনের জন্য গ্যান্টক যাচ্ছে, মহারাজার স্বমুখে গানবাজনা করে তাদের রাজভক্তি জানাবে। দত্ত-মশায় তাদের বাজনা বাজাতে অনুরোধ করাতে তারা 3.

ডক্টর গ্রেহাম-প্রতিষ্ঠিত আশ্রমের এক দিক

  • ৎক্ষণাৎ তাদের বড় বড় ভেপুতে এমন জোরে ফু দিলে যে মামাদের কানে তাল লাগবার উপক্রম হল। তাদের মশেষ কৃতজ্ঞতা জানিয়ে ও বাজনার ষথেষ্ট প্রশংসা করে লামরা বিদায় নিলাম।

铝总* - - তার পর গাড়ী সিংটাম নদীর ধারে সিংটাম-বাজারে এসে থামল। প্রকাও বাজার, এখানে ডাকঘর, হাসপাতাল সবই আছে। এ-অঞ্চলে সিটাম বদ্ধিষ্ণু পল্লী, তবে বাজারে মাড়োয়ারীদেরই প্রাধান্ত চোখে পড়ল। সিংটামের পর কমলালেবুর বাগান দেখা গেল। গাছে তখন খুব ছোট ছোট ফল ধরেছে। সিকিম থেকে কমলালেবু প্রচুর রপ্তানী হয়, কালিম্পঙের চীরগুl সিংটাম ভিস্তার বারোট। সেজন্য এর চাষ এ-দেশে খুব বেশী হয় । নদীর ধার দিয়ে অনেক দূর পথ গেছে, মত রমণীয় না হ’লেও মন্দ নয়। বেলা নাগাদ গ্যাণ্টক পৌছানো গেল । গ্যাণ্টকে কোথায় বিশ্রাম করব ভাবছি, এমন সময় মিঃ দেশাই বললেন, ৬াকবাংলোই ভাল । সেখানেই যাওয়া হ’ল । ৬াকবাংলোটি অতি সুন্দর, চারি ধারে মনোহর উদ্যান, অজস্ৰ গোলাপ, আর কত রকমের ফুল। মন তৃপ্তিতে ভরে গেল। ভুটিয়া চৌকিদারও বেশ ভদ্র, আমাদের খুব পাতির করলে, অবশ্য পুরস্কার পাওয়ার আশায়। সেখানে আমরা আরামে মধ্যাহ্ন-ভোজন শেষ করলাম, গেলাস প্লেট চামচ প্রভৃতি সবই চৌকিদার দিলে। বিশ্রামের পর বেরনে গেল। প্রথমে স্থির হ’ল ডাকঘরে গিয়ে চিঠি লিখতে হবে, কারণ এখানকার নামাঙ্কিত চিঠি পেয়ে আত্মীয়বন্ধুগণ নিশ্চয় চমৎকৃত হবেন । ছোট ডাকঘর, পোষ্টমাষ্টারটি তরুণ সিকিমী,