পাতা:প্রবাসী (ষট্‌ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৩০৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

-জন্ত্রছায়ণ कॉव्नन्लक्रीड ८थटक क्राजांच्छेन्क هة سيbج দেশাই রুক্ষভাবে সহকারীকে ইংরেজীতে বললেন, “বৃথা দেরী ক'র না, কলটি নিয়ে এস।” ব্যাপার কি জানতে চাইলাম। মিঃ দেশাই যা বললেন তা শুনে মেয়েটির জন্ত ভারি দুঃখ হ’ল । ওর স্বামী কিস্তিবন্দী ক'রে কলটি নিয়েছিল, কিন্তু দু-এক মাস কিস্তির টাকা দেওয়ার পর কয়েক মাস কিছুই দেয় নি, যা উপার্জন করে, মদ খেয়ে উড়িয়ে দেয়। স্ত্রীপুত্রকে অৰ্ধেকদিন আধপেটা থেয়ে থাকতে হয়। কলটি গেলে তাও জোট অসম্ভব। রাত্রে যখন হোটেলে ফিরলাম তখন মনটা ভারাক্রান্ত ছিল। ভ্রমণের সমস্ত আনন্দ যেন মুছে গিয়েছিল মেয়েটির কান্না দেখে । গ্যান্টক থেকে হিমালয়ের দৃশ্য কালিম্পঙ হতে ফেরবার আগে একদিন এক মাড়োয়ারীর লোমের গুদাম দেখতে গেলাম। এখানে ঐরুপ সবসুদ্ধ গোটা দশেক গুদাম আছে। তার মধ্যে দুই-একটি বাদে সব গুলিই মাড়োয়ারীদের। লোমের জামদানি-রপ্তানি কালিম্পঙের প্রধান বাণিজ্য। তিব্বতের মেষ-লোম এখানে পরিষ্কৃত হয়ে বৈদ্যুতিক রজ্জ্বপথে রিয়াং অবধি পাঠানো হয়। কালিম্পণ্ডের গুম্ফা সেখান থেকে কলকাতা হয়ে বেশীর ভাগই আমেরিকায় চালান দেওয়া হয়। শুনলাম প্রায় দু-লক্ষ মণ লোম প্রতি বৎসর এখান থেকে মাড়োয়ারীয় রপ্তানি করে। এই ব্যবসা সম্পূর্ণ তাদের করতলগত এবং এ থেকে তারা বিস্তর পয়সা রোজগার ক’রে থাকে। তাদের উদ্যম ও অধ্যবসায় সত্যই প্রশংসনীয়। দেখে দুঃখ হ’ল যে বাঙালী এই সব কাজ করতে অপারক। লোমের গুদাম দেখে আনন্দ ও শিক্ষা দুই-ই পেলাম। শতাধিক পাহাড়ী মেয়ে-পুরুব কি দক্ষত৷ ও ক্ষিপ্রভার সহিত লোম বাছাই করছে, দেখে অবাক হতে হয়। দিনমজুরী কিন্তু চার-পাচ আনার বেশী নয়। লোম রঙ অনুসারে সাধারণতঃ চার ভাগে পরিষ্কৃত হয়—ধূসর, সাধারণ শুভ্র, অতি শুভ্র ও কৃষ্ণ । তার পর কলে ওজনহিসাবে গাটবন্দী হয়। একটি বড় গুদাম করতে হ’লে অন্তত এক লক্ষ টাকা মূলধন আবশ্বক শুনলাম। কাজেই মধ্যবিত্ত বাঙালীর এই ব্যবসায়ে হাত দেওয়া কঠিন। বাড়ুজ্যে- মশায় বলেছিলেন, তিনি অনেক বাঙালী ও বড়লোককে এই লাভজনক কাজে আহবান করেছিলেন, কিন্তু দুঃখের বিষয় তার চেষ্টা এখনও সফল হয় নি । মণিপুর যাব ঠিক করেছিলাম বলে কালিম্পঙে দিনকয়েকের বেশী থাকতে পারি নি, কিন্তু যে ক-দিন ছিলাম বাড়ুজ্যে-মশায়ের সৌজন্ত ও অতিথি-সংকারে ক্রটি খুঁজে