পাতা:প্রবাসী (ষট্‌ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৩২৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অৰৱন্ধ এবং মির্ধ্যাভিত, তাহার তাহাজের স্বামী, ভ্রাত্ত অথবী পুত্র । श्शब्र चश्च शीघ्रं शग्नि कनिङ्गां गांड नश्,ि আপনাদিগকে সংগ্রাম করিতে হইবে । আমাদের এ অবস্থা দূর করিতেই হইবে। সেজঙ্ক আপনার অস্তরের সহিত এই গধীনত -সংগ্রামে যোগদান করুন । বঙ্গে কেবল ষে পুরুষেরা বিনাবিচারে বন্দীকৃত হইয়াছে তাহা নয়। বহুসংখ্যক পুরুষ অবরুদ্ধ হইয়াছে, এবং তাহা অপেক্ষা সংখ্যায় অল্প নারীদেরও বন্দীদশা ঘটিয়াছে। পরদ-প্রথা ও সামাজিক কুব্যবস্থা পণ্ডিতজী বলেন, অার একটি কাজ আপনাদিগকে করতে হইবে। তাই হইতেছে— পরঙ্গ-প্রখ, সামাজিক কুব্যবস্থা ও শাসন হইতে নিজেদের মুক্ত করা। যত দিন না আপনার এই সমস্ত বন্ধন হইতে নিজেদের মুক্ত করিতে পারেন তত দিন আপনাদের পূর্ণত আমিবে না। আপনাদের জাতীয় স্বাধীনতার সঙ্গে সঙ্গে স্ত্রীস্বাধীনতার জন্ত সংগ্রাম করিতে হইবে । আইন অমান্ত করিবার আন্দোলনে হাজার হাজার নারী পরদার বান্তিরে আসিয়: পুরুষের পাশে দাড়াইয়াছে । ইহার ফলে তাঙ্গাদের মধ্যে আত্মবিশ্বাস এবং সংগঠনশক্তি বুদ্ধি পাইয়াছে। স্ট্রজাতির নিকট আমার অনুরোধ তাহারা যেন আবার পূর্বাবস্থা প্রাপ্ত ন হন। যদিও পরঙ্গ-প্রথা এখনওঁ আছে, কিন্তু আর বেশী দিন তাহ থাকিতে পারে ন । শ্ৰীশ্বাধীলতার সংগ্রাম আপনাদিগকে একাই করিতে হইবে, ইহাতে আপনার পুরমের কোন সাহায্য পাইবেন না । পুরুষের এই কায্যে হয়ত বাধা দিবে, কারণ এই সমাজ পুরুষের সমাজ । স্বতরাং দুইটি কাজ আপনাদের সম্মুখে আছে, এক স্বরাজ এবং দ্বিতীয় স্ত্রীস্বাধীনতা। তার পর, যারা গরীব, যার বেকার যার শ্রমিক-তাংদের প্রতিও আপনাদের কৰ্ত্তব্য আছে । আমি নিখিল-ৰঙ্গ মহিল: কৰ্ম্মী সঙ্ঘকে এই কার্য্যের জন্য আহবান করিতেছি। পরদী-প্রথাও বিশেষ করিয়া নারীদের পক্ষে অনিষ্টকর ও অমৃবিধাজনক। অন্তান্ত কুপ্রথার বিরুদ্ধে সংগ্রামে নায়ীরা বঙ্গের হিন্দু ও মুসলমান পুরুষসমাজের, অন্ততঃ অধিকাংশের, সাহায্য পাইবেন না, ইহা সত্য কথা। কিন্তু ক্ষুদ্র ব্রাহ্মসমাজের সাহায্য তাহারা পাইবেন । ব্রাহ্মসমাজ স্ত্রীস্বাধীনতার এই সংগ্রাম আইন অমান্ত করিবার আন্দোলনের বহু পূৰ্ব্ব হইতে নানা কুৎসা ও অন্যবিধ উৎপীড়নের মধ্য দিয়া করিয়া মাসিতেছে। অন্যান্য সম্বন্ধে BBBBB BB BBB BBB BBB BBBBBS ggD DgB BBBB BBB BBBB গঙ্গোপাধ্যায় ও শ্রীমঙ্গী লাবণালও চন্দ বিনাবিচারে অবরোপ এবং মানসিক ক্ষতি ও অবসাদ পণ্ডিতজা তাঙ্গর কলিকাতার একটি বক্তৃতায় বঙ্গের শত শত ব্যক্তিকে বিনাবিচারে বন্দী করার ফলে বঙ্গের যে মানসিক অবসাদ ও ক্ষতি হইয়াছে ও হইতেছে, তাহার উল্লেখ করিয়াছেন। ইহা অতীব সভ্য কথা। অবরুদ্ধ যুবক ও তরুণীরা স্বাধীন থাকিলে দেশের মানসিক সম্পদ বাড়াইতে পারিতেন, তাহদের দ্বার মননশীলতা ও মনস্বিতা অগ্রসর হইত। ইহা যে বাধা পাইয়াছে, তাহাঙ্গ বঙ্গের মনোরাজ্যের একমাত্র ক্ষতি নহে। বঙ্গের কেবল কতকগুলি মানুষের দেহক (এবং মনও ) যে অবরুদ্ধ ও শৃঙ্খলিত হইয়াছে, তাহা নহে ৷ বঙ্গের সকল পুরুষের ও নারীর মনের পায়ে বেড়ি ও হাতে হাতকড়ি লাগান হইয়াছে। আমরা ভয়ে ভয়ে কথা বলি, ভয়ে ভয়ে চলি—যে গোয়েন্দা নয় তাকেও গোয়েন্দা মনে করি। ভয়ে ভয়ে খবরের কাগজে লিখি, বহি লিখি, ব্যক্তিগত চিঠি লিখি ( কারণ, কাহার কোন চিঠি যে ডাকঘরে খোলা হইবে না, তাহা কেহ জানে না); স্বতরাং আমরা ভয়ে ভয়ে চিন্তা করি, কল্পনা করি । চিন্তা ও কল্পনার ডান বাধা বা কাটা পড়িয়াছে। প্রত্যেক দেশেরই উদীয়মান পুরুষসমাজ ও নারীসমাজ তাহার প্রধান সম্পদ। কারণ, এই উঠতি বয়সের ছেলেরা ও মেয়ের বয়োবৃদ্ধদের চেয়ে সাহস, শক্তিমান, আশাশল,