পাতা:প্রবাসী (ষট্‌ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৪০৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ব্রহ্মে বাঙালীর মাতৃভাষার প্রতি অবহেলা ঐসুবিমল চৌধুরী পূৰ্ব্বে বাংলায় মাতৃভাষার প্রতি বাঙালীদের যেমন অবজ্ঞার ভাব দেখা যাইত, এখনও অন্ধে বাংলা ভাষার প্রতি সেইরূপ অবহেলার ভাব বহুস্থলে পরিলক্ষিত হয়। যেসকল বাঙালী ছাত্র ত্রক্ষে শিক্ষাপ্রাপ্ত হইতেছেন, তাহদের অধিকাংশই মাতৃভাষার প্রতি উদাসীন। মাতৃভাষা শিক্ষা যে শিক্ষার অতি প্রয়োজনীয় অঙ্গ, উহার চর্চা যে মানুষ মাত্রেরই করা উচিত, তাহা তাহাদের কেহব স্বীকার করেন না, কেহবা জানিয়াও উদাসীন, কেহবা অমুকুল ব্যবস্থার অভাবে অগ্রসর হইতে পারেন না। অবশু শেষোক্ত কারণটি এইরূপ উদাসীনতার কৈফিয়ং মাত্র। ইচ্ছা থাকিলেই উপায় হয় এবং ব্ৰন্ধে এমন কোন প্রতিকূল ব্যবস্থা নাই যাহা বাঙালীর মাতৃভাষা শিক্ষার ও চর্চার ব্যাঘাত করে। স্কুলে কলেজে বাংলা না পড়িলেও ঘরে পড়িবার কোন বাধা নাই, কিন্তু সাধারণতঃ এ-বিষয়ে বাঙালীদের অনুরাগ খুব কমই পরিলক্ষিত হয়। অন্যান্য ক্ষেত্রে কৃতিত্বের সহিত কৃতকাৰ্য্য হইলেও বাংলা জ্ঞানের অভাবে তাহাজের শিক্ষা অংশত অপূর্ণ থাকিয়া যায়। দ্বিতীয়তঃ, এখানকার ছাত্ৰগণ বাংলা ভাষা সম্বন্ধে অনেক সময় ভূল ধারণা পোষণ করিয়া থাকেন। বঙ্গসাহিত্য ষে বিশ্বসাহিত্যে স্থান পাইয়াছে, পৃথিবীর উন্নত ভাষাসমূহের মধ্যে যে বঙ্গভাষাও অন্যতম, ভাব ও ভাষার দিক দিয়া বাংলা যে ভারতের একটি সৰ্ব্ববাদিসন্মত উৎকৃষ্ট ভাব-চণ্ডীদাস বিদ্যাপতি হইতে আরম্ভ করিয়া মাইকেল, রবীন্দ্রনাথ ও শরৎচঞ্জের ভাষা যে বাংলা— এই সব গুনিলেও তাহারা উহার বড়-একটা ধার थाट्ब्रन मा। श्मिौ e ॐ छांब्राउ बहण यक्रांब्रिख् বলিয়া ঐ সকল ভাষাকে অনেকে স্থনজরে দেখিয়া থাকেন। मांकृछांबांब्र जश्ङि घनि अब्रिक्रघ्न मां थांकांटङढे दांश्ल अषरक এইরূপ ভুল ধারণা। ছাইপাশ বাংলা পড়িয়া কোন লাভ নাই, खांश चानक बच्च९ हेरtब्रचॅौ श्रृंग्निरल ३एब्रजी-खांन७ श्ल এবং পরীক্ষার ব্যাপারেও স্থবিধা হইবে—এইরূপ অনেকের ধারণা। কেবল বিজাতীয় ভাষায় পারদর্শিতা লাভ করিলেই হয় না, মাতৃভাষায়ও দখল থাকা আবগুক। মাতৃভাষার সাহায্য ব্যতিরেকে কেহ কোন দিন বিজাতীয় ভাষায় সাহিত্য-জগতে উন্নতিলাভ করিতে পারেন নাই—পরীক্ষা পাসই ছাত্রজীবনের একমাত্র কাম্য নয়—মাতৃভাষার উন্নতি সাধনের জন্য চেষ্টা করা সকলেরই কৰ্ত্তব্য—এই সকল বিষয়ের প্রতি তাহারা সম্পূর্ণ উদাসীন। বস্ত্রী কিংবা ইংরেজী —ষে সকল ভাষায় পরীক্ষা দিতে হইবে, তৎপ্রতি অধিক মনোযোগ থাকা স্বাভাবিক বটে, কিন্তু তজপ্ত বাংলাকে অবহেলা করাও উচিত নয়। ছাত্রদের এইরূপ অবহেলা ও ভুল ধারণা পোষণের জন্য অভিভাবকেরাও কতক অংশে দায়ী। ব্রহ্মের অধিকাংশ বাঙালী অভিভাবকই ছেলেদের বাংলা শিক্ষার প্রতি সম্পূর্ণ উদাসীন। র্তাহারা বাংলা ভাষা শিখাইবার প্রয়োজনীয়তাকে মোটেই প্রাধান্ত দেন না। স্থবিধামত ছেলেকে কোন সরকারী কিংবা এ্যাংলো-ভানাকুলার হাই-স্কুলে ভত্তি করিয়া দেওয়া হইল ; সেই স্কুলে হস্থত বাংলা শিখাইবার ব্যবস্থা নাই, স্বতরাং বাংলা পড়৷ স্থগিত রাখা হইল, অথবা আর পড়াই হইল না। গৃহে স্বতন্ত্রভাবে পড়িবার ও পড়াইবার উৎসাহ অনেকেরই নাই । মাঝে মাঝে দেখা যায় অনেক ছেলে অল্পবয়সে বাংলায় কথা বলিতে জানে না। যে-স্থানে ষে-জাতীয় সঙ্গী পায় সেইরূপ ভাষাতেই কথা বলিতে শিখে । অভিভাবকগণের এই বিষয়ে সতর্ক ও যত্নবান হওয়া উচিত । দুঃখের বিষয়, অনেক সময় বাঙালীর ছেলের বিজাতীয় ভাষায় বিদ্যারম্ভ করান হইয়া থাকে। স্কুলে পড়িবার পক্ষে সুবিধা হইবে বলিয়া হয়ত উর্দুতে পাঠারভ করান হইল। স্থলে উর্দু পড়া আরম্ভ করিল এবং বেশ উন্নতিও করিল। ছুই-এক বৎসর পরে পিতা কিংবা অভিভাবক স্থানান্তরিত হইয়া অঙ্ক