পাতা:প্রবাসী (ষট্‌ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৩৬৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

وكاNog তার পরে সে হঠাৎ হি হি করে হেসে উঠে বললে— মুখপোড়া বাদর কোথাকার । উনি দেখা পাবেন ভৈরবীদের। আমি যাদের নাম মুখে জানতে সাহস করি নে—হাকিনীদের নিয়ে কারবার করি। ওরে অলপ্লেয়ে, তোকে ভেন্ধি দেখিয়েছি। তুই তো সব সময় আমার সামনে বসে আছিল বটতলায়। কোথায় গিয়েছিলি তুই ? সকাল কোথায় এখন যে সারারাত সাধন করে আসন ছেড়ে এলি ? এই ত সবে সন্ধে— ! -ஸ்ர ! অামার চমক ভাঙল। পাগলী কি ভয়ানক লোক ! সত্যিই তো সবে মাত্র সন্ধ্যা হয়-হয়। আমার সব কথা মনে পড়ল। এসেছি ঠিক বিকেল ছ-টায়। আষাঢ় মাসের দীর্ঘ বেলা । মড়া ভাঙায় তোলা, শবসাধনা, নরকঙ্কাল, যোড়শী, উড়ন্ত চিল-শকুনির বfাক,—সব আমার अझ ! হতভম্বের মত বললাম-কেন এমন ভোলালে ? অার মিথ্যে এত ভয় দেখালে ? পাগলী বললে—তোকে বাজিয়ে নিচ্ছিলাম। তোর মধ্যে সে-জিনিষ নেই, তোর কৰ্ম্ম নয় তন্ত্রের সাধনা। তুই আর কোন দিন এখানে আসবার চেষ্টা করবি নে। এলেও জার দেখা পাবি নে। বললাম—একটা কথার শুধু উত্তর দাও। তুমি ত অসাধারণ শক্তি ধরে। তুমি ভেৰি নিয়ে থাক কেন ? উচ্চতন্ত্রের সাধন কর না কেন ? পাগলী এবার একটু গভীর হল। বললে—তুই সে প্রবাসী বুঝৰি নে। মহাষোড়শী, মহাভামরী, ত্রিপুরা এরা মহাবিদ্যা। ব্ৰক্ষশক্তির নারীরূপ । এদের সাধনা এক জন্মে হয় নাআমার পূর্বজন্মও এমনি কেটেছে—এ জন্মও গেল। গুরুর দেখা পেলাম নী—ব তুই ভাগ, তোর সঙ্গে এসব বকে কি করব, তোকে কিছু শক্তি দিলাম, তবে রাখতে পারবি নে বেশী দিন । ষা পালা— চলে এলাম। সে আজ ৪০ বছরের কথা। আর যাই নি, ভয়েই ঘাই নি। পাগলীর দেখাও পাই নি আর কোন দিন । তখন চিনতাম না, বয়েস ছিল কম। এখন আমার মনে হয় যে পাগলী সাধারণ মানবী নয়। সংসারের কেউ ছিল না সে, লোকচক্ষুর আড়ালে থাকবার জন্তে পাগল সেজে কেন যে চিরজন্ম শ্মশানে মশানে ঘুরে বেড়াত— তুমি আমি সামান্য মানুষে তার কি বুঝব ? যাক সে-সব কথা। শক্তি পাগলী দিয়েছিল, কিন্তু রাখতে পারি নি। ঠিকই বলেছিল, আমার মনে অর্থের লালসা ছিল, তাতেই গেল। কেবল চন্দ্রদর্শন এখনও করতে পারি। তুমি চন্দ্রদর্শন করতে চাও? এস, চিনিয়ে দেব। দুই হাতের বুড়ো আঙুল দিয়ে— আমি দেখিলাম তারানাথের বকুনি থামিবে না, যতক্ষণ এখানে আছি। উঠিয়া পড়িলাম, বেলা বারটা বাজে । আপাততঃ চন্দ্রদর্শন অপেক্ষাও গুরুতর কাজ বাকী। তারানাথের কথা বিশ্বাস করিয়াছি কিনা জিজ্ঞাসা করিতেছেন ? ইহার আমি কোনো জবাব দিব না । ঐহেমচন্দ্র বাগচী বর্বারাত্রির সম্বন বিীরণিত অন্ধকারে সেই স্বন্দর মুহূৰ্ত্তগুলি অনেক দিন আগেকার পুরনো কথা মনে পড়ে। অনেক দিনের ওপার থেকে মনের মধ্যে জেগে উঠেছে। भग्न भाङ्ग-थक ज्वाचलिड निरिज़ भिनन-अडीक- *********** তাকে পাওয়ার মত আনন্দ আর কি ? বাইরে মাইনিজ টার জীবনের সান্দ্র বিরহনিশার মধ্যে দুৰ্ল্লভ মনোবিনিময়ের অবসর। এই চকিত বিছান্দীপ্তি আজ বর্ধারাত্রির সব কিছুকে ছাপিয়ে একটি সার্থক মিলন-অনুভূতি ঘনিয়ে আনে।