পাতা:প্রবাসী (ষট্‌ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৩৭৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

cপীৰ নন্দ মালতীকে কানে-কানে জিজ্ঞেস করলে, “জর অাছে নাকি ?” ইচ্ছাসত্বেও কপালে হাত দিয়ে সহজ ভাবে সে রোগীকে পরীক্ষা করতে ইতস্তত করছিল। মালতী বললে, “জানি নে। তুমি দেখ না কপালে হাত लिएम्न ” নন্দ নিতান্ত কৰ্ত্তব্যের খাতিরেই পা টিপে কাছে গিয়ে তাঁর কপাল স্পর্শ করলে । কমল চোখ চেয়ে নন্দকে দেখে তাড়াতাড়ি মাথায় কাপড় দিয়ে উঠে বসল। মালতীর দিকে চেয়ে বললে, “কেন ভাই মিছে ব্যস্ত হচ্ছ। ও আমার কিছুই নয়। অমন প্রায়ই হয়। একটু ঘুমলেই সেরে যাবে ত বললাম। মিছিমিছি তুমি বড় ব্যস্ত হও।” মালতী গোলমাল করে বলতে লাগল “না, কিছু নয়। রগের শির ফুলে উঠেছে, চোখ দুটো লাল জবাফুলের মত হয়েছে—কিছু নয়। কিছু নয় ত, কিছু নয়। তুমি চুপ করে শোও ত । আবার ধড়মড়িয়ে উঠে বসলে কেন ? এখন আমাদের এখানে এসেছ, আমরা যা বলব তাই শুনতে হবে। কিছু নয় নয় ক’রে চেহারা কি হয়েছে দেখতে পাও?” নন্দ এর মধ্যে কি বলবে কিছুই ঠিক করতে পারলে না । কেমন ক’রে সে নিজের অমৃতপ্ত ভাব প্রকাশ ক’রে তার সেবা করবার স্থযোগ লাভ করবে তাও ভেবে উঠতে পারল না। এটুকু সে স্পষ্টই বুঝতে পারলে যে তার উপস্থিতি জ্যোৎস্নার কাছে স্বস্তিকর নয়। স্বতরাং অগত্যা সে যথাসম্ভব সহজ গলায় জাইস-ব্যাগ দেবার উপদেশ দিয়ে মনে মনে রুষ্ট হয়েই বেরিয়ে বৈঠকখানায় চলে গেল । জ্যোৎক্ষণকে যে সহজে আয়ত্ত করতে পারবে না, তা তার অজানা ছিল না। কিন্তু জ্যোৎস্না যে তাঁর প্রত্যেকটি নিরাপদ গতিবিধি সম্বন্ধেও এতটা সজাগ থাকবে এতে তার বিরক্তির সীমা রইল না। পুরুষঅভিভাবকবিহীন একটা স্ত্রীলোক যে সম্পূর্ণ পুরুষসম্পৰ্বপুস্ত চিত্তে চিরকাল অতিবাহিত করতে পারে, এ তার ধারণার মধ্যে আসেই না। এ সে বিশ্বাসই করতে পারে না। তবে কে ? কে তাঁর মনকে এমন ক’রে আবদ্ধ করেছে যে সে তার বিপুল অন্ধকারময় ভবিষ্যতের বিরুদ্ধেও এমন করে তার প্রেমকে প্রত্যাখ্যান করতে পারে? বিশেষতঃ তার সঙ্গে প্রেমের এই গোপন বিনিময়ে যখন জিৰেী وهماهوتي তাকে কোন পরিবর্তন বা বিপৰ্য্যয় কিংবা বৃহৎ ত্যাগস্বীকার করতেও হচ্ছে না। তার সন্তানকে সে এতদিন সন্তাননিৰ্ব্বিশেষেই পালন করে এসেছে ; এবং চিরদিন তার স্নেহের আশ্রয়ে থেকে নিরাময় নিঃসঙ্কোচেই তাকে মানুষ করে তুলতে পারবে। বরং তখন মনের দিক থেকে তার দাবীই জন্মাবে—এখনকার মত নিয়ত তাকে পরান্নভোজীর অবনতি অনুভব করতে হবে না। তবে কেন তাঁর এই বিরুদ্ধতা ? কেন, কেন, কেন—ভাবতে গিয়ে নিখিলনাথ সম্বন্ধে সন্দেহ তার ক্রেমে বিশ্বাসে পরিণত হতে লাগল। সে মনে মনে বললে “না, এমনই ক’রে ডাক্তারের হাতে ছেড়ে দিতে পারব না। একবার শেষ চেষ্টা ক’রে দেখব। তা নইলে ডাক্তারকে একবার দেখে নেব।” সেদিন রাত্রে কমলের মাথার যন্ত্রণ খুবই বেড়ে উঠল। সে মনে মনে বছবার নিখিলনাথের কথা ভাবলে। কিন্তু নন্দলালের সেদিনকার কুৎসিত ইঙ্গিতের পর সে নিখিলনাথের কথা উচ্চারণ করতে সঙ্কোচ বোধ করতে লাগল। নিজেই সে নিজের চিকিৎসার দু-একটা মামুলি ওষুধ ও ব্যবস্থার কথা বলে শ্রাস্ত হয়ে পড়ে রইল । সমস্ত দিন সংসারের নানা ঝঙ্কাট পোহনির পর রান্ত্রে মালতী অত্যস্ত পরিশ্রান্ত হয়ে পড়ত। তবু সে প্রথম রাত্রিটা প্রাণপণে রোগীর সেবায় নিজেকে নিযুক্ত রাখলে। কমলের বারংবার অকুরোধ সত্ত্বেও সে পাখা নিয়ে তাকে বাতাস করতে লাগল। কিন্তু তার পরিশ্রাপ্ত চোখ দুলে এল ; এবং দু-একবার যখন শ্রাস্ত হাতের পাখাটা ঘুমের চুল খেয়ে রোগীর গায়ের উপর পড়তে স্বরু হ’ল তখন সে বুঝলে যে খানিকটা না ঘুমিয়ে নিলে আর বসা চলে না। মাঝে মাঝে বরফ ভেঙে আইস-ব্যাগটা ভরে দেবার উদ্দেশ্যে নন্দলাল ঘরে এসে রোগীর সংবাদ নিচ্ছিল। মালতী তার কানে-কালে বললে, “তুমি একটু পাখাটী ধর, আমি খানিকট না গড়িয়ে নিয়ে যেন পারছি না।” নন্দলাল বিনা বাক্যব্যয়ে পাখাটা তার হাত থেকে নিয়ে মালতীকে পাশের ঘরে স্ততে পাঠিয়ে দিলে। धद्र मिखक, निकूध । düविप्लब्र ऐं★त्रब्र cनट्छब्र बांडिé नैौण कां★छ निtब षिरब्र cनGब्रा झरब्रटछ् । ' wहे