পাতা:প্রবাসী (ষট্‌ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৩৮৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

_লণৰ "ভারভেন্স-লা-শুশ্নয়মকাখT Tভণ্ডঞ্জ স্থযোগ ও সঙ্গতি হয়। কিন্তু অনেকেই মনে করিয়া থাকেন যে, কংগ্রেস কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি রাজনৈতিক ব্যাপারেই অধিকতর গুস্ত থাকায় এ-বিষয়ে যতটা কাৰ্য্য হইবার সম্ভাবনা ছিল বা লোকে আশা করিয়াছিল তাহ হয় নাই। পল্লী-উন্নয়ন বিষয়ে কংগ্রেসের কার্ধ্য যে যথেষ্ট বা আশানুরূপ হয় নাই তাহার প্রমাণ পরে গান্ধীজীর প্রতিষ্ঠিত নিখিল ভারত গ্রাম-উদ্যোগ সঙ্ঘের প্রতিষ্ঠ হইতেই বেশ পাওয়া যায়। মহাত্মা গান্ধী সম্প্রতি যখন রাজনীতিক্ষেত্র হইতে অবসর গ্রহণ করিলেন তখন তিনি ঘোষণা করিলেন যে তাহার জীবনের অবশিষ্ট কাল পল্পী-উন্নয়ন কার্ধ্যেই, নিয়োজিত করিবেন। এই উদ্দেশ্রেই তাহার উক্ত গ্রাম-উদ্যোগ সঙ্ঘের প্রতিষ্ঠা। তিনি ইহার জন্ত ভারতের নানা স্থান ভ্রমণ করিয়া অনেক অর্থও সংগ্ৰহ করিলেন, তাহার মধ্যে আমাদের বাংল। দেশ হইতে যে প্রায় লক্ষ টাকা উঠিয়াছিল সে-কথা বোধ হয় অনেকেরই স্মরণ অাছে। এই সঙ্ঘের প্রধান কাৰ্য্যালয় হইয়াছে বধী (Wardha) সহরে । শেঠ যমুনালাল বাজাজ ইহার জন্ত একটি প্রকাও বাড়ী ও ৪৫ বিঘা জমী এক কালে দান করিয়াছেন। আমাদের বাংল| দেশে এই সঙ্ঘের কায্য খাদি-প্রতিষ্ঠান মারফতই চলিতেছে। উক্ত গ্রাম-উদ্যোগ সঙ্ঘের প্রথম বার্ষিক কাৰ্য্য-বিবরণ হইতে দেখা যায় যে, উক্ত সঙ্ঘ এক্ষণে প্রধানতঃ গ্রামবাসীদের স্বাস্থ্যোল্পতিকল্পে তাহাদিগকে উপযুক্ত আহাৰ্য্য দানের ব্যবস্থাতে মনোযোগী হইয়াছেন। ইহার দ্বারা কুটার-শিল্পেরও প্রকারান্তরে সাহায্য করা হইবে। সঙ্ঘ গুড় প্রস্তুত, নারিকেল-ছোবড়া হইতে দড়ি প্রস্তুত, কাপড় কাচা সাবান প্রস্তুত, চামড়া কষ করিয়া তাহা হইতে জুতা তৈরি করা, সয়া শিমের চাষ, প্রভৃতি কাৰ্য্যে লোককে উৎসাহ দান করিতেছেন। এই সজোর কার্ধ্য ভারতের অন্তান্ত প্রদেশে কিরূপ চলিতেছে তাহার বিষয় আলোচনা না করিয়া আমাদের বাংলা দেশে ইহা কিরূপ চলিতেছে তাহার বিষয় জুই-চারি কথা বলিলেই বোধ হয় যথেষ্ট হইবে। প্রবাসীর গত বৎসরের ফাঙ্কন সংখ্যায় খাদি-প্রতিষ্ঠানের প্রধান কর্মকর্তা সতীশচন্দ্র দাসগুপ্ত মহাশয়ের