পাতা:প্রবাসী (ষট্‌ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৩৯২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ארכא ©धवों★ौ seāర్ অসমর্থ দেহ লইয়াও তাহার সম্বন্ধে কতখানি সচেতন। কিন্তু আত্মীয়স্বজন বোঝে না। ওর আস্তরিকতার কোন মূল্যই তাহারা দিতে চায় না। রাণীকে তাহারা পাগল আখ্যা দিয়াছে, সেই সঙ্গে তাহাকেও তাহার অবিবেচনাপূর্ণ বিচারবুদ্ধি দেখিয়া। রাণীকে নাকি তাহার ত্যাগ করাই উচিত—তাহাকে না হইলেও অন্ততঃ তাহার সংসর্গ। কিন্তু স্থশান্ত সে-কথায় কান দেয় নাই। তাহাকে কেমন নেশায় পাইয়াছে। রাণী শষ্যার আশ্রয় লইয়াছে। আপিস হইতে ফিরিয়া আসিয়াই স্থশাস্ত তাহা টের পাইল কিন্তু তাহাকে না দেখা গেল ব্যস্ত হইতে, না কোনপ্রকার নিয়মের ব্যতিক্রম করিতে। নীরবে হাত মুখ ধুইয়া কাপড় ছাড়িয়া স্ত্রীর শয্যাপার্থে আসিয়া সে উপবেশন করিল। যেন এমনি একটি ঘটনার সহিত তাহার জীবনের কোথাও সংযোগ রহিয়া গিয়াছে। স্থশাস্ত নিৰ্ব্বাক, সংসারে তাহার বন্ধন নাই তাই সে এমন উদার, তাই সে নিজের সম্বন্ধেও এমন চেতনাহীন। এই ত জীবন, তাহার যৌবন-স্বপ্নের একটি স্কুল পরিণতি। আত্মীয়স্বজন একে একে প্রায় সকলেই তাহাকে পরিত্যাগ করিয়াছে। ক্ষয়রোগগ্ৰস্ত স্ত্রী লইয়া বসবাস করিষার জন্তু আজ সে সকলের কাছেই অপরাধী । স্থশাস্ত পরম স্নেহে স্ত্রীর কপালের উপর একখানি হাত রাখিয়া মৃদ্ধকণ্ঠে কহিল, আবার জর দেখা দিয়েছে ? কণ্ঠস্বরে নাকি তার হতাশার স্থর, অন্ততঃ রাণীর তাহাই মনে হইল। সে হাসিল বড় করুশ হাসি। কহিল, জর ত আজ আমার দশ-বারো দিন থেকেই দেথা দিয়েছে। স্থশাস্ত শাস্ত কণ্ঠে কহিল, অথচ আমায় এক দিনের জষ্ঠেও তা জানাও নি—জানান দরকারও মনে কর নি । রাণী মৃদুকণ্ঠে কহিল, জানিয়েই বা কি হ’ত ? মিছে তোমায় ব্যস্ত করে তোলা বইত নয় । স্থশাস্ত ঈষৎ গম্ভীর হইয়া গেল। : রাণী তাঁহাই লক্ষ্য করিল এবং করিয়াই কহিল, মিছে তুমি আমার ওপর রাগ করছ। স্থশাস্তর একখানি হাত সে নিজের দুই হাতের মধ্যে টানিয়া লইল। উভয়ে নীরব। चरनक्षोनि ब्रख्दमप्नब्र क्रण ब्रांगैौ चांछ जङाख् कुर्सल হইয়া পড়িয়াছে। কথা বলিতে তার মোটেই ভাল লাগিতেছিল না কিন্তু তথাপি সে কহিল, আমার এত কাছে তুমি আর এস না । স্থশাস্ত বিস্থিত হইল। রাণীর মুখে জাজ নূতন স্বর। রাণী পুনশ্চ কহিল, আমি বড় স্বার্থপর, শুধু নিজের কথাই ভাবতে শিখেছি কিন্তু এবারে বোধ হয় আর বঁচিব না। রাণীর চোখ মুখ উজ্জল হইয়া উঠিল। স্থশাস্ত ধীরে ধীরে স্ত্রীর মাথায় হাত বুলাইতে লাগিল। রাণী নিঃশব্দে পড়িয়া রহিল। ভাঙা মেঘের ফাকে আধখানা চাদ দেখা দিয়াছে। দুরে কতকগুলি কুকুর একসঙ্গে চীৎকার জুড়িয়া দিয়াছে। রিকৃশ গাড়ীর শঙ্ক হইল, ঠং । সদ্ধার পরে এ-রাস্তায় গাড়ীঘোড়া বড়-একটা চলে না। রাণী ডাকিল, স্বশাস্ত ঝুকিয় পড়িল। বলিল, থাক কথা ক'য়ে না। রাণী মৃদুকণ্ঠে প্রতিবাদ করিল, কেন কথা না বলবার কি হয়েছে আমার ? একদিনেই আর কিছু মরছি নে। তুমিও যেমন, মরণ কি ছেলেখেলা ? কালকেই হয়ত দেখবে যেমনকার তেমনি। আবহাওয়াটাকে সে একটু হাল্কা করিয়া লইতে চায়। স্বশাস্ত কথা কহিল না। —তুমি কি রাগ করলে নাকি ? রাণী কহিল, বেশ ত কথা না-হয় আর বলব না, কিন্তু না খেয়ে দেয়ে এমনি ক’রে বসে থাকলে চুপ করেই বা মানুষ থাকে কি করে ? দুটি ভাতে-ভাত সেদ্ধ করে নিলে হ’ত না ? ক্লাস্তিতে তার ছু-চোখ বুজিয়া আসিল । এমনি করিয়াই স্থশাস্তর দৈনন্দিন জীবন মন্থর গতিতে অগ্রসর হইতে থাকে। অনভিজ্ঞ হাতে নিজেকে রাধিয়া খাইতে হয় । স্ত্রীর পথ্যের ব্যবস্থাও সে নিজ হাতেই করে। একদিন মাত্র সে ডাক্তার ডাকিতে সমর্থ হইয়াছিল । আর্থিক অনটন পদে পদে বাধার স্বষ্টি করিতেছে। অন্তর গুময়াইয়া ওঠে ভাষাহীন আবেগে, কিন্তু চোখের সম্মুখে এমনি করিয়া বিনা চিকিৎসায় রাণী ধীরে ধীরে মৃত্যুর श्रtथ अर्थजग्न इद्देश कलिब्रांटष्-देशंe अगश् । श्लांख् মরিয়া হইয়া ওঠে। ভবিষ্যতের চিন্তা সে মন হইতে বাড়িয়া ফেলে ॥ " -