পাতা:প্রবাসী (ষট্‌ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৩৭৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ত্রিবেণী ষ্ট্ৰীজীবনময় রায় 8 o নন্দের বাড়ী গিয়ে কমলের অমুখের কিছুই উপশম হ’ল না। খানিকক্ষণ এদিক ওদিক ঘোরাঘুরি করে, গল্পগাছা করবার চেষ্টা ক’রে সে শ্রাপ্ত হয়ে গিয়ে গুয়ে পড়ল । মালতী জিজ্ঞেস করাতে বললে, “একটু গুয়ে নি। আমায় ডেকো না, আজ আর কিছু খাব না।" মালতী ব্যস্ত হয়ে বললে, “বডড যন্ত্রণ হচ্ছে বুঝি। ওমা, এতক্ষণ বল নি কেন ভাই ? ইস, চোখ দুটো যে লাল হয়ে উঠেছে ! চল, বিছানা করে গুইয়ে দিই গে। একটু বরফ দেবে মাথায় ?” কমল লজ্জিত হয়ে বললে, “না না, তেমন কিছুই না। একটু ঘুমলেই সেরে যাবে।" মালতী শোনে না। তাকে জোর করে খালি খাট থেকে উঠিয়ে পাশের ঘরে বিছানা করে গুইয়ে দেয়। বিরক্ত হয়ে বলে, “দেখ দিকি নি ভাই, উনি এই সময় কোথায় গেলেন। একজন ডাক্তার ডাকা উচিত। ভগলুকে বরং একবার হাসপাতালে পাঠিয়ে দি, নিখিল বাবুকে ডেকে নিয়ে আম্বক।” কমল ব্যস্ত হয়ে বলে, “না না, ও কিছুই নয়। একটু ঘুমলেই সব সেরে যাবে, দেখো। ও রকম আমার রোজ হয় ।” সন্ধ্যার খানিকটা পরে নন্দলাল বাড়ী ফিরল। কিন্তু বৈঠকখান থেকে অন্দরমহলে যেতে তার পা উঠল না । সেইখানে ব'সেই সে উপায় চিন্তা করতে লাগল যে, কমলের বিরূপতা বঁচিয়ে কেমন করে তার কাছে নিজেকে নিয়ে উপস্থিত করবে। নিতান্ত কিছুই ঘটে নি এমনই ভাবে ব্যবহার করা যায় কিন্তু যেখানে সত্যিই কিছু ঘটেছে সেখানে সে-ভাবটা বজায় রাখা তার পক্ষে দুরূহ। এমন সময় মালতী এসে জ্যোৎজার পীড়ার সংবাদ দিলে। অস্থখের সংবাদে আত্মীয়ের যেমন উদ্বিগ্ন হবার কথা, নন্দর মুখে ঠিক সে-রকম উদ্বেগের ভাব দেখা গেল না। একটা আশা, কেন এবং কিসের তা কে জানে, গোপনে গোপনে তার মন থেকে যেন একটা ছশ্চিন্তার মেঘ কাটিয়ে দিতে লাগল। কিসের এই আশা ? জ্যোৎস্কার কাছে এই অক্ষখের স্বত্রে আত্মীয়ের স্বাভাবিক হৃষ্ঠতা নিয়ে উপস্থিত হ’তে পারার স্থযোগ হবে এবং মাঝখানের এই কয় দিনের গ্লানিটা বিনা চেষ্টায় দূর হয়ে যেতে পারবে এই ভেবে ? না, এই স্বযোগে জ্যোংস্কার বিমুখ চিত্তকে অমুকুল করবার স্থযোগ পেতে পারে এই ভেবে, কে জানে ? কিন্তু তার পীড়ার সংবাদে যে সে অতিমাত্র বিচলিত হয়ে পড়ল এমন বোধ হ’ল না। বললে, “ভগলুকে দিয়ে বরফ জানিয়ে মাথায় আইসব্যাগ দাও ; আমি যাচ্ছি একটু কাজ সেরে।" বলে অকারণে একখানা মোট খাতা খুলে মনোযোগের সঙ্গে পাতা ওলটাতে লেগে গেল । মালতী বললে, “তোমার খাতাটা একটু রাখত। দিন রাত ঐ নিয়ে মাথা খারাপ হয়ে যাবার জো হ’ল। একটা ডাক্তার-টাক্তার ডাকা দরকার না কি ?” এখনই অন্দরে গিয়ে জ্যোৎস্কার কাছে তার ব্যাকুল চিত্তের উদ্বেগ প্রকাশ করবার - ইচ্ছ। প্রবল হ'লেও, মালতীর কাছে সে একরকম উপেক্ষার স্থরেই বললে, “হ্যা, একটু কি মাথা ধরেছে, তাই আবার ডাক্তার ডাক । তোমাদের যত বাড়াবাড়ি ।” “বাড়াবাড়ি জাবার কি ? অম্লখ করলে লোকে ডাক্তার ডাকে। সে কাংরাবার মেয়ে নয়, তাই চুপ করে পড়ে আছে। আমার আমনটা হ'লে আমি ত টেচিয়েই বাড়ী মাথায় করতুম। তা যা হয় কর, আমি চললুম।” নিতান্ত অগত্যার ভাবে নন্দ উঠে বাড়ীর ভিতর গেল। ७कर्छ भन्नैकांब्र कांनरग्न च्षांबक च्षांबूङ शब कधन ७tब्र আছে। হঠাৎ দেখলে নিত্রিত ব'লেই মনে হয়। কেৰল তার আকুঞ্চিত ললাটে যন্ত্রণার চিহ্ন পরিস্ফুট । মাঝে মাঝে गठौग्न मेंौर्षक्षांश्न cनहे यांच्चलन्नैौ* शृङ्गनांब्र फेक बांच्लष्टक ८फ्न নিষ্কৃতি দিচ্ছে।