পাতা:প্রবাসী (ষট্‌ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৩১৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

BDDTDDDSBBB BBDSZBB BDDDB BBD DDuDDB যে নিষ্ঠুরতার ভিতর দিয়ে পুরুষের সভ্যতা রক্তপথে চলেছে, সেটা আজি টলমল করে উঠেছে। পাশ্চাত্য দেশ, যেখানে এই সভ্যতার বড় কেন্দ্র, সেখানে এই বিনাশের শক্তি এত উগ্র হয়ে উঠেছে যে, আজ বড় বড় মনীষীর সন্দেহ করছেন যে, বর্তমান সভ্যতা বিনাশের পথে চলেছে—তার কারণ কি ? কারণ এই সভ্যত একপেশে, এর মধ্যে সামঞ্চস্তের অভাব। এটা পুরুষের, নারীর স্থান এতে নেই। এই যে নিষ্ঠুরতার উপরে গড় পুরুষের সভ্যতা, এ টিকতে পারে না। আজকের দিনে তার হিসাৰশিকাশের পাল পড়েছে। আর ঠিক এই সময় মেয়ের বাইরে এসেছে। যদি সভ্যত একেবারে ধ্বংস হয়ে না যায় - যদি এ টিকে থাকে, তৰে এখন থেকেই মেয়েদের দায়িত্ব স্বয় হ’ল । মেয়ে আর পুরুষে মিলে যে নুতন সভ্যত গড়ে উঠবে তাতে বাঁচবার মন্ত্র দিতে হবে মেয়েদের । পুরুষের চিত্তবৃত্তির এবং নারীর হারবৃত্তির মিলনে যে সভ্যতা গড়ে উঠবে-তাই হবে প্রত্নত সভ্যত । তার উদ্যোগ হয়েছে এতদিনে। মেয়ের এতদিন তাদের দীনতা, মূর্খতা, অজ্ঞতা, অক্ষমতা মেনে নিয়েছে। সেই মেয়ের এখন যদি বলে যে, সমাজ ও সভ্যতার স্মৃষ্টিতে তাদের কাজ করতে হবে —তবে তাদের তা করার যোগ্যতা অর্জন করতে হবে। তাদের ঠু অজ্ঞত, অন্ধকার দূর করতে হবে। যেখানে অজ্ঞতা—সেখানে তোমাদের অধ্য দিs না। আজকের দিনে তোমাদের জাগতে হবে। শক্তিকে দীপ্ত, বুদ্ধিকে উজ্জ্বল, কৰ্ত্তবাবুদ্ধিকে জাগ্রত করতে হবে ; কেননা নুতন যুগ এসেছে। এ-কথা আর বলতে পারবে না যে, তোমরা বোকা, মুহ, মুখ, অকেজো । একৰ বলতে লজ্জা কোরে যে তোমরা, ভারতের নারীর অবনত । জগতের জাহান তোমাদের এসেছে। যুগসঞ্চিত সমস্ত আবর্জন তোমাদের তুচ্ছ করতে হবে এবং জ্ঞানের বুদ্ধির দীপ্তিতে তোমাদের উজ্জ্বল হতে হবে। যদি তোমরা যোগ্য হও, দেখবে জার কেউ কখনও তোমাদের অপমান ও অশ্রদ্ধা করতে পারবে না। § শ্ৰীমতী মোহিনী দেবীর অভিভাষণ মহিলা কৰ্ম্মী সম্মেলনে র্তাহার প্রাণম্পশী অভিভাষণে নানা কথার মধ্যে শ্ৰীমতী মোহিনী দেবী অন্ত কোন কোন দেশের নারীদের কৃতিত্বের উল্লেখ করিয়া বলেন : বিগত সত্যাগ্ৰছে ভারতের নারীবৃন্দও উাদের কৰ্ম্মশক্তি, উৎসাহ ও প্রাণশক্তির যে পরিচয় দিয়েছেন সে ত আপনাদের অবিদিত নেই। আপনাদের নিকটে আমার এই নিবেদন যে বাংলা দেশের এই প্রাণশক্তিকে কৰ্ম্মপথে অগ্রসর করে দিতে সাহায্য করুন। আমাদের সমগ্র সঙ্ৰশক্তিতে যদি দলবদ্ধ হয়ে আমরা দাড়াই তাহলে এমন কোন ক্ষমত আছে যে আমাদের বাধা দিতে সমর্থ ? আমাদের অত্যাচারের শতিকারে আমৰা অহা, আমাদের নিগ্রন্থ দূর করতে আমরা অপারগ ? दूंजाबननए কুটীয়শিল্প ধ্বংস হয়ে গেছে। জমির সঙ্ঘবদ্ধ হয়ে যতদুর গাধ্য বিদেশী দ্রব্য বর্জন না করলে এই শিল্প পুনরুজ্জীবিত হবে না। জামাদের কৰ্ত্তব্যের কথা বলতে গেলেই সর্বপ্রথমে মনে পড়ে বাংলার :পল্লীতে পল্লীতে কত অসহায় নারীর নিগ্রহের মর্শ্বস্তুর কাহিনী। এ জামামের বড় লজ্জা, বড় বেদন । কেন আমরা এর প্রতিকারহীন ধ্ৰু কলঙ্কের কালিম বয়ে বেড়াই ? দুৰ্ব্বত্ত সকল দেশে সকল যুগেই অভ্যাচারের জন্য হাত বাড়িয়ে দেয়, সকলের স্বেচ্ছাচারিতায় দুৰ্ব্বল লীছন টু ভোগ করে কিন্তু বাংলা দেশের নারীরা তাদের অবল নাম সার্থক করতে যেমন শোচনীয় নিগ্রন্থ সম্ভ করেন, এমনটি জার জগতের কোথাও দেখা ধায় না। আমাদের প্রতিদিনের সংবাদপত্র এ কাহিনীতে ভরপুর। هو سب سے �We t s 幻

