পাতা:প্রবাসী (ষট্‌ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৩২৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অগ্রহণয়ণ শরৎচন্দ্র রায় ভারতবর্ষের অন্যতম প্রসিদ্ধ নৃতত্ত্ববিৎ । ছোটনাগপুরের কয়েকটি প্রধান আদিম জাতির সম্বন্ধে ইংরেজীতে তিনি যে পুস্তকগুলি লিথিয়াছেন, তাহ ভারতবর্ষের বাহিরেও নৃতত্ববিদগণ প্রামাণিক বলিয়া গ্রহণ করেন। বাংলাভাষাতেও তিনি প্রবাসীতে নৃতত্ত্ববিষয়ক বহু প্রবন্ধ লিথিয়াছেন। ছোটনাগপুরের আদিম জাতিরা র্তাহাকে তাহদের বন্ধু বলিয়া মনে করে। র্তাহার নেতৃত্বে অধিবেশন সাফল্যমণ্ডিত হইবে। শ্ৰীযুক্ত শরৎচন্দ্র রায় • মূল সভাপতি ও শাখা সভাপতি যাহারা মনোনীত হইয়াছেন, তাহারা সাহিত্যক্ষেত্রে এবং নিজ নিজ বিষ্ঠায় পারদর্শী বলিয়া জুবিদিত। রাচী স্বাস্থ্যকর স্থান । এখানে এবং ইহার নিকটবর্তী স্থানসমূহে ছোটনাগপুরের দ্রষ্টব্য অনেক জিনিষ আছে। সংস্কৃতির ও স্বদেশহিতৈষণার অনুরাগী ব্যক্তিদের পক্ষে রণচী প্রসিদ্ধ ভূতত্ত্ববিৎ ও গ্রন্থকার পরলোকগত প্রমথনাথ বস্থ -- এবং প্রসিদ্ধ সাহিত্যিক ও সংগীতজ্ঞ পরলোকগত - ঠাকুর মহাশয়ের বাসস্থান বলিয়া ভ্রষ্টব্য। "fাচির ব্রহ্মচৰ্য্য বিদ্যালয় শিক্ষানুরাগীদিগের ভ্রষ্টব্য। gশরৎচন্দ্র রায় মহাশয়ের বৈঠকখানা নৃতত্বের মিউজিয়াম বলিলেও চলে। বঙ্গের বাঙালী ও বঙ্গের বাহিরের বাঙালীদের মিলনসাধনের প্রতিষ্ঠান এই প্রবাসী বঙ্গ সাহিত্য সম্মেলন। আগে বঙ্গীয় সাহিত্যপরিষদের উদ্যোগে যে বঙ্গসাহিত্যসম্মিলনীর বিবিধ প্রসঙ্গ—কলিকাতায় জবাহরলালের বক্তৃত৷ بههى বার্ষিক অধিবেশন হুইত, কয়েক বৎসর তাহা অার না হওয়া এখন প্রবাসী বঙ্গসাহিত্যসম্মেলনই বাঙালী সাহিত্যকদিগের সম্মিলিত হইবার একমাত্র সভা। বঙ্গে জবাহরলাল শাস্তিনিকেতনে ও কলিকাতায় কংগ্রেসের বর্তমান অধিনায়ক পণ্ডিত জবাহরলাল নেহরুর যে উৎসাহপূর্ণ ও বিপুল সম্বৰ্দ্ধনা হইয়াছে, তাহা হইতে প্রকৃত দেশভক্তকে বাঙালী কিরূপ ভালবাসে তাহা বুঝা যায়, এবং কংগ্রেসের স্থানও বাঙালীর হৃদয়ে কিরূপ তাহাও বুঝা যায়। এই সম্বৰ্দ্ধনার অনেকটা সাময়িক উচ্ছাস হইলেও, ইহার স্থায়ী প্রভাবও কার্যাক্ষেত্রে অনুভূত হইবে, আশা করা যায় । স্বদেশসেবকের প্রকৃত সম্বৰ্দ্ধনা দেশের উন্নতির জন্ত র্তাহারই মত লাগিয়া যাওয়া । তাহার সকল মত আমরা গ্রহণ না-করিতে পারি, তাহার কার্য্যপ্রণালীও সৰ্ব্বাংশে আমরা অনুসরণ ন-করিতে পারি, তথাপি যথাশক্তি র্তাহার মত নি:স্বাথ, নিৰ্ভীক ও আত্মোৎস্পষ্ট হইবার চেষ্টা আমাদিগকে করিতে হুইবে । রবীন্দ্রনাথ ও জবাহরলালের কথোপকথন খবরের কাগজে বাহির হইয়াছে, শ্রীনিকেতনে রবীন্দ্রনাথের সহিত জবাহরলালের নানা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে তিন ঘণ্টাব্যাপী কথোপকথন হুইয়াছিল। অমৃতবাজার পত্রিকা ও য়্যাডভান্সের ছবি দুটিতে জবাহরলালকে শ্রোতারূপে দেখা যায়। ভারতবর্ষের সৰ্ব্বতোমুখীপ্রতিভাশালী মনস্বীর সহিত কংগ্রেস-অধিনায়কের কি কথা হইয়াছিল, জানিতে শুধু যে অলস ও বৃথা কৌতুহল হয় তাহা নহে, জানিতে পারিলে সৰ্ব্বসাধারণ উপকৃতও হইতেন। মহাত্মা গান্ধীর সহিত যেমন বিখ্যাত অবিখ্যাত দেশী বিদেশী বহু ব্যক্তি দেখাসাক্ষাৎ করেন, রবীন্দ্রনাথের সহিতও সেইরূপ বন্থ বৎসর হইতে বিস্তর লোক দেখা করিয়াছেন, কথা বলিয়াছেন এবং তাহার কথা শুনিয়াছেন। কিন্তু গান্ধীজীর সহিত এইসব সাক্ষাৎকারের ও কথোপকথনের বৃত্তান্ত ও অনুলেখন রক্ষিত ও প্রকাশিত হয় । রবীন্দ্রনাথের কথোপকথন লিখিয়া রাখিবার এইরূপ ব্যবস্থা থাকিলে ভাল হইত। কলিকাতায় জবাহরলালের বক্তৃত৷ ক্সবাহরলাল যত জায়গায় যাইতেছেন, সৰ্ব্বত্রই তাহাকে অনেক বক্তৃতা করিতে হইতেছে। কলিকাতাতেও জ্ঞানক