সংস্কৃতসাহিত্যের পাখী ও তাহার নামতালিকা গ্ৰীসত্যচরণ লাহা
- আমাদের সংস্কৃতসাহিত্যে পার্থীর এমন ভূরি ভূরি নাম পাওয়া যায়, অনেক সময় তাহাদের অল্পবিস্তর পরিচয়ও লিপিবদ্ধ দেখিতে পাই, শুধু যে সাহিত্যের উপাখ্যানগুলির মধ্যে বর্ণিত নায়ক-নায়িকার সঙ্গে তাঁহাদের কাহিনী ওতপ্রোত ভাবে গ্রথিত হইয়া থাকিলেও কবিকল্পনাহিসাবে লিপিচতুষ্যের পরাকাষ্ঠীস্বরূপ সেষ্ট পরিচয় বাস্তব হইতে একেবারে বিচ্ছিন্ন গণ্য করিতে হইবে এমন কিছু কথা নাই, পক্ষিবিজ্ঞানের দিক্ হইতে এ-সম্বন্ধে কালিদাসসাহিত্যে প্রকৃতিবিশ্লেষণতত্ত্ব লষ্টয়া গবেষণায় পূৰ্ব্বে আমি দেখাইবার প্রয়াস পাষ্টয়াছি – এই সমস্ত পার্থীর নাম ও তৎসম্বন্ধে অল্পবিস্তর পরিচয় বিপুল সংস্কৃতসাহিত্যের স্তরে স্তরে বিক্ষিপ্তভাবে গ্ৰৰিত হইয় আছে, তাহাদের প্রকৃত মন্মগ্রহণে ও স্বরুপনির্ণয়ে আমরা একেবারে উদাসীন, তাই তাহদের সম্বন্ধে আমাদের অজ্ঞতা এত অধিক । আমাদের শাশ্বত ধৰ্ম্মগ্রন্থে, বেদে, পুরাণে, নীতিশাস্থে, কাব্যনাটকে, বৈদ্যক, জ্যোতিষ ও কোষগ্রন্থমধ্যে প্রচুর পাণীর সন্ধান পাওয়া যায়, তাহাদিগকে খুজিয়া বাহির করিয়া তাঁহাদের বিচ্ছিন্ন, বিক্ষিপ্ত পরিচয়ের খণ্ডাংশগুলি একত্র করিয়া বৈজ্ঞানিক আলোকপাতে তাহাঁদের সারবত্তানির্ণয়ের চেষ্টা কখনই অকিঞ্চিংকর হইতে পারে না। পরন্তু প্রতীচ্যে, এমন কি প্রাচে, সারা সভ্য জগং জুড়িয়া বিজ্ঞানের যে গবেষণা ও আন্দোলন চলিতেছে ভারতবর্ষের প্রাক্তন শিক্ষাদীক্ষা ও সভ্যতা হইতে তাহার সহযোগী কোন উপকরণ শিক্ষিত সমাজের জ্ঞানোন্নতিকল্পে যোগাইতে পারা যাইবে না ? পক্ষিতত্ত্বজিজ্ঞাসার উপাদান-হিসাবে মনে হয় আমাদের সংস্কৃতসাহিত্য মন্থন করিয়া এইরূপ পার্থীর নামতালিকা ও
পরিচয় সংগ্রহের প্রয়াস পাইবার প্রক্লষ্ট সময় উপস্থিত । আয়াসসাধ্য এই কার্ধ্য সন্দেহ নাই । কয়েক বৎসর পরিয়৷ এইরূপ সংগ্রহপ্রচেষ্টার ফলে আমি যতটুকু কৃতকাৰ্য্য হইতে পারিয়াছি তাহাতে যে তালিকাগঠনের সুবিধ হইয়াছে তাঙ্গ ক্রমশঃ প্রকাশ করা বাঞ্চনীয় মনে করি বর্ণানুক্রমিকভাবে তালিকাটি সজ্জিত করা যাইতেছে আপাততঃ ইহা প্রাথমিক ল| provisiounl হিসাবে গণ করিতে হইবে । তালিকার নামগুলি সম্বন্ধে অনেক স্থলেই স্পষ্ট ধারণ আমাদের সহজ হয় না ; প্রামাণ্য কোষগুলিভে এই সমস্ত নামের উল্লেখ প্রায় নাই, কখন কখনও হয়ত মাত্র একটি কোষগ্রন্থেই কোন পার্থীর নাম দেখা যায়, অন্যত্র নহে, তাহাতে জটিলতা আরও বাড়িয় উঠে এবং পার্থীর সংস্কৃত নামগুলি সম্বন্ধে চূড়াস্ত ব্যাখ্যা দিয়৷ পক্ষিবিজ্ঞানের দিক্ হইতে তাহাদের স্বরূপনির্ণয় বিষয়ে শেষসিদ্ধান্থে উপনীত হওয়া কঠিন হষ্টয় পড়ে। এই সকল জটিল ক্ষেণে হঠাৎ কোন ব্যক্তিগত মতামত ব্যক্ত করিতে গেলে বিষম ভুলভ্রাস্তির সম্ভাবন, তাই পুনবিচার ও ধীর আলোচনার অবকাশসাপক্ষে আমি মন্তব্যপ্রকাশে বিরত রছিলাম। তালিকাভুক্ত নামগুলির মধ্যে মাহীদের সম্বন্ধে তর্কবিতর্ক ও সন্দেহের নিরাকরণ হইয়া স্থিরসিদ্ধাস্থে পৌছিতে পারা গিয়াছে তাহীদের যথাযথ পরিচয়হিসাবে তাহাদের বৈজ্ঞানিক নামগুলি লিপিবদ্ধ করিতে কিন্তু সঙ্কোচ বোধ করি নাই । श्रकिक्षन-भशूद्र । - আগৌকা—পার্থীর সাধারণ সংজ্ঞা । এই অর্থে “নগেীকা" শব্দও ব্যবহৃত হয় । অমরকোষে পাণীর ২৭টি সাধারণ সংজ্ঞার অন্ততম বলিয়া ইহার নির্দেশ আছে । বৃক্ষ বা পৰ্ব্বতবাসে অভ্যস্ত পাণী । বিশেষার্থদ্যোতক হিসাবে বৃক্ষশাখাশ্রয়া দণ্ডবাসনিপু পক্ষী ; পক্ষিবিজ্ঞানে এরূপ একান্ত বৃক্ষবাসে অভ্যস্ত পার্থীর বিশিষ্ট লক্ষণাত্রণম্ভ এবং তজ্জন্ত একটি স্বতন্থ বর্গভুক্ত বলিয়ু *s, *, *, ; Passeres wori Perching bird wrest; তাহারা অভিহিত। পদ ও পদাঙ্গুলির গঠনবৈচিত্রে