পাতা:প্রবাসী (ষট্‌ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৩৭২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

vరిes প্রবাসী নাই। ১৮১৮ সালের সেপ্টম্বর মাস হইতে প্রতিবাদীর সাক্ষীগণের জবানবন্দী আরম্ভ হইয়াছিল এবং ১৮১৯ সালের মে মাসে শেষ হইয়াছিল। বাদীপক্ষ প্রতিবাদীর সাক্ষীগণের জেরার প্রশ্নমালা দাখিল করিয়াছিল না, স্বতরাং জেরাও করে নাই। ১৮১৮ সালের ১লা অক্টোবর বাদীপক্ষ আরও নয়জন সাক্ষীর নামে সপিনা বাহির করিয়াছিল। প্রতিবাদীর পক্ষের সাক্ষীগণের জবানবন্দী শেষ হইয়া গেলে, ১৮১৯ সালের ১১ই জুন বাদী এফিডেবিট করিল, সে বিশেষ চেষ্ট৷ করিয়াও এই সকল সাক্ষীকে হাজির এবং জবানবন্দী করাইভে পারে নাই। বাদী আরও বলিল, হীরারাম চট্টোপাধ্যায়, বিপ্রদাস রায়, সভাচন্দ্র রায় এবং তারিণী col fox wootă too (material witnesses) ইহাদের জবানবন্দী না হইলে সে নিরাপদে এই মোকদ্ধমার সওয়াল জবাবের জন্ত প্রস্তুত হইতে পারেন না (he cannot safely pioceed to a hearing in this suit ) , & চারি জন সাক্ষী বাদীর, বাদীর পিতার, এবং পিতামহের পারিবারিক এবং বৈষয়িক ব্যাপারের সহিত (with the family affairs and transactions) offse I wra এক মাস সময় পাইলে বাদী এই সকল সাক্ষীকে হাজির করিয়া জবানবন্দী করাইতে পারিবে। স্বতরাং তাহাকে আর এক মাসের সময় দেওয়া হউক। ১৮১৭ সালের ২৩শে জুন মোকদ্দমা রুজু করা হইয়াছিল, এবং দুই বৎসর ধরিয়া মোকদ্দমা চলিতেছিল। আর অধিককাল বিলম্ব করা কোর্টের অভিপ্রেত ছিল না। তথাপি কোর্ট বাদী গোবিন্দপ্রসাদ রায়কে এক মাসের অবকাশ দিলেন। ১৮১৯ সালের ১২ই জুন বাদী পক্ষ ১৭ জন সাক্ষীর নামে সাপিনা বাহির করিল। এই ১৭ জন সাক্ষীর মধ্যে অভয়চরণ দত্ত, কৃষ্ণপ্রসাদ পণ্ডিত, রাধাকৃষ্ণ বন্দ্যেপাধ্যায়, রামচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায় এবং গুরুপ্রসাদ পণ্ডিত এই পাচ জন মাত্র ৯ই জুলাই কোর্টে হাজির হইয়া হলপ করিয়া ছিল। প্রাধিত মিয়াদের এক মাস অস্তে, ১৮১৯ সালের ১৩ই জুলাই, বাদী গোবিন্দপ্রসাদ রায়, রামধন মুখোপাধ্যায় এবং মটুক সরদার এই তিনজনে মিলিয়া আর এক এফিডেবিট করিল। গোবিন্দপ্রসাদ রায় পূৰ্ব্ব এক্ষি ডেবিটের মত এই এফিডেবিটে বলিল, হীরারাম চট্টোপাধ্যায়, বিপ্রদাস রায়, সভাচঞ্জ রায়, তারিণী দেবী, নবকিশোর রায়, নিমাই রায়, রামধন ডিগ্রী, রঘুবীর ডিগ্রী এবং পতিতপাবন চক্রবর্তী এই নয় জন এই মোকদ্ধমার দরকারী সাক্ষী। ইহারা সকল অবস্থা অবগত আছেন। ইহঁাদের জবানবন্দী না হইলে বাদী এই মোকদ্দমা চালাইতে পারে না। সুতরাং ইহঁাদিগকে হাজির করিবার জন্ত আরও দুই মাস সময় দেওয়া হউক। কোর্ট এই প্রার্থনাও মঞ্জুর করিলেন। রামধন মুখোপাধ্যায় সপিন জারি করিবার জন্ত লাজুড়পাড়া অঞ্চলে গিয়াছিল। সে তাহার এফিডেবিটে বলিয়াছে, বাদীর অনুরোধে মটুক সরদারকে লইয়া সে কলিকাতা হইতে সপিন জারি করিতে গিয়াছিল। সে প্রথম গিয়াছিল কৃষ্ণনগর। সেখানে গিয়া শুনিতে পাইল, সপিনা এড়াইবার জন্ত অনেক সাক্ষী পলায়ন করিয়াছে। সেখানে কেবল অভয়চরণ দত্তের উপর সে সপিন জারি করিতে সমর্থ হইল। ২৬শে জুন কৃষ্ণনগর ত্যাগ করিয়া রামধন ডিগ্রীর উপর সপিন জারি করিবার জন্ত সে খোটালপাড়া গিয়াছিল। রামধন ডিগ্ৰী তখন খোটালপাড়ায় তাহার রেশমের কুঠতে (his silk factoryতে ) ছিল না। তার পরদিন সে খোটালপাড়া হইতে জয়পাড়া-কৃষ্ণনগর গিয়া রামধন ডিগ্ৰী এরং রঘুবীর ডিগ্রীর সাক্ষাৎ পাইল এবং তাহাদের উপর সপিনা জারি করিল। তখন এই দুই ব্যক্তি কাটি শালের (i) লাঠি দিয়া রামধন মুখোপাধ্যায়কে এবং মটুক সরদারকে খুব মারপিট করিয়াছিল, এবং রঘুবীর ডিগ্ৰী সেখানে উপস্থিত এক ব্যক্তিকে হুকুম দিয়াছিল, মূল সপিনা কাড়িয়া লইয়া ছিড়িয়া ফেল। মূল সপিনা ছিড়িয়া ফেলিয়া দেওয়া হইয়াছিল। মটুক সরদার ছেড়া সপিন কুড়াইয়া আনিয়াছিল। এখনও তাহ মোকদ্ধমার নথীর মধ্যে দেখা যায় । ১৮১৯ সনের জুন মাসের সপিনা পাইয়া ৰে পাচজন সাক্ষী হাজির হইয়াছিল তন্মধ্যে রাধাকৃষ্ণ বন্দ্যোপাধ্যায়, রামচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভয়চরণ দত্ত এই তিন জনের জবানবন্দী করা হইয়াছিল। রাধাকৃষ্ণ বন্দ্যোপাধ্যায় লাজুড় । পাড়ার বাড়ীর পুরোহিত ছিল এবং জবানবন্দীর সময় তাহার বয়স ছিল ৩৫ বৎসর। মূল জবানবন্দীতে, দ্বিতীয়