পাতা:প্রবাসী (ষট্‌ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৩৮৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

N9$939 অবহেলা দূর করিয়া এক উপযুক্ত কৰ্ম্মই করিয়াছেন তাহার বিষয় অধিক বলিবার প্রয়োজন নাই। ইহাদের উদ্ভাবিত ক্টীম্‌ বা উপায় কোন কোন ক্ষেত্রে গভর্ণমেণ্ট গ্রহণ করিয়া কাৰ্যকরী করিতেও প্রস্তুত। তাহার এক উজ্জল দৃষ্টান্ত আমরা পাই। হয়ত কেহ কেহু অবগত থাকিতে পারেন যে, দেশবন্ধু দাশ তাহার জীবিতকালে বাংলার গ্রামগুলি হইতে ম্যালেরিয়া নিবারণের জন্ত যে স্কীম্‌ প্রস্তুত করেন, বাংলা গবর্ণমেন্টের স্বাস্থ্য-বিভাগ তাঁহা উপযুক্ত বোধে গ্রহণ করিয়া ষে বহুল অর্থ প্রতি বৎসর এই নিমিত্ত ব্যয় করিয়া থাকেন ও তাহার জন্ত দেশবন্ধুর প্রতি নিজেদের ঋণ স্বীকারও করিয়া থাকেন, তাহা হইতেই উক্ত বাক্যের যাথার্থ্যের সম্যক পরিচয় পাওয়া যায়। যাহা হউক, এ-বিষয়ে আর অধিক কিছু না বলিয়া এক্ষণে পল্পী-উন্নয়ন বিষয়ে বাংলগভর্ণমেন্টের কার্য্য কোন পথে ও কি ভাবে উদ্ভূত হইয়া চলিতেছে তাহার বিষয় কিছু বলা যাক। সকলেই অবগত আছেন যে পল্পী-উন্নয়ন ব্যাপারে এক্ষণে ভারতের প্রাদেশিক গভর্ণমেণ্টগুলির যে ব্যাপক ও অধিকতর চেষ্টা চলিতেছে তাহ সম্প্রতি ভারতের কেন্দ্র-গভর্ণমেণ্ট এতদৰ্থে যে প্রায় দুই কোট টাকা নিজ তহবিল হইতে দান করিয়াছেন তাহার দ্বারাই সম্ভব হইয়াছে। এই দান হইতে বাংলার ভাগ্যে মোট ৩৪ লক্ষ টাকা পড়িয়াছে। ভারতের কেন্দ্র-গভর্ণমেণ্টের এই দান মহাত্মা গান্ধীর গ্রাম-উদ্যোগ সঙ্ঘ প্রতিষ্ঠার পর ঘোষিত হওয়ায় অনেকে মনে করিয়া থাকেন যে, কংগ্রেসের সহিত প্রতিযোগিতা চালাইবার জন্ত গভর্ণমেন্ট এই কার্ধ্যে অবহিত হইয়াছেন, ইত্যাদি। যাহা হউক, এখানে এই রাজনীতিক প্রশ্নের মীমাংসা বা আলোচনা করা আমার উদ্দেশু নহে, তবে বাস্তবিক কংগ্রেসের এই জনহিতকর কার্ধ্য যদি গভর্ণমেন্ট-কর্তৃপক্ষকে উক্ত কৰ্ম্মে অধিকতর অবহিত করিয়া থাকে তাহা হইলে তাহাতে গভর্ণমেন্টের লজ্জিত হইবার কোন কারণ নাই এবং এ-বিষয়ে কংগ্রেসের নিকট নিজেদের ঋণ স্বীকার করিলেও কোন ক্ষতি নাই। তবে এই ধারণা লোকের মনে হইলে বোধ হয় খুবই দুঃখের কারণ হইবে যে, গভর্ণমেণ্ট উক্ত কর্শ্বের দ্বারা কংগ্রেসের কার্য্যকে নষ্ট করিতে চাহেন, কারণ ভারতের স্থায় বিশাল