পাতা:প্রবাসী (ষট্‌ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৩৮৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অসাধারণ খ্ৰীবিভূতিভূষণ গুপ্ত কলিকাতার উপকণ্ঠে একখানি ছোট একতলা বাড়ী। জরাজীর্ণ, বাৰ্দ্ধক্যের অবসাদে মুহমান। সংস্কার অভাবে স্বানে স্থানে ধ্বসিয়া গিয়াছে। বাহির হইতেই গৃহস্বামীর ঔদাসীন্য চোখে পড়ে। ভাঙাচোরা ইটের ফাকে ছোটমাঝারি বহুবিধ জানা-অজানা গাছ জন্মিয়াছে। বাড়ীর সম্মুখ ভাগেই একখানি বাগান ; কিন্তু অষত্ত্বে, অনাদরে সেখানে কাট-শাক দেখা দিয়াছে প্রচুর পরিমাণে। গোটকয়েক পেপেগাছও দেখা যায় । সময় রাত্রি প্রায় এগারটা। একটি শীর্ণকায় স্ত্রীলোক পলকহীন চোখে বাহিরের রুগ্ন রাস্তার প্রতি চাহিয়া আছে। চোখে মুখে আশঙ্কামিশ্রিত ব্যাকুল ভাব। চেহারা এক সময় ভালই ছিল, বড় বড় চোখের দৃষ্টিতে ছিল একটি স্নিগ্ধ কমনীয় ভাব। কিন্তু রোগে ভুগিয়া ভুগিয়া মাংসের একান্ত অভাব দেখা দিয়াছে তার দেহে। কপালের শিরাগুলি অত্যন্ত স্পষ্ট, গায়ের রং সাদা-চক্ষু কোটরে কিন্তু অস্বাভাবিক ঔজ্জল্যে সদ্যস্থত বন্যপশুর স্থায় হিংস্র । মেজাজ খিটখিটে—একটুতেই চটিয়া উঠে। দেহের সঙ্গে সঙ্গে মলেরও ঘটিয়াছে পরিবর্তন । সারা বাড়ীতে মানুষ মাত্র দু-জন—স্বামী এবং স্ত্রী। স্থশাস্ত ও রাণী। ছেলেপিলে নাই। হইবার আশাও দেখা যায় না। বয়স গড়াইয়া গিয়াছে। যদিও এ-বয়সে হয়, কিন্তু রাণী তাহা স্বীকার করে না। তা ছাড়া ওর মতে তাদের ঘরে শিশুসন্তানের আবির্ভাব না-হওয়াই মঙ্গলজনক । স্বশাস্ত নিয়মিত আপিস করে একটা সওদাগরী কোম্পানীতে। বেতন সামাঙ্গ, কোন রকমে কায়ক্লেশে নিজের মধ্যাদা বাচাইয়া চলিবার মত। নিরিবিলি লোক— तोनिन ५वर बाज़े हे इहे श्न उब इनिवाब शनर्किडे ৗমারেখা। কথা, সে অত্যন্ত কম বলে—চলাফেরা হইতে शांग्रेस कब्रिवृीं उठांब्र क५ी यलां *ईrख ब्रगछन-वैोंथां ॥ ७द्र وابست-88 এতটুকু ব্যতিক্রম আজ দু-বছরের মধ্যে রাণীর চোখে পড়ে নাই। রাণী অশান্ত চরণে এ-ঘর ও-ঘর করিতেছিল। সেই কোন সন্ধ্যারাতে সে রান্নাবান্না করিয়া বলিয়া আছে, আর আজই কিনা তার যত রাজ্যের কাজ দেখা দিয়াছে। আশ্চৰ্য্য লোক যাহা হউক!—এমন লোক লইয়া মানুষের সংসার চলে কি করিয়া ? ' দীর্ঘ দুটি বছরের একঘেয়ে ইতিহাস রাণীর চোখের সম্মুখে স্পষ্ট হইয়া দেখা দেয়। চিন্তাধারা তার অন্য পথ ধরিয়া চলে। কলিকাতা শহর --রাণী ভাবে...প্রতি মুহূর্তে কত রকম বিপদের.কথাটা সম্পূর্ণরূপে ভাবিয়া দেখিতে গিয়া সে বারম্বার শিহরিয়া ওঠে। তার দুৰ্ব্বল মস্তিষ্কের মধ্যে রক্তের দাপাদাপি স্বরু হয় । জ্যোৎস্না রাত। ও-পাশের বড় পেঁপেগাছটার ছায়া জাসিয়া আঙিনায় পড়িয়াছে। সেই দিকে সহসা দৃষ্টি পড়িতেই রাণী উৎফুল্প হইয়া উঠিল, কিন্তু স্বশাস্ত আসিল না। রাণী ভাবে, ফিরিয়া আসিলে বেশ শক্ত দ্ব-কথা শুনাইয়া দিবে। মরণ তার নাই, নইলে এ-রোগেও মানুষ বাচিয়া থাকে কপালে এমন দুর্ভোগ না থাকিলে - বাহিরে ডাক শোনা গেল,—গুনছ, দরজাটা খুলে দাও না। রাণী যেন প্রস্তুত হইয়া ছিল এমনই ভাবে মুখ করিয়া উঠিল,—আজকের রাতে আর না ফিরলেই পারতে । কিন্তু দরজা খুলিয়া দিয়াই সে বদলাইয়া গেল। বলিল, আচ্ছা বাড়ীতে যে একটা রোগ লোক পড়ে রয়েছে সেকথা কি একবারও ভেবে দেখতে হয় না ? একে ভুগছি রোগের জালায় তার ওপর আবার জোটfচ্ছ নানা উপসর্গ। আমার কথা না-হয় ছেড়ে দিলাম—মেয়েমামুক-কিন্তু এমনি অনিয়মে নিজের শরীর টিকবে কি করে গুনি ? এ সাধারণ কথাটা তুমি বোঝ না কেন ? এ-প্রশ্নের পাণ্টা উত্তর ইচ্ছা করিলে স্বশাৰ অনায়াসে