পাতা:প্রবাসী (ষট্‌ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৩৬৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

\988 চিন্তাটা আমার সম্পূর্ণ শেষও হয় নি –পরক্ষণেই আমার চার পাশে মেয়ে-গলায় কার খল খল হেসে উঠল। হাসির শব্দ আমার গায়ের রক্ত আরও হিম হয়ে জমে গেল যেন। চেয়ে দেখি তখন একটাও পার্থী নয়, সবই অল্পবয়সী বে। তারা তখন সবাই এক যোগে ঘোমটা খুলে আমার দিকে চেয়ে অাছে।...আর তাদের চারিদিকে, সেই বড় মাঠের যেদিকে চাই, অসংখ্য নরকঙ্কাল দূরে নিকটে, ভাইনে বায়ে, অন্ধকারের মধ্যে সাদা সাদা দাড়িয়ে আছে। কত কালের পুরনো জীর্ণ হাড়ের কঙ্কাল, তাদের অনেকগুলোর হাতের সব আঞ্জুল নেই, অনেকগুলোর হাড় রোদে জলে চট উঠে ক্ষয়ে গিয়েছে, কোনটার মাথার খুলি ফুটে, কোনটার পায়ের নলির হাড় ভেঙে বেঁকে আছে। তাদের মুখও নানাদিকে ফেরানে—দাড়াবার ভজি দেখে মনে হয় কেউ যেন তাদের বহু যত্বে তুলে ধরে দাড় করিয়ে রেখেছে। কঙ্কালের আড়ালে পিছন থেকে ষে লোকটা এদের খাড়া করে রেখেছে, সে যেই ছেড়ে দেবে, আমনি কঙ্কালগুলো হুড়মুড় করে ভেঙে পড়ে গিয়ে জীর্ণ ভাঙাচোরা তোবড়ানে, নোন-ধরা হাড়ের রাশি সুপাকার হয়ে উঠবে। অথচ তারা যেন সবাই সজীব, সকলেই আমাকে পাহারা দিচ্ছে, আমি যেন প্রাণ নিয়ে এ-শ্মশান থেকে পালাতে না পারি। হাড়ের হাত বাড়িয়ে একযোগে সবাই যেন আমার গলা টিপে মারবার অপেক্ষায় আছে। উঠে সোজা দৌড় দেবো ভাবছি, এমন সময় দেখি আমার সামনে এক অতি রূপসী বালিকা আমার পথ আগলে হাসিমুখে দাড়িয়ে। এ আবার কে ? যা হোক, সব রকম ব্যাপারের জন্তে আজ প্রস্তুত না হয়ে আর শবসাধনা করতে নামি নি। আমি কিছু বলবার আগে মেয়েটি হেসে হেসে বললে—আমি ষোড়শী, মহাবিদ্যাদের মধ্যে শ্রেষ্ঠ, জামায় তোমার পছন্দ হয় না ? মহাবিদ্যা-টহাবিদ্যার নাম শুনেছিলাম বটে পাগলীর কাছে, কিন্তু তাদের ত গুনেছি অনেক সাধনা করেও দেখা মেলে না, আর এত সহজে ইনি--বেললাম—আমার মহা সৌভাগ্য ষে আপনি এসেছেন - আমার জীবন ধন্ত হ’ল--- মেয়েট বললে—তবে তুমি মহাভাষী সাধন করছ কেন ? প্রবাসী SNBgNE —জাজে, আমি ত জানি নে কোন সাধনা কি রকম। পাগলী জামায় যেমন বলে দিয়েছে, তেমনি করছি। -८वन, भशंखांभन्नैौ गांश्न छूधि शफ़ । e भज জপ করে না। আমি যখন দেখা দিয়েছি, তখন তোমার আর কিছুতে দরকার নেই। তুমি মহাভামরী ভৈরবীকে দেখ নি—অতি বিকট তার চেহারা...তুমি ভয় পাবে। ছেড়ে দাও ও মন্ত্র । সাহসে ভর করে বললাম—সাধনা করে আপনাদের জানতে হয় শুনেছি, আপনি এত সহজে আমাকে দেখা দিলেন কেন ? —তোমার সন্দেহ হচ্ছে ? আমার মনে হ’ল এই মুখ আমি আগে কোথাও দেখেছি, কিন্তু তখন আমার মাথার গোলমাল হয়ে গিয়েছে, কিছুই ঠিক করতে পারলাম না। বললাম—সন্দেহ নয়, কিন্তু বড় আশ্চৰ্য্য হয়ে গিয়েছি। আমি কিছুই জানি নে কে আপনারা।--•যদি অপরাধ করি মাপ করুন, কিন্তু কথাটার জবাব যদি পাই— বালিকা বললে—মহাডামরীকে চেন না ? আমাকেও চেন না ? তা হলে আর চিনে কাজ নেই। এসেছি কেন জিজ্ঞেস করছ? দিবেীঘ পথের নাম শোন নি তন্ত্রে ? পাষণ্ডদলনের জন্তে ওই পথে আমরা পৃথিবীতে নেমে আলি। তোমার মন্ত্রে দিবোঁধ পথে সাড়া জেগেছে। তাই ছুটে দেখতে এলাম । y কথাটা ভাল বুঝতে পারলাম না। ভয়ে ভয়ে বললাম তবে আমি কি খুবই পাষণ্ড । বালিকা খিলখিল করে হেসে উঠল। বললে—তোমার বেলা এসেছি সম্প্রদায় রক্ষার জন্যে••• আত ভয় কিসের । আমি না তোকে লাথি মেরেছি ? শ্মশানের পোড়া কাঠ ছুড়ে মেরেছি ? তোকে পরীক্ষা না করে কি সাধনার নিয়ম বলে দিয়েছি তোকে ? আমি ভয়ানক আশ্চর্ঘ্য হয়ে গিয়েছি, বলে কি ? মেয়েটি আবার বললে—কিন্তু মহাভামরীর বড় ভীষণ রূপ, তোর যেমন ভয়, সে তুই পারৰি নে—ও ছেড়ে দে– —আপনি যখন বললেন তাই দিলাম। -टैंक कथा हिलि ?