দেশে ও যেখানে লোকের দুঃখ-দুর্দশাও অতি প্রবল, প্রবাসী SN9gvరి সেখানে কোনও এক প্রতিষ্ঠানের দ্বারা বিশেষ কিছু হওয়া কখনও সম্ভব নহে। এক দিকে গভর্ণমেণ্ট কর্তৃপক্ষ যদি মনে করেন যে র্তাহাদের অর্থ ও সামর্থ্যই এই কার্ধ্যে যথেষ্ট তাহ যেমন ভাস্ত, সেইরূপ অপর দিকে যদি কংগ্রেসের বা দেশের লোক মনে করেন যে গভর্ণমেন্টের সাহায্য ব্যতীত তাহাদের চেষ্টাই এ-বিষয়ে যথেষ্ট, তাহাও সেইরূপ ভ্রান্ত । বাস্তবিক কেবল দেশের মঙ্গলের দিকেই লক্ষ্য রাখিয়া যদি উভয়ে একযোগে কাৰ্য্য করেন তবে ত সৰ্ব্বাপেক্ষা উত্তমই হয়, আর তাহা না হইলেও যদি উভয়ের লক্ষ্য একমাত্র দেশের হিতের প্রতি নিহিত থাকে তাহা হইলেও শুভফল অধিকতর প্রস্থত হয়। বাস্তবিক উভয় পক্ষেরই দৃষ্টি যদি প্রধানভাবে একমাত্র দেশের মঙ্গলের উপরই ন্যস্ত থাকে তাহা হইলে পরস্পরের উপর এই ব্যাপার লইয়া সন্দেহের কারণ থাকে না ও তাঁহ দেশের পক্ষে অধিকতর মঙ্গলেরই কারণ হয়। পল্লী-উন্নয়ন ব্যাপারে ভারতের চারি দিকে এক্ষণে যে ব্যাপক উদ্যম চলিতেছে তাহার সকলগুলির বিষয় আলোচনা না করিয়া বাংলা দেশে ষে কাৰ্য্য হইতেছে সংক্ষেপে তাহার মূল ভাব ও বিষয় আলোচনা করিলে গভর্ণমেণ্টের নীতির ও কাৰ্য্যের স্বরূপের পরিচয় পাওয়া যাইবে । গত বৎসর বাংলা-গভর্ণমেণ্ট কেন্দ্র-গভর্ণমেণ্ট গ্র্যান্ট হইতে যে ১৬ লক্ষ টাকা পাইয়াছিলেন তাহা পল্লী-উন্নয়নের নানা ব্যাপারে কি ভাবে ব্যয়িত হইয়াছে তাহার বিবরণ গভর্ণমেন্টপ্রকাশিত নানা রিপোর্ট হইতে পাওয়া যায়, এবং তাহ পাঠকবর্গেরও নিকট অবিদিত নহে। কেন্দ্র-গভর্ণমেন্ট হইতে উক্ত ১৬ লক্ষ টাকা পাইয়া বাংল-গভর্ণমেণ্ট উহা ব্যয়ের ষে স্কীম্‌ করেন তাহা গত বৎসর জুলাই মাসের শেষে প্রকাশিত হয় ও তাহা লইয়া কাউন্সিলেও আলোচনা হয় । পল্লী-উন্নয়নের কোন কোন ব্যাপার ব্যপদেশে গবর্ণমেণ্ট কত টাকা ব্যয় করিতে চাহেন তাহার একটি তালিকাও প্রকাশিত হয়, যাহার বিষয় পাঠকবর্গের এখনও স্মরণ থাকিতে পারে। এই তালিকায় দেখা যায় পল্লীগুলির স্বাস্থ্য, শিক্ষা, শিল্প প্রভৃতি নান ব্যাপারের উন্নতিসাধনকল্পে গভর্ণমেন্টের কাৰ্য্য নিবন্ধ হয়, এবং ইহার জন্ত উক্ত প্রাপ্ত অর্থ ব্যয় হইয়া গিয়াছে। কি কি ভাবে উক্ত অর্থ নানা ব্যাপারে ব্যয়িত হইয়াছে তাহার প্রায় সম্পূর্ণ বিবরণই সংবাদপত্রাদিতে