লিখিত প্রবন্ধ হইতে এ-বিষয়ের খবর পাঠকবর্গ পাইয়াছেন। বাংলা দেশে পল্পীউন্নয়ন কার্ধ্যে এই কংগ্রেস প্রতিষ্ঠানটি কি করিতেছেন তাহার যে বিবরণ পাওয়া যায় তাহার পুনরুল্লেখ এখানে নিম্প্রয়োজন। তবে ইহা স্বীকার করিতে হইবে যে এই প্রতিষ্ঠানটি ধে-ভাবে কতকগুলি গ্রামকে কোন কোন বিষয়ে স্বাবলম্বী করিতে ও কুটর-শিল্প প্রভৃতির উন্নয়নে মনোযোগী হইয়াছেন তাহা উপযুক্ত ও প্রশংসনীয়ই হইয়াছে। উপবে পল্লী-উন্নয়ন কায্যে কংগ্রেসের প্রচেষ্টার কথা বলা হইল, এক্ষণে উক্ত কাঁধ্যে গভর্ণমেণ্টের প্রচেষ্টার কথা সংক্ষেপে কিছু বলিব, কারণ এক্ষণে সকলেই দেখিতেছেন যে কর্তৃপক্ষ এ-বিষয়ে বিশেষ উদ্যোগী হইয়াছেন। অবশু এ-কথা বলিলে ভুল হইবে যে, পূৰ্ব্বে এ-বিষয়ে গভর্ণমেন্টের কোনও চেষ্টা ছিল না, কারণ আমি পূৰ্ব্বেই উল্লেখ কবিয়াছি যে রায়ত প্রভৃতিদের অবস্থন্নোতিকল্পে গভর্ণমেন্ট-কর্তৃপক্ষ ভারতে ব্রিটিশ-শাসন প্রতিষ্ঠাব প্রারম্ভ হইতেই অবহিত ছিলেন । তবে এ-কথা স্বীকার করিতে হইবে যে, পূৰ্ব্বে এ-বিষয়ে গভর্ণমেণ্টের যতটা মনোযোগ বা চেষ্টা ছিল তাহাপেক্ষা এক্ষণে তাহ অনেক গুণ বৰ্দ্ধিত হইয়াছে। এরূপ বৰ্দ্ধিত হইবার কারণও আছে। আমি গোড়াতেই উল্লেখ করিয়াছি যে, ভারতের পল্লীগুলিব দুঃখ-দুর্দশা বা ঐহীনতার জন্ত ভারতীয় জনমতেব ঔদাসীন্তও দায়ী । এ-কথা কেবল ভারতের পক্ষে নহে, স্বাধীন দেশের পক্ষেও সত্য, জনমতই জনসাধারণের স্বর্থ-স্বাচ্ছন্দ্যের রক্ষাকৰ্ত্তা । এবং বল যায় ষে এক্ষণে কংগ্রেস সেই জনমত দেশে জাগ্রত করিয় রাজকর্তৃপক্ষকে দেশের এই গঠনমূলক কার্ষ্যে অধিকতর অবহিত করিয়াছেন। তার পর আর একটি কথাও আছে। অনেক ভারতীয়ের এত দিন মনোভাব ছিল যে, লোকের সকল অভাব-অভিযোগ নিবারণ করা বা তাহার উপায় অবলম্বন করার কর্তব্য প্রধানতঃ গভর্ণমেন্টেরই, ইহা ভ্রান্ত। এমন কি ইংলগুের স্থায় স্বাধীন দেশেও দেখা যায় যে, জনহিতকর অধিকাংশ কার্ধ্য ব। ব্যাপারে লোকেরাই প্রথম অগ্রণী হন, এবং গভর্ণমেন্ট পরে অনেক বিষয়ে তাহাদিগকে যথাসাধ্য সাহায্য করিয়া থাকেন মাত্র। কাজেক্ট আমাদের দেশেও যে অল্পরূপ উদ্যোগের বিশেষ অবিশুকতা আছে সে-বিষয়ে অধিক বলাই বাহুল্য । যাহা হউক, কংগ্রেস এক্ষণে দেশের এরূপ এক গঠনমূলক কার্ধে অগ্রসর হইয় দেশীয় পক্ষে ষে এই কর্তৃব্যের