পাতা:প্রবাসী (ষট্‌ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৩৩২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

లిSB ভূতপূৰ্ব্ব মহারাজা মাধব রাও শিব্দে গোয়ালিয়র রাজ্যে জলসেচনের ব্যবস্থার জন্য তিন কোটি উনত্রিশ লক্ষ টাকা, এক কোটি যাট লক্ষ রেলওয়ের জন্ত, তিন কোটি নব্বই লক্ষ সরকারী রাস্তা ও ইমারতের জন্ত, এবং কৃষক ও কৃষির সাধারণ উন্নতির জন্ত সাতাইশ লক্ষ টাকা ব্যয় করিয়াছিলেন। তদ্ভিন্ন রাজ্যের ব্যবসাবাণিজ্য ও পণ্যশিল্পের উন্নতির জন্তও বিস্তর টাকা খরচ করিয়াছিলেন। ক্ষুত্র গোয়ালিয়রে জলসেচন ব্যবস্থার জন্ত তিন কোটি উনত্রিশ লক্ষ টাকা ব্যয়ের সহিত বৃহৎ বঙ্গের সামান্ত জলসেচন ব্যয় দুঃখের সহিত তুলনীয়। হরিজনদিগকে ধৰ্ম্মান্তর লওয়াইবার চেষ্টা লাহোরে নিখিলভারত হরিজন কনফারেন্সে হরিজন প্রতিনিধিরা বলিয়াছেন, তাহারা হিন্দুই থাকিবেন, হিন্দু ধৰ্ম্ম সংস্কৃতি ও সভ্যতা তাহারা ত্যাগ করিবেন না ; কিন্তু তাহারা হিন্দুসমাজের দ্রুত সংস্কার চান। অন্যদিকে, সংবাদ রটিয়াছে, ব্রিটেন হইতে খ্ৰীষ্টিয়ান পাদরীরা আসিতেছেন এবং মিশর হইতে মুসলমান মৌলবীরা আসিতেছেন হরিজনদিগকে যথাক্রমে খ্ৰীষ্টিয়ান ও মুসলমান করিবার জন্য। পরে অবশ্য গবন্মেন্টের নিকট হইতে আদেশের প্রায় সমান বিজ্ঞপ্তি পাইয়া মিশরের মুসলমান মিশন ভারতবর্ষ আসা বন্ধ করিয়াছেন। আধ্যাত্মিক কারণে যিনি যে ধৰ্ম্মেই থাকুন বা যে ধৰ্ম্ম ছাড়িয়া অন্ত ধৰ্ম্ম গ্রহণ করুন, তাহাতে অন্তের কিছু বলিবার নাই। কিন্তু হরিজনদিগকে যে-যে যুক্তি ও প্রভাব দ্বারা ধৰ্ম্মান্তর গ্রহণ করাইবার চেষ্টা হইবে, অতীতে যদ্বারা তাহাদিগকে অহিন্দু করা হইয়াছে, তাহা বহু পরিমাণে সামাজিক, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক। হরিজন-প্রতিনিধিরা হিন্দুত্ব ছাড়িবেন না বলিয়াছেন বটে, কিন্তু হরিজনদের দারিদ্র্য, অজ্ঞতা, শিক্ষার স্বযোগের অভাব, চিকিৎসার স্বযোগের অভাব, এবং সামাজিক লাঞ্ছনা এত অধিক যে, তাহদের নেতারা যাহাই বলুন, উচ্চ শ্রেণীর হিন্দুরা বিশেষ সহানুভূতি, স্যায়পরায়ণতা ও সমাজহিতৈযিতার সহিত হরিজন সমস্তাসমূহের সমাধানে মনোযোগী না হইলে বহু হরিজনকে ধৰ্ম্মান্তরে লইয়া যাওয়া খুব কঠিন হইবে না । যে পরিমাণে হরিজনের অ-হিন্দু হইবে, সেই পরিমাণে শুধু ষে হিন্দুসমাজ হীনবল হইবে তাহা নহে, ভারতীয় সংস্কৃতি ও স্বাজাতিকতার বাস্তবিক ও সম্ভাব্য সমর্থকদিগের সংখ্যাও হ্রাস পাইবে। বোম্বাইয়ে “ধৰ্ম্ম”গুণ্ডামি গুণ্ডামির সহিত ধৰ্ম্ম শব্দটির