পাতা:প্রবাসী (ষট্‌ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৩৯১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পোষ অসাৰণক্সe we $ দিয়া স্বামীর সামান্ত ক্রটিও তার অসঙ্ক। রাণীর ব্যবহারে স্থশাস্ত কখনও প্রতিবাদ করে না বরং পাশ কাটাইয়া চলিতে চেষ্টা করে । কিন্তু তাহাতেও অব্যাহতি নাই। মুখের উপর সোজা ভাষায় রাণী বলিয় ওঠে, দেহে তার জুরারোগ্য ব্যাধি আশ্রয় লইয়াছে বলিয়াই তার এই তুচ্ছতাচ্ছিল্য - । নিজের কথা রাণী সব সময় ভাবে । তার সঙ্গ যে প্রত্যেক মানুষের পক্ষেই পরিত্যাজ্য এ-কথাও সে ভাল করিয়া অনুভব করে। তথাপি সে মনের দুৰ্ব্বলতা গোপন রাখিতে পারে না। স্বামীর নিকট হইতে নিজেকে তফাৎ রাখিতে রাণী চেষ্টা করিয়াছে কিন্তু তার আত্মা সায় দেয় নাই । মৃত্যু তার অবধারিত...সে আসিতেছে দ্রুত--রাণীর কানে সে ডাক আসিয়া পৌঁছিয়াছে--সে মরিয়া হইয় ওঠেভুলিয়া যায় নিজের কথা, স্বশাস্তর কথা-••তার সঙ্কল্পের কথা । রাণী মুখ তুলিয়া স্থশাস্তর প্রতি চাহিল। কহিল, কাল শেষরাত্রে ঘুমিয়ে পড়েছিলুম। ডেকে দাও নি তাই উঠতে হ’ল বেলা। সকালে আপিস করতে গেলে ছুটি ভাতে ভাত খেয়ে, ভাবলুম, আমাকে দিয়ে স্থখস্বাচ্ছদ্য ত যথেষ্টই পাচ্ছ। ও-বাড়ীর চাকরকে বলে-ক'য়ে একটু মাংস আনিলাম কিন্তু যার জন্তে এত ভাবন তিনি এলেন বন্ধুবাড়ী থেকে ভূরিভোজন করে। রাণী লঘুপদে প্রস্থান করিল। স্বশাস্ত এ-অভিযোগেরও কোন উত্তর দিল না। বন্ধুর সহিত আজই তার দেখা হইবে,—সেও না খাওয়াইয়৷ ছাড়িবে না,—আর এমন দিনেই কিনা রাণীর খেয়াল ইবে তাকে ভাল করিয়া খাওয়াইবার, এ-সংবাদ সে পূৰ্ব্বে iায় নাই। সে ভবিষ্যৎদশী নহে কিন্তু রাণী যখন রাধগতে জল ঢালিয়া মিনিট-কয়েকের মধ্যে ফিরিয়া জাসিয়া যায় আশ্ৰয় লইল তখন আর স্থশাস্ত চুপ করিয়া থাকিতে iब्रिज नl । छेथ९ बिब्रख् कट्टै कश्लि, अश्थ चटनटकब्रहें কিন্তু তাইতেই যে এমন পাগল হতে হবে তার কোন খ নেই। এই যে ন-খেয়ে গুয়ে পড়লে এতে দুঃখ কি ধু আমিই পাব, না কষ্ট তোমারও হবে ? রাণী মুখ করিয়া উঠিল, যাও যাও, তোমাকে জার বেশী মায়া দেখাতে হবে না। কাল থেকে নিজের ব্যবস্থা নিজেই ক’রে নিও, হেঁসেলে আমি আর যাচ্ছি নে । এ-সব পাগল নিয়ে তোমার চলবে না। রাণী পাশ ফিরিয়া গুইল । অনেক সাধ্যসাধনায়ও আর তার সাড়া পাওয়া গেল না । বিস্তু প্রাতঃকালে উঠিয়াই রাণী নবোদ্যমে লাগিয়া গেল সাংসারিক কাজে । অথচ স্থশাস্ত সারারাত ঘুমাইতে পারে নাই। একটা অব্যক্ত ব্যখ। অমুক্ষণ তাঁহাকে পীড়া দিয়াছে। গত রাত্রের ঘটনার জন্ত সে নিজেকেই সম্পূর্ণরূপে দায়ী করিয়াছে। কি এমন অন্তায় হক্টত একটা মিথ্যা বলিলে। স্ত্রী-দত্ত আহার্ষ্য কিছু সময় নাড়াচাড়া করিয়া শারীরিক অস্থস্থতার নিদর্শনে না-হয় উঠিয়া পড়িত। স্বশাস্ত নিম্পলক চোখে চাহিয়া থাকে, দেখে, কেমন করিয়া দুখানি ক্ষীণ দুৰ্ব্বল হাতে রাণী পরম আগ্রহে স্বামীর ভোজের ব্যবস্থা করিতেছে। কি অদ্ভুত তার তৃষ্ণ, তার মনের খেয়াল। একটি বেল নিজে হাতে রাধিয়া সম্মুখে বসিয়া খাওয়াইতে না পারিলে প্রবল অভিমান তাঁহাকে বিক্ষুদ্ধ করিয়া তোলে। স্থশাস্ত বাধা দেয় নাই । স্ত্রীর কোন কাজে বাধা দিয়া তার আত্মতৃপ্তির ব্যাঘাত সে ঘটাইবে না। তাই সে নির্লিপ্ত .. তাই সে অনাসক্ত । শহরের নির্জন প্রান্তে অসহায অনাথ বাড়ীখানিতে এই যে স্বামী-স্ত্রীর প্রেম এক সুহ্ম পথ ধরিয়া স্বতন্ত্র গতিতে অগ্রসর হইতেছে, এ খবর কজন রাখে । অথচ প্রতিদিন ছ-বেল ঠিক এমনি করিয়াই চলিয়া আসিতেছে আজ দীর্ঘ দুটি বছর ধরিয়া। এমনই হাসি-অশ্ৰ, মান-অভিমানের একটি উদাস আবহাওয়ার সহিত স্থশাস্ত নিজেকে চমৎকার মানাইয়া লইয়াছে। বিরক্তি নাই, অবসাদ নাই। দমদেওয়া ঘড়ির স্থায় ভবিষ্মতের পথে অগ্রসর হইয়৷ চলিয়াছে। বন্ধুবান্ধবের সংসর্গ সে পরিত্যাগ করিয়াছে—ৰি জানি স্ত্রীর ছুরারোগ্য ব্যাধির বীজাণু যদি তাহার মধ্যেও সংক্রামিত হইয়া থাকে। কেন সে অপর দু-জন হস্থ সবল মানুষের সৰ্ব্বনাশ করিতে যাইবে ? রাণীকে সে শ্রদ্ধা করে—ভালবাসে। সাধারণের কাছে সে বাতিল হইয়া গেলেও স্বশাস্তর কাছে সে পরিপূর্ণ नॉन्नैौ-डांब्र गझ्थ*ि*ौ । चांझ, cबछांब्रां ब्रांनॆ ! ॐ कौ१'