سالفلقدح Sఇd কিন্তু আমাদের সেদিকে কি দৃষ্টি আছে ? খোর্জগোবিন্দপুরের ঘটনার পুনরভিনয়ের আশঙ্ক আমাদের নেই? স্বতরাং এর আণ্ড প্রতিকারের ব্যবস্থা করতে হবে। ধারা অবল উদ্ধার' করতে ‘নারীরক্ষা সমিতি’ গঠন করেন, তাদের গুণ কৃতজ্ঞ অন্তরে স্বীকার করে বাঙ্গল দেশের নারীশক্তিকে এ কথা জানাই যে, এর হীনতার দায় হতে র্তার নিজেদের মুক্ত করুন, নিজেদের জাঙ্গরক্ষার পথ নিজেরাই বের করুন, সমাজব্যবস্থার পরিবর্তন এনে পরিবারের আবহাওয়া বদল করে, নারীর দৈহিক ও মানসিক শক্তির প্রসারে দুৰ্ব্ব ও দলন করুন, যাতে নারীনিগ্ৰহ আর সমস্ত ন হয়ে থাকে। ভুলবেন ন যে, নারীনিগ্রহকারীর জাতি নেই, ধৰ্ম্ম নেই। সে হিন্দু নয়, মুসলমান নয়, সে নরপশু । তাজের হাত হতে আমাদের আত্মরক্ষা করতে হলে নিজেদেরই বলসঞ্চয় করতে হবে । শ্ৰীমতী নিৰ্ম্মলনলিনী ঘোষের অভিভাষণ মহিলা কৰ্ম্মী সম্মেলনের সভানেত্ৰী শ্ৰীমতী নিৰ্ম্মলনলিনী ঘোষ তাহার সারগর্ত ও মননশীলতাপরিচায়ক অভিভাষণের গোড়ার দিকে বলেন : আমাদের সম্মুখে আজ বহু সমস্ত জটিল হয়ে দেখা দিয়েছে। এই সকল সমস্তাকে যদি এড়িয়ে চলি, আমাদের আচরণে ভীরুতা প্রকাশ পাবে। কত যে দুঃখ আমাদের চারিদিকে জমে উঠেছে দিনে দিনে, তার অস্তু নেই। এদেশে এমন মানুষ হাজার হাজার লক্ষ লক্ষ কোটি কোটি রয়েছে, যাদের অল্প নেই, বস্ত্র নেই, শিক্ষণ নেই, থাস্থ্য নেই মাথা গুজৰার পৰ্য্যাপ্ত স্থানটুকু পৰ্য্যন্ত নেই। জীবণ তাদের কাছে দুর্ববহ অভিশাপ । মৃত্যু তাদের কাছে অসহনীয় দুঃখ থেকে মুক্তির উপায় । ভারতবর্ষের সাত লক্ষ গ্রাম আজ ত সাত লক্ষ শ্মশানের সামিল । সেই শ্মশানে অবর্ণনীয় যাতনার মধ্যে যার জীবন যাপন করে, মামুধের চাইতে কঙ্কালের সঙ্গেই তাদের সাদুগু বেশী । ‘কাল কি খাব”—এই দুশ্চিন্ত অগণিত মামুণের মনের উপরে জগজ্জ্বল পাথরের মত অহরহ চেপে আছে ৷ রাস্তায় রাস্তায় দুর্ভাগ্য বেকল্পের দল অবসন্ন দেহ জার বিগঞ্জ চিত্ত নিয়ে ঘুরে ঘুরে বেড়াচ্ছে ; খেতে না পেয়ে হাজার হাজার মানুষ চুরি করে জেলে যাচ্ছে, লয় ত পতিতাদের জলে নাম লেখাচ্ছে । দুঃখের শেষ এইখানেই নয়। অামাদের জীবনের গতি পদে পরে বাধাগ্রস্ত । এক সঙ্গে মিলে সভাসমিতি করা বিপজ্জনক—একশ চুয়াল্লিশ ধারা রয়েছে বুনে মহিষের মত শিং উচিয়ে । মনের কথা মুখ ফুটে বলতে গেলে জাইন চোখ রাঙাম্, কলমের জাগায় লিখতে গেলে জরিমান দিতে হয়, বই বাজেয়াপ্ত হয়ে যায়। কার-প্রাকার শুধু জামাদের দেহকে আটকে রাখবার জন্তে তৈরি হয় ণি ; জামাদের মনকে বেঁধে রাখবার জন্তে প্রাচীরের অভাব নেই । কৰ্ত্তার যতটুকু ইচ্ছা করেন শুধু ততটুকু খোরাক সেই প্রাচীর ডিঙিয়ে জামাদের মনের আঙিনায় এসে পৌঁছতে পারে। যা কৰ্ত্তাদের অভিপ্রেত ময়, তা জানবার কোন অধিকার নেই আমাদের। গ্রেপ্তারের পরোয়ানা দেখিয়ে পুলিস যখন আমাদের ছেলেমেয়েকে ছিনিয়ে লিয়ে যায়, আর বিনা বিচারে তাদের আটক করে রাখে, নালিশ জানাবার কোন স্থান খুজে পাই না। আমাদের অবস্থা ক্রীতদাসের মতই শোচনীয় । আমরা বেঁচে নেই, টিকে खांहिं ॥