পাতা:প্রবাসী (ষট্‌ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৩২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Sఆ বউমা একটা কথাও বলবেন না, খাটে ঘুমিয়ে থাকবেন । অন্ধবিধে হবে ? ছেলে খুব মাতৃভক্ত বলতে হবে। ঘাড় নেড়ে তখনই রাজী। বরদা সন্দিগ্ধভাবে জিজ্ঞাসা করলেন—বুঝেহজে ঠিক ক'রে বলছ ? লীলাদ্রি বলল—আজ্ঞে, কোন অস্ববিধা হবে না— ——হবে না, কি ক’রে বল ? এখন নেই, পরেও ত হতে পারে ? তুমি কি দৈবজ্ঞ হয়ে বসেছ ? বরদার ধারণা, নিতান্ত চক্ষুলঙ্গায় ছেলে মায়ের কথা ঠেলতে পারছে না । যেতে যেতে আবার মুখ ফিরিয়ে উপদেশ দিলেন—চেচিয়ে পড় ; চেচিয়ে পড়লে খুব মনঃসংযোগ হয়। আমি ও-ঘর থেকে শুনব । চিটিং আজ রপ্ত ক’রে ফেলতেই হবে । কাল আমি ওর থেকে জিজ্ঞাস করব--- ওঁরা চলে যেতেই নীলাদ্রি দরজায় থিল এটে বাচল । উমা ইতিমধ্যেই গুয়ে পড়ে আবার চোখ বুজেছে । —উমারাণী ? -ਚੈ নীলাদ্রি বিছানার ধারে এসে অমুনয় আরম্ভ করল— লীটি, চোখ মেল। দেখ, কি চমৎকার রাত ! একটি বার চোখ মেলে তাকিয়ে দেখ— উমাও বলল—চমৎকার ! —কি ? —আজকের রাত—- —তোমার মুখ ত এদিকে ; এদিকের দরজা জানালা दक्के-- উমা চোখ মেলে স্বামীর একাগ্র মুখের দিকে তাকিয়ে খিলখিল ক'রে হেসে উঠল । বলল—রাত্তির বেলা বন্ধ ঘরই ত খাসা— —ঘুমোবার মজা হয়—না ? উমা বলল—আচ্ছ, বুমের পরে তোমার অত রাগ কেন, বল ত r নিজের ঘুমোবার জো নেই—বই মুখস্থ করতে হয়—আম্ভের ঘুম দেখলে তাই হিংসা হয়—ন ? नौलांणि नखैौग्न झरच्च वजज-७षन ब्रांtज অপরাধ— সুমনে৷ প্রবাসী ●*8ー) চপলকণ্ঠে উমা বলল—তোমার পেনাল-কোভে এ-সব লেখা রয়েছে বুঝি ? —হঁ্যা---এবং ঘুমলে কি শাস্তি তা-ও রয়েছে। শুনবে ? উমা তাড়াতাড়ি ব’লে উঠল—রক্ষে কর, মশাই। এখন নয়—কাল বাবা যখন জিজ্ঞাসা করবেন, তাকেই শুনিয়ে लिe দরজায় করাঘাত । নীলে, নীলে— প্রদীপ উস্কে নীলাদ্রি তাড়াতাড়ি টেবিলের ধারে গিয়ে যা মনে এল টেচিয়ে আকুত্তি করতে লাগল । সৰ্ব্বনাশ, গোলমালের মধ্যে পেনাল-কোড ত উপরে আনাই হয় নি— আইনের কোন বই-ই নেই–খুজতে খুঁজতে কুলুঙ্গির কোণে মিলল, মায়ের অধিছেড়া মহাভারতখান ! সেইটা সামনে নিয়ে সে প্রাণপণ চীৎকারে আইনের ধারা মুখস্থ ক’রে চলল । আরও বিস্তর ডাকাডাকির পর মনোযোগী ছাত্র দরজঃ খুলে দিল । বরদার প্রসন্ন মুখ, ছেলের পাঠ অভ্যাস বাইরে থেকে কিছু কিছু তার কানে গিয়েছে নিশ্চয় । তিনি সোজা উমার খাটের কাছে গিয়ে ডাকলেন—অ বউমা, বউমা, ঘুমুচ্ছ ত ?—দেখতে এলাম । ঘুমন্ত লোকে কথা বলে না ; অতএব উমার জবাব পাওয়া গেল না। স্বস্তির নিশ্বাস ফেলে বরদা ছেলের দিকে চেয়ে বললেন—ষাড়ের মত ত চেচাছ । শুয়ে-গুয়ে তাই মনে হ’ল, মা-লক্ষ্মীর ঘুমের অস্থবিধে হচ্ছে না ত ? নীলাদ্রি বলল—তবে মনে মনেই পড়ি— বরদা তৎক্ষণাং ঘাড় নেড়ে বললেন—না, নী—তাতে কাজ নেই—আগাগোড়া মুখস্থের ব্যাপার, ও কি মনে মনে পড়ার কাজ ? বিশেষ, যখন কোন রকম অসুবিধা হচ্ছে বাক্টরে থেকে বরদা ডাকছেল--- না-- কিন্তু সাবধান, সাবধান । পরের মেয়ে এসেছেন, গিয়ে নিন্দে-মন্দ না করেন । ঘুমের ব্যাঘাত না হয়, সেটা দেখবে। নীলাদ্রি বলল—তা দেখছি বইকি। ঐ ত—খুব অসাড় হয়েই যুমুচ্ছে— —তোমার বা কাগুজ্ঞান, তোমার উপর আমি ভরস করি কি না ! আবার এসে আমি খবর নিয়ে স্বাৰ— أسسـ