পাতা:প্রবাসী (ষট্‌ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৩৮০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

\లిన94 প্রৰণসী গিয়ে সে অজয়কে তেমনই ক’রে বুকে জড়িয়ে ধরে “মা, মাগো” বলতে বলতে উদ্বেল হয়ে কাদতে লাগল। এত আঘাতের মধ্যেও যে মালতী তার স্বামীর কণ্ঠস্বর গুনে আবার উৎকর্ণ হয়ে তার কথা শুনতে পারে, তা ভাবলে অবাক হ’তে হয়। দুঃখের নিরতিশয় বেদনার পীড়ন সত্ত্বেও সে তার স্বামীর কথার আওয়াজে হাতের উপর ভর দিয়ে অল্প উচু হয়ে শুনতে লাগল, “আমায় ক্ষমা কর, আমায় ক্ষমা কর । কোন পাপ” ইত্যাদি। প্রথমবার পাশের ঘরে ঢুকে নন্দকে ছক্রিয়োম্মুখ দেখে স্বভাবতই তার মন কমল সম্বন্ধে সন্দিগ্ধ এবং নিষ্ঠুর হয়ে উঠেছিল। কিন্তু তার স্বামীর এই শেষ কথাগুলোতে সে স্পষ্টই বুঝতে পারলে যে কমল সম্পূর্ণ নির্দোষ। এবং আপনিই তার মনের বেদনা অনেকটা যেন লঘু হয়ে এল। তার একমাত্রকে যে অন্তে গ্রাস ক’রে নেয় নি, স্ত্রীলোকের পক্ষে তা নিতান্ত অল্প সাত্বনার কারণ নয়। তা ছাড়া মালতী ইংরেজী-সাহিত্যচারী আধুনিকদের স্বল্প দাম্পত্যতত্বে অভিজ্ঞ নয়। অতএব পুরুষের স্ত্রীর প্রতি পালটা কৰ্ত্তব্যনীতির বিচার সম্বন্ধে তার মতামত নিদারুণ রকমের কঠিন ছিল না। যেখানে তার দুলৰ্ভয্য অভিমান নিয়ে দুশ্চরিত্র স্বামীকে পরিত্যাগ করে একাকিনী জীপন যাপন করবার স্বধৃঢ় সঙ্কল্প করা উচিত ছিল, সেখানে সে মাত্র ক্রোধে উষ্ঠত হয়ে রইল। আরও আশ্চর্ধ্যের বিষয় এই যে, কমলের উচ্ছ্বসিত ক্রদনে, তার অভিশপ্ত দুঃখময় জীবনের প্রতি করুণায়, মালতীর স্বভাবপ্রসন্ন করুশাপূর্ণ চিত্তের এই ক্রোধের উত্তাপ কখন এক সময় শাস্ত হয়ে এল। সে ধীরে ধীরে উঠে কমলের পাশে গিয়ে বসল এবং বোধ করি এক রকম স্বামীর অপরাধেই অস্থতপ্ত হয়ে তার পিঠে হাত বুলিয়ে নীরবে সান দিতে লাগল। 8S সত্যবানের মৃত্যুতে সীমার মন নৃশংস ভবিতব্যতার নিষ্ঠুরতার উপর অসহায় আক্রোশে জাহত বৃশ্চিকের অন্ধ পুচ্ছের মত উষ্ঠত হয়ে ছিল ; প্রতিহিংসার মূঢ় উত্তেজনায় তার চিত্ত পরিপূর্ণ ; তৰু নিখিলনাথের কাছ থেকে বিদায় নিয়ে সে যখন আবার বনের মধ্যে প্রবেশ করলে তখন সেই প্রথম তার নিজেকে সত্যই নিরাশ্রয় নিঃসহায় বলে মনে হতে লাগল। তার দাদার আকর্ষণে সে যে-দলের মধ্যে এসে আশ্রয় নিয়েছিল তাদের প্রত্যেকেই একে একে নিজের নিজের শেষ নিঃশ্বাসের সঙ্গে নিজেদের কৰ্ত্তব্য পালন করে চলে গেল। মুমূর্ধ্ব সত্যবানও তার আশ্রয়স্বরূপ ছিল। শুধু তার বুদ্ধি বা পরিচালনা-শক্তির জন্ত নয়—সত্যবানের মৃতকল্প দেহটাকে রক্ষা করে বেড়ানোর অচিন্ত্য বিপদের সঙ্গে যুদ্ধ করাও যেন তার অসহায় নির্জিত দেশের আত্মমর্ধ্যাদাকে অক্ষুণ্ণ রাখার সমান—এই কাজটি তার মনকে তার অস্তিত্বকে অল্প আশ্রয় দেয় নি। আর আজ ! সে সৰ্ব্বহারার মত—সহায়হীন সম্বলশূন্ত, আশ্রয় মাত্র তার অন্তরের অনিৰ্ব্বাণ দেশগ্ৰীতি। তারও স্পষ্ট রূপ তার ভাই তার সঙ্গীদের মৃত্যুর রূপে ঢাকা পড়ে, জাগিয়ে রেখেছে তার হৃদয়ে একটা জালাময় জিঘাংসা মাত্র। তার না আছে রূপ, না আছে রস, না আছে সংযম । নিখিলনাথকে নক্ষত্রখচিত স্তন্ধ আকাশের তলে যে একাকী পরিত্যাগ করে চলে এসেছে, প্রদোষান্ধকারে স্বাত দিগন্তবিস্তৃত মহাপ্রাস্তরের স্কুলে পরিত্যক্ত সেই একক নিখিলনাথের নিঃসঙ্গতা তার নিঃসহায় চিত্তে একটা অবোধ বেদনার মত ধীরে ধীরে তার অজ্ঞাতে তাকে আচ্ছন্ন করে ধরলে। নিখিলনাথের সতেজ উন্নত মহত্বব্যঞ্জক মূৰ্ত্তির অন্তরালে যে করুণামণ্ডিতব্যাকুল অন্তরাত্মাকে তাঁর বিদায়ের মুহূর্তে সীমা অপমানের আঘাত করে এসেছে, নিখিলনাথের সেই স্নেহকরুণ মুখত্ৰ এই বনানীর নিবিড় অন্ধকার পটে তার অনুতপ্ত মনের সামনে ভেসে উঠল। তার আকারণ রূঢ়তার জন্তে অমৃতপ্ত চিত্তে সে নিজেকে তিরস্কার করলে। তৰু ত তাকে থামৰুে চলবে না। পূর্ণ করে তুলতে হবে তার দাদার অপূর্ণ আকাঙ্ক্ষাকে, সত্যবানের দুর্জয় সাধনাকে । কিন্তু কি সেই সাধনার প্রকৃতি তা সে জানে ন—তার বাইরের বছিক্কপ সে দেখেছে মাত্র এবং সেই রূপেই তার তরুণ হৃদয় প্রদীপ্ত। স্বাধীনতার আকাঙ্ক্ষা তার মধ্যে তীব্র, কিন্তু স্বাধীনতার রূপ তার কাছে স্বম্পষ্ট নয়। তাই डांब्र शांना ७श्वर डांब्र गणेौप्नब यूङ्कारङ cव eथङिश्निांब्र আগুন তার চিত্তে বহ্নিমান হয়েছিল, দেশ এবং স্বাধীনতার