পাতা:প্রবাসী (ষট্‌ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৪০৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

যেস্থলে জৈব প্রোটিন প্রখম শ্রেণীভূক্ত হয় । নিম্নলিখিত তালিকা হইতে কয়েক প্রকার প্রোটিনের পুষ্টিকারিতার কিছু অল্পমান পাওয়া যায় ৪— জুৰ, মাছ, মাংস 3 * * চাউল իցե জালু ** ब्रब्र-बद्धैौच evo श्रृंश्च to e ভুটা *..., а তাহা হইলে এই তালিকা হইতেও ইহাই প্রমাণিত হইল জৈব প্রোটিন উদ্ভিজ্জ প্রোটিন অপেক্ষ উপকারী। কাজে কাজেই জাতিকে উন্নতির পথে অগ্রসর হইতে হইলে তাহার খাদ্যের তালিকায় কোন-না কোন প্রকার জৈব প্রোটিনের স্থান ও ব্যবস্থা থাকার একান্ত আবগুক, অথচ দরিদ্রপ্রধান দেশে ইহা তেমন সম্ভবপর নহে, কারণ উদ্ভিজ্জ প্রোটিনের মূল্য জৈব প্রোটিন অপেক্ষা কম। ভারতও দরিত্রপ্রধান দেশ, সেজগু ভারতের অতি অল্পসংখ্যক লোকেই জৈব প্রোটিন তাহীদের দৈনিক খাদ্যতালিকাভূক্ত করিতে পারে । এই জৈব প্রোটিনের অভাব তাহারা অতিরিক্ত পরিমাণ চাল, ডাল, মটর ইত্যাদি খাইয়া পূরণ করে । উপরিলিখিত তালিকা হইতে ইহাও দেখা যাইতেছে ষে চাউলের প্রোটিন মটর বা ভাল জাতীয় প্রোটিন অপেক্ষা উপকারী। অঙ্গুসন্ধানে দেখা যায়, উদ্ভিজ্জ প্রোটিন আহারী যাহারা চাউলের উপরেই বেশী নির্ভর করে তাহাজের বুদ্ধির প্রখরতা, যাহার কেবলমাত্র গম, ভাল বা মটরের উপর প্রোটিনের জন্ত নির্ভর করে তাহাদের অপেক্ষা অনেক বেণী । ইহাও দেখা যাইতেছে ভারতবর্ষে বংশানুক্রমে পুষ্টিকর জৈব প্রোটিন জাহারের অভাবে অধিকসংখ্যক ভারতবাসী, যে-সকল গুণ জাতিকে মহাজাতিতে পরিণত করে—উন্নতির পথে অগ্রসর করে- যথা, বুদ্ধিমত্ত, উদ্যমশীলতা, কৰ্ম্মকুশলতা, পরিশ্রমশীলতা, দৈহিক বল ইত্যাদি যাবতীয় গুণ ক্রমশ হারাইয়া ফেলিতেছে। সেজন্ত আমাদের প্রত্যেকের কর্তব্য জাতীয় খাদ্যের প্রভূত উন্নতিসাধন করা। আজকাল মহাত্মা গান্ধীর উপবাসের দৃষ্টাস্তে, বহুদিনব্যাপী উপবাস পালন সম্বন্ধে লোকের দৃষ্টি আকর্ষণ করিতেছে। লেখকের সহিত কয়েক জন সহকৰ্ম্মীর গবেষণার ফলে, উপবাসের সময় এবং বহুমূত্র রোগে কেবলমাত্র সোডবাইকার্বনেট পানীয়ের সহিত ব্যবহার অপেক্ষা, সোভাটারট্রেট, সোডাসাইট্রেট এবং সোভাবাইকাৰ্ব্বনেট ব্যবহার অধিক ফলপ্রদ বলিয়া প্রতিপন্ন হইয়াছে। উপবাসের সময় দেহের অভ্যস্তরের ফ্যাট এবং পরে মাংসপেশী দগ্ধ হয়- পূৰ্ব্বে বলিয়াছি যে দেহের ভিতরের দহনকাৰ্য্য জীবনের শেষ অবধি চলে। সেজন্ত সময়ে সময়ে একাধিক দিনের উপবাস উপকারজনক হইলেও একাদিক্রমে বহুদিনের উপবাসে ज्रमेिद्दहेख्न जस्त्रोक्नो श्रोटझ । স্বৰ্য্যরশ্মি যেমন অক্সিজেন দহনে (অক্সিডেশনে) খাদ্যের সম্বন্ধে সহায়তা করে, সেইরূপ ত্বকের অভ্যন্তরে প্রবেশ করিতে পারে বলিয়াও অক্সিডেশনে সহায়তা করে। সেই জন্ত উষ্ণ প্রদেশসকল, নাতিউষ্ণ প্রদেশসকল অপেক্ষা বহুবিধ রোগ হইতে রক্ষা পায় । রিকেট, পানিসাস এনিমিয়া, সদি, হাম, ক্যানসার প্রভৃতি রোগের হার, ইউরোপ ও আমেরিক অপেক্ষা আমাদের দেশে অনেক অল্প । স্বৰ্য্যরশ্মির প্রভাবে খাদ্যবস্তুর উপযুক্তরূপ অক্সিডেশনের স্বফলই এই রোগাল্পতার কারণ। ক্ষতরাং জগতের প্রায় সকল দেশেই ষে স্বৰ্য্যদেব দেবতারূপে আরাধিত হইয়াছেন ইহাতে বিস্থিত হইবার কোন কারণ নাই।