একত্র প্রয়োগ শোচনীয় ও প্রবাসা FFবভক্তভT লজ্জাকর । কিন্তু অনেক লোক গুণ্ডামি ও ধৰ্ম্মের মধ্যে বিরোধ দেখিতে পায় না বলিয়া তাঃা করিতে হইয়াছে। বোম্বাইয়ে হিন্দুদের মারুতির মন্দির ও ভজনমণ্ডপ এবং তাহার নিকট মুসলমানদের মসজিদ অন্ততঃ এক শত বৎসর হইতে আছে। উভয়ের সান্নিধ্য এতদিন হিন্দুমুসলমানের বিরোধের কারণ হয় নাই ; অথচ হিন্দুরা হিন্দু ছিল, মুসলমানেরা মুসলমানই ছিল । সম্প্রতি এই সান্নিধ্য রক্তপাতের কারণ হইয়াছে। সংক্ষেপে ব্যাপারটির ইতিহাস এইরূপ । যে অঞ্চলে মন্দিরটি ও মসজিদটি আছে, সেখানে রাস্তার উন্নতির জন্য মিউনিসিপালিটির কিছু জায়গার দরকার হয়। মসজিদের কর্তৃপক্ষ জায়গা দিতে নারাজ হন। মন্দিরের কর্তৃপক্ষ এই সৰ্ত্তে পুরাতন সভামণ্ডপের জায়গাটা দিতে রাজী হন যে ভগ্ন এই মণ্ডপের পরিবর্তে মন্দিরের অন্ত দিকে মিউনিসিপালিটি একটি মণ্ডপ নিৰ্ম্মাণ করাইয় দিবেন। মিউনিসিপালিটি এই সৰ্ত্তে রাজী হইয়া প্রাচীন মণ্ডপটি ভাঙ্গিয়া জায়গাটি নিজেদের কাজে লাগান। পরে যখন সৰ্ত্ত অন্তসারে নূতন মণ্ডপটি নিৰ্ম্মাণ করিয়া দিবার কথা হয়, তখন মিউনিসিপালিটির মুসলমান সভ্যেরা তাহার বিরোধিতা করেন । মসজিদের কর্তৃপক্ষ বলেন, হিন্দুদের ভজনমণ্ডপ নিৰ্ম্মিত হইলে তথাকার ভজনে র্তাহাদের নামাজের ব্যাঘাত হইবে (গত এক শত বৎসর কিন্তু ব্যাঘাত হয় নাই ! )। তাহাতে হিন্দুরা নামাজের সময় বাদ দিয়া অন্য সময়ে ভজন করিবার প্রস্তাব করেন। মুসলমানদের তাহাতেও মত হয় নাই, ভজনমণ্ডপ তাহারা হইতেই দিবেন না। অতঃপর মিউনিসিপালিটি নিজ প্রতিশ্রুতি রক্ষার জন্য পুলিস মোতায়েন করিয়া মণ্ডপ নিৰ্মাণ করাইতে আরম্ভ করেন। তার পর উভয় পক্ষের মধ্যে দাঙ্গা, গুপ্তহত্য, অতর্কিত হত্য, গৃহদাহ, দোকানপাট লুট ইত্যাদি চলিতে থাকে। তাহা প্রায় দমিত হইয়াছে, মগুপও নিৰ্ম্মিত হইয়াছে, এখন মুসলমানদের দাবী এই, যে, ভজনের সময়টা নামাজের সময়টা বাদ দিয়া নিৰ্দ্ধারিত হউক । হিন্দুরা ও খ্ৰীষ্টিয়ানেরা কিন্তু কখনও বলেন না, যে, তাহাদের পূজা অৰ্চনা সদ্ধা আরতি উপাসনার সময় বাদ দিয়া মুসলমানদের নামাজের আজান দেওয়া হউক এব • মুসলমানদের মহরমের ঢাকের বাদ্য বাজান হউক। দেশী নৃপতিদের ফেডারেশ্বানে যোগদানে দ্বিধা দেশী রাজ্যগুলির নৃপতিরা এখন অনেকে ফেডারেশুনে ঢুকিতে ইতস্ততঃ করিতেছেন। কেহ কেহ বলিতেছেন, ইতস্ততঃ করিয়া, বিলম্ব করিয়া কি লাভ ? ফেডারেশুনে ত ঢুকিতেই হইবে ? অর্থাৎ কর্তার ইচ্ছায় কৰ্ম্ম। অপর অনেকে বুঝিয়াছেন, ব্রিটিশ গবয়েণ্ট ব্রিটিশ ভারতের